Ajker Patrika

বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়া ৩৪ কেজির ভোল ৯ লাখ টাকায় বিক্রি

পাথরঘাটা (বরগুনা)প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে জালে ধরা পড়া ভোল মাছ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বঙ্গোপসাগরে জালে ধরা পড়া ভোল মাছ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বঙ্গোপসাগরে জালে ধরা পড়েছে ৩৪ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির একটি ভোল মাছ। মাছটি ৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় কিনেছেন বরগুনার পাথরঘাটার মৎস্য পাইকার মোহাম্মদ হানিফ মিয়া।

আজ মঙ্গলবার সকালে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটা (বিএফডিসি) ঘাটের আলম মিয়ার আড়তে মাছটি বিক্রি করা হয়। এর আগে ২৩ মার্চ পাথরঘাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানাধীন এফবি সাইফ-২ ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।  

এফবি সাইফ-২ ট্রলারের মাঝি জামাল মিয়া বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ট্রলারে বাজার করে ১৫ মাঝিমাল্লা নিয়ে মাছ শিকারের জন্য পাথরঘাটা মৎস্যঘাট থেকে সাগরে যাই। সাগরে গিয়ে প্রথমে দুই-তিন দিন জাল ফেললে তেমন কোনো মাছের দেখা মেলেনি। রোববার পুনরায় সাগরে জাল ফেললে জাল তুলতে গিয়ে দেখি বড় আকৃতির ৩৪ কেজি ওজনের এই ভোল মাছটি বেঁধেছে। মাছটি পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে চলে আসি।’

আড়তদার আলম মিয়া বলেন, ট্রলারটি পাঁচ দিন সাগরে অবস্থান করার পর আজ পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) ঘাটে আসে। এখানে আসার পর শিকার করা মাছ বিক্রি জন্য আমার আড়তের চটে ওঠালে তার সঙ্গে সাড়ে ৩৪ কেজি ওজনের একটি ভোল মাছ ওঠানো হয়। ভোল মাছটি আড়তের চটে উঠিয়ে বিক্রি জন্য ডাক দিই। পরে এখানের এক মৎস্য পাইকার মোহাম্মদ হানিফ ৩৪ কেজি ওজনের মাছটি ১২ লাখ ১০ হাজার টাকা মণ দরে ৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় কিনে নেয়। এ খবর পাথরঘাটায় ছড়িয়ে পড়লে মাছটি একনজর দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করে।

মৎস্য পাইকার মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘আমি ১২ লাখ ১০ হাজার টাকা মণ দরে মাছটি সাড়ে ৯ লাখ টাকায় কিনেছি। এই মাছ চিটাগাংয়ে চালান দিলে অনেক দাম পাওয়া যাবে।’

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘এই ভোল মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। ভোল মাছ বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিদেশে এই মাছের বালিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, যার কারণে এই মাছের দাম ও চাহিদা খুব বেশি। আর বিদেশে এই মাছের উপকরণ সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই মাছের চাহিদা ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ অনেক রাষ্ট্রেই রয়েছে।’  

পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘ভোল মাছ বিদেশে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। তাই মাছটির চাহিদা ও দাম সব সময়ই বেশি থাকে। জেলেরা যদি সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে মাছ শিকার এবং অবৈধ জাল দিয়ে পোনা মাছ নিধন বন্ধ রাখে, তবে সামনের দিনে এমন বড় মাছের সংখ্যা সাগরে বাড়তে থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চিকিৎসক প্রকাশ্যে জানালেন, ধূমপান করতে চাচ্ছেন তামিম

তামিমের ধূমপানের তথ্য প্রকাশ চিকিৎসকের ‘পেশাগত নৈতিকতা’ লঙ্ঘন

ভাষাশহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রাষ্ট্রীয় সালাম দিলেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি এহতেশামুল

৪টি জাহাজ কিনতে বাংলাদেশকে ঋণ দেবে চীন: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত