Ajker Patrika

মুগডালের খেতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ৪০
মুগডালের খেতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মুগডালের খেতে লেদা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একের পর এক খেত। পোকার আক্রমণ থেকে খেত রক্ষা করতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো সুফল না পাওয়ায় কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। 

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৬ হাজার ১৪১ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল বারি-৬, ১ হাজার ১০০ হেক্টরে বারি-৮ এবং ২ হাজার ১০ হেক্টরে বিনা-৮ ও দেশি প্রজাতির সোনাইমুগ খ্যাত প্রজাতির ৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৬২১ হেক্টর কম জমিতে মুগডাল চাষ হয়েছে। 

সরেজমিন উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরমিয়াজান, চরব্যারেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মুগডালের খেতে লেদা পোকার আক্রমণে গাছের ডালে ছড়া ঝড়ে পড়ছে। খেতজুড়ে পোকার আক্রমণ। একরের পর একর জমিতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।

উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরমিয়াজান ওয়ার্ডের কৃষক বাদশা হাওলাদার বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৭ একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি-৬ প্রজাতির মুগডাল চাষ করেছি। সাকল্যে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। গাছে যেভাবে ফল এসেছিল, তাতে ৭ একরে ডাল পাওয়া যেত কমপক্ষে ৫৬ মণ, যার বাজারমূল্য ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে কমপক্ষে প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। অথচ পোকার আক্রমণে খেতের ডাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো কাজ দিচ্ছে না। দুই দিন আগেও খেতটা দেখে চোখ জুড়িয়ে যেত, অথচ পোকার আক্রমণে খেতটির দিকে তাকানো যায় না। কষ্টে চোখে পানি চলে আসে।’

এই দুর্দশা শুধু বাদশা হাওলাদারের একার নয়, একই গ্রামের আরেক কৃষক হেমায়েত হাওলাদারেরও। তিনি চাষ করেছেন ৯ একর জমিতে। এ ছাড়া আসাদুল সরদার চাষ করেছেন ৩ একর জমিতে, মিজান সরদার চাষ করেছেন ২ একর জমিতে। অধিকাংশ খেত লম্বা-গোলাকৃতির একধরনের পোকার উপদ্রবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা দেখা গেছে চরব্যারেট গ্রামের ফারুক খানের ৩ একর, মনিরের ৩ একর, বশার হাওলাদারের ২ একর, শাহজাহান হাওলাদারের ৫ একর জমিতে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন জানান, ‘বিষয়টি জেনেছি। মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। রাতে ঠান্ডা ও দিনে গরম আবহাওয়ার কারণে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আমরা কৃষকদের পরিমিত ডোজ কীটনাশক ওষুধ দেওয়ার জন্য বলেছি। আশা করছি বৃষ্টি হলেই এ ধরনের পোকার আক্রমণ আর থাকবে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত