Ajker Patrika

বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছিল: ভোলায় নাহিদ

ভোলা প্রতিনিধি
ভোলায় পদযাত্রায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভোলায় পদযাত্রায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গত বছর ১৫ জুলাই থেকে আমাদের এই আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের দিকে যাত্রা নিয়েছিল। সেই গণ-অভ্যুত্থানকে বুকে ধারণ করে আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে হবে। বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্যই জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছিল।’

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরের দিকে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে এক পথসভায় নাহিদ বলেন, ‘আমরা জানি, বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা হচ্ছে ভোলা। নদীপাড়ের এ মানুষদের সব সময় সংগ্রামের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে এ জেলার মানুষ বেশি শহীদ হয়েছেন। সুতরাং অনেক সাহসী ও দেশপ্রেমিক এই উপকূলের মানুষ। তাঁদের উন্নয়নের জন্য শপথ নিতে হবে। কারণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে সব সময় মৎস্যজীবীদের লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। বহু যুগ ধরে ভোলাবাসীকে স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এখানকার হাসপাতালগুলোকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। অসহায় দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসাসেবা নিতে দূরদূরান্তে যেতে হয়। ভোলাবাসীকে শিক্ষা নিতে দূরদূরান্তে যেতে হয়। এ জেলায় পর্যাপ্ত গ্যাস মজুত থাকা সত্ত্বেও গড়ে উঠছে না ভারী কোনো শিল্প-কলকারখানা।’

ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের গুরুত্বারোপ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই সুবিধাবঞ্চিত ভোলা একটি স্বনির্ভর, সমৃদ্ধ ও মর্যাদাবান জেলা হিসেবে রূপান্তরিত হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলাম, নতুন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি জানিয়েছিলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টি আজ আপনাদের সামনে আবারও সেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, মাহমুদা মিতু, ভোলা জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফ, সমন্বয়কারী মো. মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।

এর আগে শহরের বাংলাস্কুল মোড় হয়ে সদর রোড থেকে মহাজনপট্টি, কালিনাথ রায়ের বাজার, ইলিশা বাসস্ট্যান্ড হয়ে ‘জুলাই পদযাত্রা’ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে জেলার শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির নেতারা। সেখানে শহীদ হাসানের বাবা মনির হোসেন বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বদলির আদেশ ছিঁড়ে বরখাস্ত হলেন এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা

বাংলাদেশের সোনালি মুরগিতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া: গবেষণা

প্রেক্ষাপটবিহীন প্রতিবেদন কি সাংবাদিকতা হতে পারে?

দরপত্র ছাড়াই জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান, এরা কারা

বিধি লঙ্ঘন করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন এনসিপি নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত