Ajker Patrika

দায়িত্ব পালনে কোস্ট গার্ডকে বাধা, লঞ্চ মালিক-শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
কোস্ট গার্ডের সদস্যদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নানা হয়রানির অভিযোগ করেন লঞ্চের যাত্রীরা। আজ শুক্রবার বরিশাল লঞ্চঘাটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের সদস্যদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নানা হয়রানির অভিযোগ করেন লঞ্চের যাত্রীরা। আজ শুক্রবার বরিশাল লঞ্চঘাটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কোস্ট গার্ডের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-বরিশাল রুটের কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিক ও তাঁর ছেলেসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঈদে নৌপথে ঘরমুখী যাত্রীদের হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে হস্তক্ষেপ করায় কোস্ট গার্ড সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।

আজ শুক্রবার বিকেলে কোস্ট গার্ড দক্ষিণাঞ্চল জোনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. শাহজালাল বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লঞ্চের মালিক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস, তাঁর ছেলে শান্ত হাসান ও লঞ্চের ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজন কর্মচারীকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় লঞ্চের দুজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তবে তাৎক্ষণিক তাঁদের নাম জানানো হয়নি। জানা গেছে, কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ব্যবস্থাপক ও মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হন।

জানা গেছে, কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছাড়ার নির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু লঞ্চটি ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পরে। গভীর রাতে লঞ্চ মাঝ নদীতে থামিয়ে ট্রলার থেকে আরও যাত্রী তোলা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, ১ হাজার ৫৫০ জন ধারণ ক্ষমতার লঞ্চটিতে প্রায় চার হাজার যাত্রী তোলা হয়েছিল। গভীর রাত বৃষ্টি হয়। তখন ছাদের যাত্রীরা যাতে নিচে নামতে না পারেন, সে জন্য সিঁড়ির গেটে কর্মচারীরা তালা লাগিয়ে দেন। এতে ছাদে থাকা নারী শিশু যাত্রীসহ সবাই বৃষ্টিতে ভিজে চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

আজ সকালে লঞ্চটি বরিশাল নৌবন্দরে পৌঁছালে যাত্রীরা এর প্রতিবাদ করেন। তখন লঞ্চের কর্মচারীরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশ লঞ্চে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দেয়।

কোস্ট গার্ড প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, এরপরেই লঞ্চ মালিক ও তাঁর ছেলেসহ অন্যরা লঞ্চঘাটে গিয়ে কোস্ট গার্ডের সদস্যদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। তাঁদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয়। কোস্ট গার্ড দুজনকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। যাত্রীদের হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে লঞ্চ মালিক ফৌরদৌস তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে লঞ্চমালিক ফেরদৌস বলেন, ‘কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ ৯৫০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশালে পৌঁছায়। পথে ইঞ্জিন সমস্যা হওয়ায় পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টা দেরি হয়। বরিশালে পৌঁছার পর ডেকের (তৃতীয় শ্রেণি) একদল যাত্রী ১৫০ টাকা ভাড়া দিতে চান। সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৪০০ টাকা। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে হট্টগোল হয়। তখন কোস্ট গার্ড গিয়ে যাত্রীদের ২০০ টাকা ভাড়া দিতে বলে। কোস্ট গার্ড এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেছে। এ বিষয়ে আমি আইনি প্রতিকার চাইব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ৪ বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার পর যা বলল ইইউ

আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না, বিস্ফোরক তামিম

কাগজে-কলমে মেয়র হওয়ায় দায়িত্ব পালন করলাম: জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে ইশরাক

এপ্রিলে নির্বাচন ঘোষণায় বিএনপি ও জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত