Ajker Patrika

নিষেধাজ্ঞার ১৭ দিনেও চাল পাননি মির্জাগঞ্জের জেলেরা

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
নিষেধাজ্ঞার ১৭ দিনেও চাল পাননি মির্জাগঞ্জের জেলেরা

মা ইলিশ সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞার ১৭ দিন পার হলেও ত্রাণের চাল পায়নি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার জেলেরা। ফলে উপজেলার তালিকাভুক্ত পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার জেলেরা মানবতার জীবন-যাপন করছে। শুধু দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ২৭৩ জন জেলেকে চাল দিতে সক্ষম হয়েছে। অন্য ইউনিয়নের জেলেরা এখনো চাল পাননি। 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মির্জাগঞ্জের ছয়টি ইউপিতে নির্বাচন হতে চলছে। এতে উপজেলার ছয়জন চেয়ারম্যানই দলীয় নৌকা প্রতীক পেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করে জমা প্রদানের জন্য সকলে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ জন্য সময় মতো জেলেদের চাল দিতে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানা যায়। 

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২ হাজার ১৬ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৬২৮ জন জেলে ত্রাণের চাল পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মাধবখালী ইউনিয়নে তালিকা ভুক্ত জেলে রয়েছেন ১৭৭ জন, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে ৫০০ জন, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে ৫৮ জন, দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে ২৭৩ জন, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নে ২৬৮ জন, মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে ৩৫২ জন। তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। 

তালিকাভুক্ত জেলে ফরিদ সিকদার বলেন, মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্টে আছি। ২০ কেজি চাল পেলেও কয়েক দিন ভালো চলতে পারতাম। 

মির্জাগঞ্জ উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ. গনি মিয়া বলেন, ইলিশ সংরক্ষণে মা ইলিশ না ধরার জন্য প্রতি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও জেলেরা চাল পাননি। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে রয়েছেন তাঁরা। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলেদের ত্রাণের চাল দেওয়ার জন্য ডিও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানেরা যে কোনো সময় চাল নিয়ে জেলেদের মাঝে বিতরণ করতে পারেন। 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, ২০ অক্টোবরের মধ্যে সকল জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের জন্য বলা হয়েছে। সোমবার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নে ও দ্রুত চাল বিতরণের জন্য চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। 

মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কাজে আমি ঢাকায় আছি। প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কবির কুদ্দুস খানকে ট্যাগ অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে সকল ইউপি সদস্যদের সমন্বয়ে জেলেদের চাল বিতরণের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আগামীকাল জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত