মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের মুলাদীতে সেচ দিয়ে প্রায় ৩৮ একর জমির রবিশস্য ডোবানোর অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে উত্তর বালিয়াতলী এলাকার রবিশস্য নষ্টের অভিযোগ ওঠে। ইউপি সদস্যের সেচ প্রকল্পে বোরো ধান চাষ করতে না চাওয়ায় ফসল নষ্ট করেছেন বলে অভিযোগ চাষিদের।
তবে ইউপি সদস্যের দাবি, কৃষকেরা ইরি ধান চাষ না করার বিষয়টি আগে না জানানোয় সেচের কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে কিছু কৃষকের সরিষা, গম ও ডাল নষ্ট হলেও কোনো চাষির জমিতে ইচ্ছাকৃত সেচ দেওয়া হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী মৌজায় প্রায় ৪০ একর জমিতে দুই ও তিন ফসলি জমি রয়েছে। গত দুই বছর সেচের সাহায্যে ইরি ধান চাষ করে অনেক লোকসান হয়েছে। তাই কৃষকেরা এ বছর ধানের বদলে সরিষা, গম, খেসারি ডাল চাষের সিদ্ধান্ত নেন। সেচের সঙ্গে জড়িতদের জানিয়েই প্রায় ৩৮ একর জমিতে রবিশস্য চাষ করা হয়েছে। এতে সেচ প্রকল্পের নেতা ইউপি সদস্য জসিম ক্ষিপ্ত হন এবং খেতে ইচ্ছেকৃত সেচের পানি দিয়ে ফসল নষ্ট করে দেন।
বালিয়াতলী গ্রামের আব্দুল করিম মাল বলেন, ইরি চাষ অনেক ব্যয়বহুল। ফলন ভালো না হওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই কিছুটা লাভের আশায় এ বছর সম্মিলিতভাবে রবিশস্য চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কৃষকের রবিশস্য চাষের পর থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দীন হাওলাদার ও তার সহযোগীরা সেচ প্রকল্প শুরু করেন। তাঁরা মাত্র এক একর জমিতে ইরি ধান চাষ করছেন। আর সেচের নামে পানি দিয়ে কৃষকের ফসল নষ্ট করছেন।
তিনি আরেও বলেন, সেচ প্রকল্প বন্ধের জন্য ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৩৮ একর জমির ফসল সেচের কারণে নষ্ট হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দীন হাওলাদার বলেন, ইরি ধান চাষ না করার বিষয়টি কৃষকেরা আগে অবহিত করেননি। ওই জমিতে ছয় বছর ধরে ইরি চাষ হচ্ছে এবং তিন বছর ধরে বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে সেচ দিয়ে চাষের কার্যক্রম চলছে। এতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। খরচের টাকা ওঠাতে এ বছরও ইরি ধান চাষের জন্য কৃষকদের অনুরোধ করা হয়েছে। কিছু কৃষক রাজি হওয়ায় সেচ প্রকল্প শুরু হয়েছে। এতে কিছু নিচু জমির রবিশস্য নষ্ট হতে পারে। কিন্তু কারও জমিতে ইচ্ছেকৃত সেচ দিয়ে ফসল নষ্ট করা হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তর বালিয়াতলী এলাকার কৃষকদের আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পেয়ে আমি অপারগতা প্রকাশ করেছি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছিল।’
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসনাত জাহান খান বলেন, কৃষকেরা না চাইলে ইরি ধান চাষে বাধ্য করা যাবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশালের মুলাদীতে সেচ দিয়ে প্রায় ৩৮ একর জমির রবিশস্য ডোবানোর অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে উত্তর বালিয়াতলী এলাকার রবিশস্য নষ্টের অভিযোগ ওঠে। ইউপি সদস্যের সেচ প্রকল্পে বোরো ধান চাষ করতে না চাওয়ায় ফসল নষ্ট করেছেন বলে অভিযোগ চাষিদের।
তবে ইউপি সদস্যের দাবি, কৃষকেরা ইরি ধান চাষ না করার বিষয়টি আগে না জানানোয় সেচের কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে কিছু কৃষকের সরিষা, গম ও ডাল নষ্ট হলেও কোনো চাষির জমিতে ইচ্ছাকৃত সেচ দেওয়া হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী মৌজায় প্রায় ৪০ একর জমিতে দুই ও তিন ফসলি জমি রয়েছে। গত দুই বছর সেচের সাহায্যে ইরি ধান চাষ করে অনেক লোকসান হয়েছে। তাই কৃষকেরা এ বছর ধানের বদলে সরিষা, গম, খেসারি ডাল চাষের সিদ্ধান্ত নেন। সেচের সঙ্গে জড়িতদের জানিয়েই প্রায় ৩৮ একর জমিতে রবিশস্য চাষ করা হয়েছে। এতে সেচ প্রকল্পের নেতা ইউপি সদস্য জসিম ক্ষিপ্ত হন এবং খেতে ইচ্ছেকৃত সেচের পানি দিয়ে ফসল নষ্ট করে দেন।
বালিয়াতলী গ্রামের আব্দুল করিম মাল বলেন, ইরি চাষ অনেক ব্যয়বহুল। ফলন ভালো না হওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই কিছুটা লাভের আশায় এ বছর সম্মিলিতভাবে রবিশস্য চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কৃষকের রবিশস্য চাষের পর থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দীন হাওলাদার ও তার সহযোগীরা সেচ প্রকল্প শুরু করেন। তাঁরা মাত্র এক একর জমিতে ইরি ধান চাষ করছেন। আর সেচের নামে পানি দিয়ে কৃষকের ফসল নষ্ট করছেন।
তিনি আরেও বলেন, সেচ প্রকল্প বন্ধের জন্য ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৩৮ একর জমির ফসল সেচের কারণে নষ্ট হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দীন হাওলাদার বলেন, ইরি ধান চাষ না করার বিষয়টি কৃষকেরা আগে অবহিত করেননি। ওই জমিতে ছয় বছর ধরে ইরি চাষ হচ্ছে এবং তিন বছর ধরে বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে সেচ দিয়ে চাষের কার্যক্রম চলছে। এতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। খরচের টাকা ওঠাতে এ বছরও ইরি ধান চাষের জন্য কৃষকদের অনুরোধ করা হয়েছে। কিছু কৃষক রাজি হওয়ায় সেচ প্রকল্প শুরু হয়েছে। এতে কিছু নিচু জমির রবিশস্য নষ্ট হতে পারে। কিন্তু কারও জমিতে ইচ্ছেকৃত সেচ দিয়ে ফসল নষ্ট করা হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তর বালিয়াতলী এলাকার কৃষকদের আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পেয়ে আমি অপারগতা প্রকাশ করেছি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছিল।’
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসনাত জাহান খান বলেন, কৃষকেরা না চাইলে ইরি ধান চাষে বাধ্য করা যাবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে মারা যাওয়া ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির (৩২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মৃত বাবলুর মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে জ্যোতির মরদেহ নিয়ে পৌঁছান স্বজনেরা। এ সময় স্বজনদের...
৩৩ মিনিট আগেচাঁদাবাজি, দখলদারি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তিন নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির বেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে...
৪২ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমীন মাদানীর নামে প্রতিষ্ঠিত একটি মসজিদের উন্নয়নে দুই অর্থবছরে তিনটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্পের কাজই পূর্ণতা পায়নি। একটির কাজ করাই হয়নি, অন্যটির কাজ আংশিক হয়ে থেমে আছে, আরেকটিতে কেবল নামফলক বসিয়েই..
১ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ পাওয়া সাতটি প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ। যদিও দাপ্তরিক নথিতে সব প্রকল্পই ‘প্রায় সম্পন্ন’ হিসেবে দেখানো হয়েছে, তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
৩ ঘণ্টা আগে