Ajker Patrika

হঠাৎ বরিশালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
Thumbnail image

বরিশালে হঠাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টা থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা পুরো বরিশাল ছিল বিদ্যুৎ বিহীন। বেলা ১২টার পরে কিছু কিছু ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ হলেও দিনভর লোডশেডিং অব্যাহত ছিল।

বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড সূত্রে জানা গেছে, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বরিশালে চাহিদার অর্ধেকও সরবরাহ করা যায়নি। এর ফলে নগরসহ গোটা বরিশালে কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ার সঠিক কারণ জানা যায়নি।

এ বিষয়ে বরিশাল বিদ্যুৎ বিভাগের গ্রিড স্টেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান পলাশ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, পায়রা, ভোলা ও কুষ্টিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে এক যোগে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বৃহত্তর বরিশালে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দুপুর নাগাদ কয়েকটি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।

তবে নির্বাহী প্রকৌশলীর এ বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্ন চিত্র ছিল বরিশাল নগরে। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নগরীসহ এর আশপাশের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। নগরের গোড়াচাঁদ দাস রোডের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় গিয়ে যায়, লোডশেডিংয়ে নিত্য দিনের কার্যক্রম অনেকটা থমকে আছে। পাশের একটি স্টেশনারি দোকানি সুজন চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করায় ফটোকপির মেশিন চালুই করা যাচ্ছে না।

দুপুরে আদালতপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, বিচারপ্রার্থীদের নানা কাজ বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ রয়েছে।

বরিশাল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, বিদ্যুৎ বিতরণ ১ ও ২ এর আওতায় ১৮টি ফিডার রয়েছে। এতে মোট বিদ্যুতের চাহিদা ৮০ মেগাওয়াট। তবে দুপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়েছে মাত্র ২৭ মেগাওয়াট। যে কারণে পর্যায়ক্রমে ফিডারগুলোতে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে নগরের বাইরের উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। উজিরপুরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ায় সেখানকার সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বাজারে কাজকর্ম অনেকটা অচল হয়ে পড়ে। উপজেলার শোলক ইউনিয়নের পাংশি জিরো পয়েন্ট বাজারে আজ দুপুরে কথা হয় ফার্নিচার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী পরিমল সমদ্দরের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় সকাল থেকে লোটার মেশিন চালাতে পারছি না। এ জন্য পাঁচজন মিস্ত্রি এনে বসিয়ে রেখেছি।

মেঘনা ঘেরা হিজলা এবং মেহেন্দীগঞ্জেও দিনভর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। মেহেন্দীগঞ্জের লেখক সাইফুল্লাহ নবীন বলেন, সকাল থেকে লোডশেডিং চলছে। পৌর শহরের পাতার বন্দরের উত্তর বাজারে বিদ্যুৎ নেই। হিজলার পোলট্রি ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, সারা দিনে বিদ্যুৎ না থাকায় মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের একই খবর পাওয়া গেছে বাকেরগঞ্জেও।

বিদ্যুতের চাহিদা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় গ্রিড স্টেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান পলাশ বলেন, দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তবে  হঠাৎ কেন এই বিপর্যয় সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত