Ajker Patrika

তালতলীতে ২০ গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগে দুই হাজারের বেশি পরিবার

প্রতিনিধি
Thumbnail image

তালতলি (বরগুনা): ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারে বরগুনার তালতলি উপজেলার ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রক্ষাবাঁধ না থাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট বেশি পানি প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এসব নিম্নাঞ্চলের দুই হাজারের বেশি পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আজ বুধবার মধ্যরাত থেকেই দমকা হাওয়া ও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকালে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে বেড়িবাঁধের আশপাশ, নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার সোনাকাটা, নিশানবাড়িয়া, বড়বগী ও ছোটবগী ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার ২০০ পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। শতাধিক মাছের ঘের ও ৮০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এ ছাড়া জোয়ারের পানিতে জয়ালভাঙ্গা, তেঁতুলবাড়ীয়া, নিদ্রার চরসহ বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে আরও ২০ থেকে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও জোয়ারের কারণে বরগুনার তালতলি উপজেলার ২০টি গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগসমুদ্র উপকূলীয় তালতলির সোনাকাটা ও নিশানবাড়ীয়ার ইউনিয়নরে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরতরা জানান, জোয়ারে সাগর ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ বসতঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। তারা এখন উঁচু বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছি।

নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দুলাল ফরাজি বলেন, আমার ইউনিয়নে অনুমান ৫০০টি পরিবার বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগরে ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে।

সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাওসার হোসেন বলেন, এ উপজেলাটি বঙ্গোপসাগর সাগর ও পায়রা নদী দ্বারা বেষ্টিত। চারটি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার ২০০ পরিবার বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করে। শুনেছি জোয়ারের পানিতে তাদের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। ওই সকল পরিবারকে কাছাকাছি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত