কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
বর্তমানে ভারতের ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। গত সোমবার থেকে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এদিকে পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুই দফা অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলসহ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে বিদ্যুতের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেক পরিবার। শুধু তাই নয়, পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যেকোনো সময় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ সব বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত বহাল থাকার কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চরচান্দুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সোলায়মান বলেন, ‘আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। আমরা “ত্রাণ চাই না, বাঁধ চাই” স্লোগানে অনেক মানববন্ধন করেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। প্রতিবছর এই সময়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় থাকতে হয়।’
ধানখালী ইউপির স্কুলশিক্ষক কামরুন্নাহার পাপড়ি বলেন, গত মঙ্গল ও বুধবার বিদ্যুৎ আসেনি। লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে আছে জনজীবন।
উপজেলার চম্পাপুর ইউপির দেবপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিব মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চার বছর আগে আমাদের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় বাঁধের ভেতরে পানি প্রবেশ করে এবং গ্রাম তলিয়ে যায়। এমনকি রান্নাবান্না করতেও সমস্যা হয়।’
লালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অমাবস্যা কিংবা পূর্ণিমায় জোয়ারের চাপ একটু বেশি হলেই আমাদের এখানে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে যায়। জমি আর চাষ উপযোগী থাকে না। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোনো সুফল পাইনি।’
আলিপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে জানান, আবহাওয়ার খবর পেয়ে এরই মধ্যে মাছ ধরার সহস্রাধিক ট্রলার শিববাড়িয়া নদীর পোতাশ্রয়ে অবস্থান করছে। বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার তিনটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, ‘লালুয়ার ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করবে। আমার ওই এলাকায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করব। এরই মধ্যে আমাদের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আর দেবপুরে গত বছর দেড় কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাঁদের জমির ওপর বাঁধ করতে দেয়নি। যদি স্থানীয়রা এগিয়ে আসে, তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওখানে বাঁধ নির্মাণ করা হবে।’
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ‘নদনদীর পানির উচ্চতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা এই অবস্থা চলমান থাকবে।’
বর্তমানে ভারতের ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। গত সোমবার থেকে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এদিকে পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুই দফা অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলসহ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে বিদ্যুতের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেক পরিবার। শুধু তাই নয়, পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যেকোনো সময় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ সব বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত বহাল থাকার কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চরচান্দুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সোলায়মান বলেন, ‘আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। আমরা “ত্রাণ চাই না, বাঁধ চাই” স্লোগানে অনেক মানববন্ধন করেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। প্রতিবছর এই সময়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় থাকতে হয়।’
ধানখালী ইউপির স্কুলশিক্ষক কামরুন্নাহার পাপড়ি বলেন, গত মঙ্গল ও বুধবার বিদ্যুৎ আসেনি। লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে আছে জনজীবন।
উপজেলার চম্পাপুর ইউপির দেবপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিব মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চার বছর আগে আমাদের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় বাঁধের ভেতরে পানি প্রবেশ করে এবং গ্রাম তলিয়ে যায়। এমনকি রান্নাবান্না করতেও সমস্যা হয়।’
লালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অমাবস্যা কিংবা পূর্ণিমায় জোয়ারের চাপ একটু বেশি হলেই আমাদের এখানে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে যায়। জমি আর চাষ উপযোগী থাকে না। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোনো সুফল পাইনি।’
আলিপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে জানান, আবহাওয়ার খবর পেয়ে এরই মধ্যে মাছ ধরার সহস্রাধিক ট্রলার শিববাড়িয়া নদীর পোতাশ্রয়ে অবস্থান করছে। বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার তিনটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, ‘লালুয়ার ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করবে। আমার ওই এলাকায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করব। এরই মধ্যে আমাদের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আর দেবপুরে গত বছর দেড় কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাঁদের জমির ওপর বাঁধ করতে দেয়নি। যদি স্থানীয়রা এগিয়ে আসে, তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওখানে বাঁধ নির্মাণ করা হবে।’
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ‘নদনদীর পানির উচ্চতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা এই অবস্থা চলমান থাকবে।’
মাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
১১ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
৩৭ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
৩৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে