বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা শেফালী বেগম পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৩০ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। তবে সরকারি তথ্যানুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা ছয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু শনাক্তের সংখ্যা সরকারি হাসপাতালের তুলনায় তিন গুণ বেশি। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আক্রান্তের তথ্য সরকারিভাবে রাখার আশ্বাস দিলেও এর তথ্য এখনো জানে না জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে একে অপরকে দোষারোপ করছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ক্লিনিকমালিকেরা।
বরগুনার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় সবকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে রোগী আসছে।
জেলা ক্লিনিক মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ১৮ হাজারেরও বেশি টেস্টে ৭ হাজার ২০০ জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এই তথ্যে রয়েছে ভিন্নতা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১১০ জন। ফলে জেলায় ডেঙ্গুর প্রকৃত তথ্য নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।
বেসরকারিভাবে আক্রান্ত রোগীর পরিসংখ্যান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়ায় ডেঙ্গুর হটস্পটখ্যাত বরগুনার প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা জানতে পারছে না কেউ।
এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘বরগুনার প্রকৃত ডেঙ্গুর তথ্য আমরা পাচ্ছি না। তাই বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে যে টেস্ট হয়, তা সরকারি হিসাবে সমন্বয় করা গেলে আমরা বরগুনার প্রকৃত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা জানতে পারতাম।’
জেলা বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালেহ মাহমুদ সুমন বলেন, ‘চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আমাদের কাছে যারা উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করিয়েছে, তাদের মধ্যে ৪০ পার্সেন্ট ডেঙ্গু পজিটিভ রোগী। আমাদের এই তথ্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিচ্ছে না। যদি তারা আমাদের তথ্য নিত, তাহলে বরগুনার বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির সঠিক তথ্য মানুষ জানতে পারত।’
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বরগুনায় নতুন করে আরও ৬৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫২২ জন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ৪৬ জন, পাথরঘাটা উপজেলায় ১১, বামনা উপজেলায় তিনজন এবং আমতলী, তালতলী ও বেতাগী উপজেলায় একজন করে আক্রান্ত হয়েছে।
বরগুনা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘বরগুনা হাসপাতাল থেকে যে রোগী রেফার্ড হয়ে যায় এবং বেসরকারি পর্যায়ে যারা শনাক্ত হচ্ছে, সেই তথ্য আমাদের কাছে দিলে কেসের সংখ্যা আরও বাড়ত। কিন্তু বেসরকারি ক্লিনিকগুলো আমাদের কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে না।’
বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা শেফালী বেগম পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৩০ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। তবে সরকারি তথ্যানুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা ছয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু শনাক্তের সংখ্যা সরকারি হাসপাতালের তুলনায় তিন গুণ বেশি। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আক্রান্তের তথ্য সরকারিভাবে রাখার আশ্বাস দিলেও এর তথ্য এখনো জানে না জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে একে অপরকে দোষারোপ করছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ক্লিনিকমালিকেরা।
বরগুনার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় সবকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে রোগী আসছে।
জেলা ক্লিনিক মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ১৮ হাজারেরও বেশি টেস্টে ৭ হাজার ২০০ জনের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এই তথ্যে রয়েছে ভিন্নতা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১১০ জন। ফলে জেলায় ডেঙ্গুর প্রকৃত তথ্য নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।
বেসরকারিভাবে আক্রান্ত রোগীর পরিসংখ্যান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়ায় ডেঙ্গুর হটস্পটখ্যাত বরগুনার প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা জানতে পারছে না কেউ।
এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘বরগুনার প্রকৃত ডেঙ্গুর তথ্য আমরা পাচ্ছি না। তাই বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে যে টেস্ট হয়, তা সরকারি হিসাবে সমন্বয় করা গেলে আমরা বরগুনার প্রকৃত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা জানতে পারতাম।’
জেলা বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালেহ মাহমুদ সুমন বলেন, ‘চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আমাদের কাছে যারা উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করিয়েছে, তাদের মধ্যে ৪০ পার্সেন্ট ডেঙ্গু পজিটিভ রোগী। আমাদের এই তথ্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিচ্ছে না। যদি তারা আমাদের তথ্য নিত, তাহলে বরগুনার বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির সঠিক তথ্য মানুষ জানতে পারত।’
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বরগুনায় নতুন করে আরও ৬৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫২২ জন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ৪৬ জন, পাথরঘাটা উপজেলায় ১১, বামনা উপজেলায় তিনজন এবং আমতলী, তালতলী ও বেতাগী উপজেলায় একজন করে আক্রান্ত হয়েছে।
বরগুনা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘বরগুনা হাসপাতাল থেকে যে রোগী রেফার্ড হয়ে যায় এবং বেসরকারি পর্যায়ে যারা শনাক্ত হচ্ছে, সেই তথ্য আমাদের কাছে দিলে কেসের সংখ্যা আরও বাড়ত। কিন্তু বেসরকারি ক্লিনিকগুলো আমাদের কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে না।’
অর্থ পাচারের অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারকে আদালতে আনার খবরে আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন টাকা ফেরত না পাওয়া ভুক্তভোগীরা। মানববন্ধনের একপর্যায়ে বাশারকে আদালতে আনা হলে ভুক্তভোগীরা তাঁকে লক্ষ্য করে কিল, ঘুষি মারেন। এ সময় তাঁর ওপর ডিমও নিক্ষেপ করেন
১৬ মিনিট আগেরাফসানা আক্তার আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে বাসের হেলপার আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করেন। তখন আমি আমার স্বামীকে মোবাইল ফোনে কল করতে গেলে উনি আমার ফোন কেড়ে নিয়ে আমার মুখে চারটি ঘুষি মারেন। এসব দেখে আশপাশের একটা মানুষও প্রতিবাদ করেনি। আমার মা-বাবাকে নিয়ে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। পরে ক্যাম্পাসে কয়েকজন
২৩ মিনিট আগেবিচার ছাড়াই ৩০ বছর কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন কনু মিয়া। আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) জামিন মঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম।
২৫ মিনিট আগেরাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে (৪৩) পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি মাহমুদুল হাসান মহিনকে আবার ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তাকে ফের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
২৮ মিনিট আগে