Ajker Patrika

ঈদযাত্রা: ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বেড়েছে লঞ্চ, বাসের টিকিট নিয়ে হাহাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এসব লঞ্চ আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে চলাচল শুরু করবে। অন্যদিকে সড়কপথে বাসের টিকিট নিয়ে হাহাকার দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাড়ি ফেরার জন্য অধিকাংশ বাসের অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রায় নৌপথে বাড়তি যাত্রীদের চাপ সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগে পালা করে প্রতিদিন দুটি লঞ্চ চললেও এখন তা বাড়িয়ে ৫-৬টিতে উন্নীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে অ্যাডভেঞ্চার-৯, পারাবত-১৮ ও ৯, সুন্দরবন-১৫, কীর্তনখোলা-১০ এবং মানামী লঞ্চ।

লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্যসচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানিয়েছেন, তাঁরা ঈদ উপলক্ষে রোটেশন বা পালাপ্রথা তুলে দিয়ে লঞ্চের সংখ্যা বাড়াচ্ছেন।

মেসার্স সুরভী শিপিং লাইনস কোম্পানির পরিচালক রেজিন উল কবির বলেন, ‘মঙ্গলবার সদরঘাট থেকে বরিশালে বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে। প্রতিদিন ৫-৬টি লঞ্চ এ সার্ভিসে যুক্ত হবে। আমরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছি সপ্তাহখানেক আগে। বরিশাল ও ঢাকার কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা রয়েছে।’

নগরের ফজুলল হক অ্যাভিনিউয়ে এমভি সুন্দরবন লঞ্চের কাউন্টারে গিয়ে কয়েকজন যাত্রীকে অগ্রিম টিকিট নিতে দেখা গেল। রাজিব হোসেন নামের একজন জানান, তাঁর ভাই ও ভাইয়ের পরিবার ঈদে বাড়িতে আসবেন। এ জন্য অগ্রিম টিকিট নিতে এসেছেন। টিকিট সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। আর আগের মতো চাপ নেই।

এ নিয়ে কথা হলে সুন্দরবন লঞ্চ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন নেভিগেশনের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম পিন্টু জানান, পদ্মা সেতু চালুর পর নৌপথে অন্তত ৬০ শতাংশ যাত্রী কমে যায়। লোকসান এড়াতে তাঁরা লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে আনেন। আগে যেখানে দিনে ছয়টি লঞ্চ চলত, এখন সেখানে পালা করে দুটি চলছে। এবার ঈদ উপলক্ষে দুই প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ছয়টি লঞ্চ চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চ বাড়ানো হবে। লম্বা ছুটির কারণে ঈদের দু-তিন দিন আগে লঞ্চের টিকিটের চাপ বাড়তে পারে।

এদিকে পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলে সড়কপথে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বরিশাল বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল থেকে আধা ঘণ্টা পর বিভিন্ন পরিবহনের বাস ঢাকায় ছুটছে। আগে যেখানে একটি বাস ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ দুটি ট্রিপ দিত, এখন তিন-চারটি ট্রিপ দিচ্ছে।

নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে সাকুরা, হানিফ, এনা, শ্যামলী, সোহাগ ও গ্রিন লাইন পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের আগে ঢাকা থেকে বরিশালে আসার টিকিট বিক্রি প্রায় শেষ। টিকিট নিতে আসা আহসান কবির শাহিন নামের একজন বলেন, ‘বাসের টিকিট পাইনি। বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।’

সাকুরা পরিবহনের পরিচালক খলিলুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে বরিশালে আসার তাঁদের এসি ও নন-এসি বাসের টিকিট বিক্রি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। যাত্রীরা কম সময়ে এবং কম খরচে যাতায়াত করতে এখন সড়কপথই বেছে নিচ্ছেন।

সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক মিরাজ হোসেন বলেন, তাঁদের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়। টিকিটগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তাই বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত