Ajker Patrika

মুলাদীতে দুই জনকে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি ২৬৯ 

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
মুলাদীতে দুই জনকে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি ২৬৯ 

বরিশালের মুলাদীতে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নিহত আলমগীর কবিরাজের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে ৬৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এর আগে গতকাল বুধবার পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। 

পুলিশের মামলায় ওই দিনই জামাল সরদার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একই দিন বাটামারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলম ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহতের পরিবারের একজন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বাটামারা অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক বেল্লাল হোসেন মাতুব্বর বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

নিহতের পরিবারের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১০ এপ্রিল উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের দাদন হাওলাদারের ছেলে কাজল ও ইয়াকুব, আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মিলন ও রবিন, আনিছ হাওলাদারের ছেলে নয়ন ও সজল, বাটামারা ইউপি সদস্য আলম ব্যাপারীসহ ৬৫-৭০ জন লোক উত্তর বালিয়াতলী গ্রামে বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেন। ওই সময় আলমগীর কবিরাজ, হেলাল ব্যাপারী, কামাল ব্যাপারী ও তাঁদের লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। 

একপর্যায়ে আসামিরা আলমগীর কবিরাজ, হেলাল ও কামালকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে, পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যান। পরে সমীর কবিরাজের বাড়ির পাশে বিলে আলমগীর কবিরাজের এবং চাকলা বাজার এলাকায় হেলাল ব্যাপারীর লাশ পাওয়া যায়।

অন্যদিকে পুলিশের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত সোমবার উপজেলার উত্তর বালিয়াতলী এলাকায় ঘটনার সূত্রপাত হয়। ওই দিন মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মণ্ডল ও পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশ বাটামারা ও সফিপুর ইউনিয়নের নিয়মিত মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার ও মাদক উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযানে যায়। পুলিশ সদস্যরা বেলা পৌনে তিনটার দিকে উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের জামাল সরদারের বাড়িতে যান। গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিরা পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন। আসামিদের লাঠি এবং অস্ত্রের আঘাতে পুলিশ সদস্য মো. নাইম আহত হন। পরে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে পুলিশ শটগান দিয়ে পাঁচটি গুলি ছোড়ে। এ সময় জামাল সরদারকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত