নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
লেখক ও অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আন্দোলনের স্বার্থে যাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, এখন তাঁরা নিজেরাই মারামারি করছেন। বিপ্লবের ইতিহাস দেখবেন, বিপ্লব নিজেই নিজের ছেলেদের খেয়ে ফেলে। আমরা নানাদিক থেকে দাবি উত্থাপন করেছি, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সভা-সমিতি করার অধিকার ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বাস্তব ক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো সংস্কার করার বিষয়ে হাতই দেয়নি। একই অবস্থা আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিষয়েও প্রযোজ্য।’
আজ শুক্রবার দুপুরে বরিশাল নগরীর অশ্বিনীকুমার হলের সামনে অনুষ্ঠিত গণ-অভ্যুত্থান ও গণ-আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল জেলা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘এই আন্দোলন আমাদের নতুন কথা উত্থাপন করার অবকাশ দিয়েছে। এর মধ্যে অভ্যুত্থানের আপাতত সার্থকতা। অভ্যুত্থানের সামনে অজস্র বিবাদ বিরাজমান। অনেকেই বিপথগামী হতে চাচ্ছেন। নৈরাজ্য তৈরি করলে হবে না, আমাদের গভীর ধৈর্যের সাথে এ অগ্নিপরীক্ষায় পার হতে হবে।’
ড. সলিমুল্লাহ আরও বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হচ্ছে। মূল উৎপাদন শক্তি বিদ্যুৎ, যা না থাকলে কারখানা চলে না। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখা যাচ্ছে, আমরা যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছি না। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কোনো কাজে আসছে না। ভারত, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে তা কোনো কাজে আসছে না। অথচ আমাদের কল-কারাখানা, ঘরবাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত না রাখলে উৎপাদন হচ্ছে না।’
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘মেধার প্রশ্ন না তুলে জাতি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বুনিয়াদি শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল-কলেজ, ছাত্র-শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলে আমরা এমন এক নতুন প্রজন্ম পাব, তারা দেশের জন্য উন্নত জনশক্তির শর্ত পূরণ করবে।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজয় শুভ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি জহিরুল ইসলাম কচি, ববির বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উন্মেষ রায়, সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার, স্টুডেন্ট অ্যাকটিভিস্ট সাইদুল হক নিশান, বরিশাল ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ, অ্যাডভোকেট তপংকর চক্রবর্তী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দুলাল মজুমদার প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেছেন জেলা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক হুজাইফা রহমান।
লেখক ও অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ‘আন্দোলনের স্বার্থে যাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, এখন তাঁরা নিজেরাই মারামারি করছেন। বিপ্লবের ইতিহাস দেখবেন, বিপ্লব নিজেই নিজের ছেলেদের খেয়ে ফেলে। আমরা নানাদিক থেকে দাবি উত্থাপন করেছি, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সভা-সমিতি করার অধিকার ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বাস্তব ক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো সংস্কার করার বিষয়ে হাতই দেয়নি। একই অবস্থা আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিষয়েও প্রযোজ্য।’
আজ শুক্রবার দুপুরে বরিশাল নগরীর অশ্বিনীকুমার হলের সামনে অনুষ্ঠিত গণ-অভ্যুত্থান ও গণ-আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল জেলা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘এই আন্দোলন আমাদের নতুন কথা উত্থাপন করার অবকাশ দিয়েছে। এর মধ্যে অভ্যুত্থানের আপাতত সার্থকতা। অভ্যুত্থানের সামনে অজস্র বিবাদ বিরাজমান। অনেকেই বিপথগামী হতে চাচ্ছেন। নৈরাজ্য তৈরি করলে হবে না, আমাদের গভীর ধৈর্যের সাথে এ অগ্নিপরীক্ষায় পার হতে হবে।’
ড. সলিমুল্লাহ আরও বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হচ্ছে। মূল উৎপাদন শক্তি বিদ্যুৎ, যা না থাকলে কারখানা চলে না। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখা যাচ্ছে, আমরা যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছি না। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কোনো কাজে আসছে না। ভারত, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে তা কোনো কাজে আসছে না। অথচ আমাদের কল-কারাখানা, ঘরবাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত না রাখলে উৎপাদন হচ্ছে না।’
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘মেধার প্রশ্ন না তুলে জাতি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বুনিয়াদি শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল-কলেজ, ছাত্র-শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলে আমরা এমন এক নতুন প্রজন্ম পাব, তারা দেশের জন্য উন্নত জনশক্তির শর্ত পূরণ করবে।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজয় শুভ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি জহিরুল ইসলাম কচি, ববির বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উন্মেষ রায়, সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার, স্টুডেন্ট অ্যাকটিভিস্ট সাইদুল হক নিশান, বরিশাল ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ, অ্যাডভোকেট তপংকর চক্রবর্তী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দুলাল মজুমদার প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেছেন জেলা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক হুজাইফা রহমান।
ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব এবং তাঁর ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল আলম সমরের বাড়িতে হামলার সময় প্রতিরোধ করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন পাঁচ-ছয়জন।
৫ মিনিট আগেরংপুর নগরে অগ্নিকাণ্ডে একটি তুলার কারখানাসহ পাশের চারটি ওষুধের দোকান পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বুড়িহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
৯ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে বন বিভাগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির ৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন রাজেন্দ্রপুর পূর্ব বিট কর্মকর্তা কে বি এম ফেরদৌস।
১৪ মিনিট আগেকাজের জন্য লিবিয়ায় গিয়ে সেখানকার একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির নির্যাতনের শিকার বিভিন্ন জেলার ২৭ বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন। লিবিয়া থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তাঁরা এ আবেদন জানান। নির্যাতনের শিকার ওই শ্রমিকেরা হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, কুষ
২২ মিনিট আগে