Ajker Patrika

বরিশালের মুলাদীতে দুই দিনে তিন বাড়িতে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
Thumbnail image

বরিশালের মুলাদীতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। কয়েক ঘণ্টা পেরোতেই রাত ১টায় আরও বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। বিকট শব্দে আতঙ্ক নিয়ে রাত পার করেন এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় ফের মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার এতোগুলো বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। 

বাটামারা ইউনিয়নের তয়কা ও টুমচর গ্রামের তিনটি বাড়ি থেকে দুই দিনে বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন স্থানীয়রা। বোমাগুলো খড়ের গাদা, লাকড়ির ঘর ও বাথরুমে রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বোমা বিস্ফোরণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বাটামারা ইউনিয়নের তয়কা গ্রামের আব্দুল মাজেদ জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে তয়কা গ্রামের মৃত গণি খানের ছেলে আফজাল খানের খড়ের গাদার মধ্যে রাখা প্রায় ২০টি বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে খড়ের গাদা উড়ে গেছে। ওই ঘটনার সাড়ে ৩ ঘণ্টা পরে রাত ১টার দিকে একই গ্রামের মোতালেব ভূইয়ার ছেলে মোমিন ভুঁইয়ার লাকড়ির ঘরে পরপর ১৫–১৬টি বিস্ফোরণ ঘটে। গভীর রাতে বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

উপজেলার টুমচর গ্রামের বাসিন্দা বাকিউল্লাহ বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার টুমচর গ্রামের হাকিম সিকদারের ছেলে নাসির সিকদারের বাথরুমের মধ্যে ১৬–১৭টি বোমার বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পর বাটামারা জগরণী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিস্ফোরণের আলামত জব্দ করেন। 

স্থানীয়দের ধারণা, বাটামারা ইউনিয়নে কয়েকটি গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হতো। সেসব সংঘর্ষে বোমা বিস্ফোরণও ঘটানো হতো। সম্প্রতি শান্তি সমাবেশের পর সংঘর্ষ বন্ধ হয়। তবে কেউ কেউ হয়তো বোমা জড়ো করে রেখেছিল। প্রচণ্ড গরমে সেগুলোই বিস্ফোরিত হয়েছে। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুলাদী থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা শুনেছি এবং ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত জব্দ করেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত