Ajker Patrika

নাগালের বাইরে সবজির দাম

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১৭: ০৪
নাগালের বাইরে সবজির দাম

পবিত্র মাহে রমজান শুরুর দিন থেকেই চরফ্যাশনে সব সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। গত সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আজ মঙ্গলবার চরফ্যাশন কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। 

ক্রেতাদের অভিযোগ, ‘বিক্রেতারা প্রতিবছর রোজা এলেই পণ্যের দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেয়। এটা শুধু এ দেশেই হয়। বহির্বিশ্বে রোজা এলেই প্রত্যেক পণ্যের দাম কমে। কিন্তু আমাদের দেশে পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম বেড়ে যায়।’ 

তবে প্রতিবছরের মতো এবারও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোজায় নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা আগে থেকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র উল্টো। সব পণ্যের দাম প্রতিবছরের মতো বাড়লেও এবারও কোনো মনিটরিং ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা। 

আজ মঙ্গলবার সকালে চরফ্যাশন কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা মো. হেলাল, কবির হোসেন ও মো. রফিক জানান, বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। গোল বেগুন ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কাঁচা কলা হালিপ্রতি ৪৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪৫ টাকা ও লেবুর হালি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

সবজি কিনতে আসা রুহুল আমিন বলেন, ‘রোজার আগে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্যান চালাতাম। রোজা রেখে এখন আর পারি না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্যান চালাই। এ কারণে আয়-রোজগার কম হয়। রোজা এলেই সবজির দাম বাড়ায় দেয় দোকানদাররা। ৩০ টাকার এক কেজি মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা দিয়ে কিনছি।’ 

রুহুল আমিনের মতো সবজি ক্রেতা দিনমজুর মো. ইদ্রিস, আবদুল হাই, আজিজুল হক বলেন, ‘রোজা শুরু হয়েছে, বাড়ির প্রায় সবাই রোজা আছে। তাই বাজারে আসলাম কিছু সবজি কিনতে। কিন্তু গত সপ্তাহে যে দামে কিনেছি আজ দেখি দাম প্রায় দ্বিগুণ। এত বেশি দামে সবজি কেনার সামর্থ্য আমাদের মতো মানুষের নাই।’ 

কাঁচা সবজির আড়তদার কাইয়ুম বাণিজ্যালয়ের মালিক আবদুল কাইয়ুম মিয়াজি বলেন, ‘পাইকারি প্রতি মণ শসা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা, গত সপ্তাহে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই অবস্থা বেগুনের বেলায়ও। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। কাঁচা মরিচের মণ হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। একাধিক সবজির সরবরাহ কম থাকায় কিছুটা দাম বেড়েছে।’ 

চরফ্যাশন কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জামাল বলেন, ‘৪-৫ ধরনের সবজির সরবরাহ কম থাকায় এ অঞ্চলে দাম একটু বেশি থাকে। তা ছাড়া মোকাম থেকে সবজি আনতে বহন খরচও বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে সবজির দাম কমে যাবে। তবে চরফ্যাশন উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হওয়ায় অন্য জেলার তুলনায় এখানে দাম কম।’ 

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে কাঁচা সবজির দাম বাড়ায় সাধারণ ভোক্তারা বিপাকে পড়েছেন। বাজার মনিটরিং চলমান রয়েছে। তবে কোনো ব্যবসায়ী যদি এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে থাকে তাহলে ওই সব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত