Ajker Patrika

সাগরে গণডাকাতি, পাথরঘাটার অর্ধশত জেলে গুলিবিদ্ধ

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ৪৫
বরগুনার পাথরঘাটা খালে মাছ ধরার ট্রলার। ফাইল ছবি
বরগুনার পাথরঘাটা খালে মাছ ধরার ট্রলার। ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের ১০টি ট্রলারে গণডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অর্ধশত জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ডাকাত দল তাঁদের মাছ ও রসদ লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতেরা ট্রলারগুলোর ইঞ্জিন বিকল করে দেওয়ায় জেলেরা কূলে ফিরতে পারছেন না।

গতকাল বুধবার গভীর রাতে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের বড় বাইজদা এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা মাছসহ রসদসামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। তবে জলদস্যু বাহিনীর নাম জানা যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রত্যক্ষদর্শী জেলেদের কাছ থেকে এমন সংবাদ এসেছে বলে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছেন। ডাকাতির কবলে পড়া জেলেদের সবার বাড়ি পাথরঘাটায়।

ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মধ্যে পাথরঘাটার সগির কোম্পানির মালিকানা এফবি তারেক-২, এফবি তুফান-২ ও সেলিম চৌধুরীর মালিকানার এফবি মা ট্রলার রয়েছে।

এফবি মা ট্রলারের মাঝি মনির হোসেনের বরাত দিয়ে মালিক সেলিম চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ সশস্ত্র হামলা চালায় জলদস্যু বাহিনী। এ সময় জেলেরা বাধা দিলে জেলেদের ট্রলারে উঠে মারধর করে এবং দূর থেকে গুলি ছোড়ে। এতে ১০টি ট্রলারের অন্তত ৫০ জন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ট্রলারের জেলেরা আমাদের মোবাইল ফোনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর আশপাশ থেকে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে অন্য জেলেরা সরে গেছেন।’

সেলিম চৌধুরী আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ডাকাতির কবলে পড়া জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। জেলেরাও এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তাঁরা নেটওয়ার্কের বাইরে আছেন হয়তো। তাঁরা কী অবস্থায় আছেন, খবর পাওয়া যাচ্ছে না।’

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘সশস্ত্র ডাকাতেরা মালামাল লুট করে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে দিয়েছে। এ ছাড়া ওয়্যারলেস নিয়ে গেছে। ডাকাতির শিকার জেলেরা ভ্যাসেল জাহাজের মাধ্যমে উপকূলে সংবাদ পাঠিয়েছে। তবে ডাকাতির শিকার ট্রলারগুলো এখন কোনো অবস্থায় কোথায় আছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশ সুপার এবং কোস্ট গার্ডকে জানিয়েছি। জেলেদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘ট্রলারমালিকদের পক্ষ থেকে আমরা ডাকাতির খবর জানতে পেরেছি। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত