এস এস শোহান, বাগেরহাট

দখল, দূষণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বাগেরহাট পৌরসভার অভ্যন্তরের সব খাল। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নাব্যতা হারানো খালগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে রোগবালাইসহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।
এদিকে অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরিসহ দখল ও দূষণমুক্ত করতে প্রশাসন একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও দখলদারদের চাপে বারবার ভেস্তে গেছে সেসব উদ্যোগ। সরকারি তফসিলভুক্ত রেকর্ডীয় খালগুলো দখলমুক্ত এবং পুনঃখনন করে ভোগান্তি নিরসনের দাবি পৌরবাসীর। শুধু গতানুগতিক আশ্বাস নয়, বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে তারা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট পৌরসভার তফসিলভুক্ত খাল রয়েছে ৫টি। সেগুলো হলো নাগেরবাজার খাল, বাসাবাটি খাল, বাইলের খাল, সরুই ও হাড়িখালি খাল। তালিকাভুক্ত এই পাঁচ খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩ কিলোমিটার। এসব খালের সীমানার মধ্যে ৫ শতাধিক পাকা ইমারত এবং সহস্রাধিক টিন-কাঠের স্থাপনা রয়েছে। ময়লা-আবর্জনায় ভরা প্রতিটি খাল। তফসিলভুক্ত খাল ৫টির বাইরে হরিণখানা এবং ওয়াবদা নামের দুটি খাল রয়েছে। দুটিই এখন মৃতপ্রায়।
সরেজমিনে শহরের নাগেরবাজার খাল ঘুরে দেখা গেছে, শহরের প্রধান সড়কের নাগেরবাজার পোলের দুই পাশে বয়ে চলেছে নাগেরবাজার খাল। এই ব্রিজের এক পাশে খালের অর্ধেকজুড়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলামের সুউচ্চ ভবন। পুরো খালের দুই তীরজুড়ে দখলের স্পষ্ট ছাপ। উভয় তীরে রয়েছে এ রকম অসংখ্য কাঁচা-পাকা স্থাপনা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, খালটি একসময় ২৫-২৫ ফুট চওড়া থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ১০-১৫ ফুট। তা-ও প্রতিনিয়ত দখলের চেষ্টা করছে প্রভাবশালীরা। দীর্ঘদিন খনন না করা এবং নিয়মিত ময়লা ফেলায় নাব্যতা নেই বললেই চলে। প্রবহমান খালটি এখন নালায় পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খাল দখল করে বড় বড় পাকা ভবন তৈরি করেছে। ফলে বর্ষার মৌসুমজুড়েই জলাবদ্ধতা থাকে। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা বাসা ভাড়া দিতে পারে না। একবার বৃষ্টি হলে ১৫ দিন হাঁটুপানি থাকে। পানি নিষ্কাশনের কোনো অবস্থা নেই।
শহরের বাসাবাটি-পালপাড়া এলাকার উৎপল মণ্ডল বলেন, পৌরসভার ভেতর দিয়ে প্রবহমান খালগুলো দিয়ে একসময় বড় বড় নৌকা চলাচল করত। খালে গোসল ও সাঁতার কাটা যেত। এখন মরে গিয়ে খাল চেনার উপায় নেই। বর্ষা মৌসুমে পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমার দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
মহিউদ্দিন মিরণ নামের এক ব্যক্তি বলেন, কোথাও দখল, আবার কোথাও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালগুলো মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব রেকর্ডীয় খাল দখলমুক্ত করে পুনঃখনন ও সংস্কার করা প্রয়োজন।
বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার রুহুল আমিন বলেন, এই পৌরসভার মধ্যে একটা খালেও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নেই। খালগুলো এখন মৃতপ্রায়। বিভিন্ন সময় মেয়র, ইউএনও, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ডিসি অফিসে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। খালগুলো যদি এভাবে মরে যেতে থাকে, তাহলে পৌরসভা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসিব বলেন, বাগেরহাট পৌরসভার খালগুলোর ওপর যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হলেও কিছুদিন পরে অজানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এই শহর দিনে দিনে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। শুধু গতানুগতিক আশ্বাস নয়, শহরকে বসবাসের উপযোগী রাখতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে খালগুলো খনন করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রিজভী বলেন, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৫টি খাল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকটাই অবৈধ দখলে। ৫ শতাধিক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে খালগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। সিটিসিএফটি প্রকল্পের মাধ্যমে কোস্টাল টাউনের ভেতরে এই ৫টি খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগির দরপত্র আহ্বান করে পৌরসভার ৫টি খাল সংস্কার করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। এতে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এই প্রকল্পে সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে দাবি এই কর্মকর্তার।

দখল, দূষণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বাগেরহাট পৌরসভার অভ্যন্তরের সব খাল। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নাব্যতা হারানো খালগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে রোগবালাইসহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।
এদিকে অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরিসহ দখল ও দূষণমুক্ত করতে প্রশাসন একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও দখলদারদের চাপে বারবার ভেস্তে গেছে সেসব উদ্যোগ। সরকারি তফসিলভুক্ত রেকর্ডীয় খালগুলো দখলমুক্ত এবং পুনঃখনন করে ভোগান্তি নিরসনের দাবি পৌরবাসীর। শুধু গতানুগতিক আশ্বাস নয়, বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে তারা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট পৌরসভার তফসিলভুক্ত খাল রয়েছে ৫টি। সেগুলো হলো নাগেরবাজার খাল, বাসাবাটি খাল, বাইলের খাল, সরুই ও হাড়িখালি খাল। তালিকাভুক্ত এই পাঁচ খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩ কিলোমিটার। এসব খালের সীমানার মধ্যে ৫ শতাধিক পাকা ইমারত এবং সহস্রাধিক টিন-কাঠের স্থাপনা রয়েছে। ময়লা-আবর্জনায় ভরা প্রতিটি খাল। তফসিলভুক্ত খাল ৫টির বাইরে হরিণখানা এবং ওয়াবদা নামের দুটি খাল রয়েছে। দুটিই এখন মৃতপ্রায়।
সরেজমিনে শহরের নাগেরবাজার খাল ঘুরে দেখা গেছে, শহরের প্রধান সড়কের নাগেরবাজার পোলের দুই পাশে বয়ে চলেছে নাগেরবাজার খাল। এই ব্রিজের এক পাশে খালের অর্ধেকজুড়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলামের সুউচ্চ ভবন। পুরো খালের দুই তীরজুড়ে দখলের স্পষ্ট ছাপ। উভয় তীরে রয়েছে এ রকম অসংখ্য কাঁচা-পাকা স্থাপনা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, খালটি একসময় ২৫-২৫ ফুট চওড়া থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ১০-১৫ ফুট। তা-ও প্রতিনিয়ত দখলের চেষ্টা করছে প্রভাবশালীরা। দীর্ঘদিন খনন না করা এবং নিয়মিত ময়লা ফেলায় নাব্যতা নেই বললেই চলে। প্রবহমান খালটি এখন নালায় পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খাল দখল করে বড় বড় পাকা ভবন তৈরি করেছে। ফলে বর্ষার মৌসুমজুড়েই জলাবদ্ধতা থাকে। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা বাসা ভাড়া দিতে পারে না। একবার বৃষ্টি হলে ১৫ দিন হাঁটুপানি থাকে। পানি নিষ্কাশনের কোনো অবস্থা নেই।
শহরের বাসাবাটি-পালপাড়া এলাকার উৎপল মণ্ডল বলেন, পৌরসভার ভেতর দিয়ে প্রবহমান খালগুলো দিয়ে একসময় বড় বড় নৌকা চলাচল করত। খালে গোসল ও সাঁতার কাটা যেত। এখন মরে গিয়ে খাল চেনার উপায় নেই। বর্ষা মৌসুমে পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমার দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
মহিউদ্দিন মিরণ নামের এক ব্যক্তি বলেন, কোথাও দখল, আবার কোথাও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালগুলো মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব রেকর্ডীয় খাল দখলমুক্ত করে পুনঃখনন ও সংস্কার করা প্রয়োজন।
বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার রুহুল আমিন বলেন, এই পৌরসভার মধ্যে একটা খালেও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নেই। খালগুলো এখন মৃতপ্রায়। বিভিন্ন সময় মেয়র, ইউএনও, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ডিসি অফিসে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। খালগুলো যদি এভাবে মরে যেতে থাকে, তাহলে পৌরসভা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসিব বলেন, বাগেরহাট পৌরসভার খালগুলোর ওপর যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হলেও কিছুদিন পরে অজানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এই শহর দিনে দিনে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। শুধু গতানুগতিক আশ্বাস নয়, শহরকে বসবাসের উপযোগী রাখতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে খালগুলো খনন করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রিজভী বলেন, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৫টি খাল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকটাই অবৈধ দখলে। ৫ শতাধিক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে খালগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। সিটিসিএফটি প্রকল্পের মাধ্যমে কোস্টাল টাউনের ভেতরে এই ৫টি খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগির দরপত্র আহ্বান করে পৌরসভার ৫টি খাল সংস্কার করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। এতে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এই প্রকল্পে সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে দাবি এই কর্মকর্তার।
এস এস শোহান, বাগেরহাট

দখল, দূষণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বাগেরহাট পৌরসভার অভ্যন্তরের সব খাল। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নাব্যতা হারানো খালগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে রোগবালাইসহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।
এদিকে অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরিসহ দখল ও দূষণমুক্ত করতে প্রশাসন একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও দখলদারদের চাপে বারবার ভেস্তে গেছে সেসব উদ্যোগ। সরকারি তফসিলভুক্ত রেকর্ডীয় খালগুলো দখলমুক্ত এবং পুনঃখনন করে ভোগান্তি নিরসনের দাবি পৌরবাসীর। শুধু গতানুগতিক আশ্বাস নয়, বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে তারা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট পৌরসভার তফসিলভুক্ত খাল রয়েছে ৫টি। সেগুলো হলো নাগেরবাজার খাল, বাসাবাটি খাল, বাইলের খাল, সরুই ও হাড়িখালি খাল। তালিকাভুক্ত এই পাঁচ খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩ কিলোমিটার। এসব খালের সীমানার মধ্যে ৫ শতাধিক পাকা ইমারত এবং সহস্রাধিক টিন-কাঠের স্থাপনা রয়েছে। ময়লা-আবর্জনায় ভরা প্রতিটি খাল। তফসিলভুক্ত খাল ৫টির বাইরে হরিণখানা এবং ওয়াবদা নামের দুটি খাল রয়েছে। দুটিই এখন মৃতপ্রায়।
সরেজমিনে শহরের নাগেরবাজার খাল ঘুরে দেখা গেছে, শহরের প্রধান সড়কের নাগেরবাজার পোলের দুই পাশে বয়ে চলেছে নাগেরবাজার খাল। এই ব্রিজের এক পাশে খালের অর্ধেকজুড়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলামের সুউচ্চ ভবন। পুরো খালের দুই তীরজুড়ে দখলের স্পষ্ট ছাপ। উভয় তীরে রয়েছে এ রকম অসংখ্য কাঁচা-পাকা স্থাপনা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, খালটি একসময় ২৫-২৫ ফুট চওড়া থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ১০-১৫ ফুট। তা-ও প্রতিনিয়ত দখলের চেষ্টা করছে প্রভাবশালীরা। দীর্ঘদিন খনন না করা এবং নিয়মিত ময়লা ফেলায় নাব্যতা নেই বললেই চলে। প্রবহমান খালটি এখন নালায় পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খাল দখল করে বড় বড় পাকা ভবন তৈরি করেছে। ফলে বর্ষার মৌসুমজুড়েই জলাবদ্ধতা থাকে। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা বাসা ভাড়া দিতে পারে না। একবার বৃষ্টি হলে ১৫ দিন হাঁটুপানি থাকে। পানি নিষ্কাশনের কোনো অবস্থা নেই।
শহরের বাসাবাটি-পালপাড়া এলাকার উৎপল মণ্ডল বলেন, পৌরসভার ভেতর দিয়ে প্রবহমান খালগুলো দিয়ে একসময় বড় বড় নৌকা চলাচল করত। খালে গোসল ও সাঁতার কাটা যেত। এখন মরে গিয়ে খাল চেনার উপায় নেই। বর্ষা মৌসুমে পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমার দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
মহিউদ্দিন মিরণ নামের এক ব্যক্তি বলেন, কোথাও দখল, আবার কোথাও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালগুলো মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব রেকর্ডীয় খাল দখলমুক্ত করে পুনঃখনন ও সংস্কার করা প্রয়োজন।
বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার রুহুল আমিন বলেন, এই পৌরসভার মধ্যে একটা খালেও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নেই। খালগুলো এখন মৃতপ্রায়। বিভিন্ন সময় মেয়র, ইউএনও, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ডিসি অফিসে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। খালগুলো যদি এভাবে মরে যেতে থাকে, তাহলে পৌরসভা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসিব বলেন, বাগেরহাট পৌরসভার খালগুলোর ওপর যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হলেও কিছুদিন পরে অজানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এই শহর দিনে দিনে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। শুধু গতানুগতিক আশ্বাস নয়, শহরকে বসবাসের উপযোগী রাখতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে খালগুলো খনন করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রিজভী বলেন, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৫টি খাল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকটাই অবৈধ দখলে। ৫ শতাধিক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে খালগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। সিটিসিএফটি প্রকল্পের মাধ্যমে কোস্টাল টাউনের ভেতরে এই ৫টি খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগির দরপত্র আহ্বান করে পৌরসভার ৫টি খাল সংস্কার করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। এতে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এই প্রকল্পে সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে দাবি এই কর্মকর্তার।

দখল, দূষণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বাগেরহাট পৌরসভার অভ্যন্তরের সব খাল। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নাব্যতা হারানো খালগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে রোগবালাইসহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।
এদিকে অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরিসহ দখল ও দূষণমুক্ত করতে প্রশাসন একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও দখলদারদের চাপে বারবার ভেস্তে গেছে সেসব উদ্যোগ। সরকারি তফসিলভুক্ত রেকর্ডীয় খালগুলো দখলমুক্ত এবং পুনঃখনন করে ভোগান্তি নিরসনের দাবি পৌরবাসীর। শুধু গতানুগতিক আশ্বাস নয়, বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে তারা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট পৌরসভার তফসিলভুক্ত খাল রয়েছে ৫টি। সেগুলো হলো নাগেরবাজার খাল, বাসাবাটি খাল, বাইলের খাল, সরুই ও হাড়িখালি খাল। তালিকাভুক্ত এই পাঁচ খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩ কিলোমিটার। এসব খালের সীমানার মধ্যে ৫ শতাধিক পাকা ইমারত এবং সহস্রাধিক টিন-কাঠের স্থাপনা রয়েছে। ময়লা-আবর্জনায় ভরা প্রতিটি খাল। তফসিলভুক্ত খাল ৫টির বাইরে হরিণখানা এবং ওয়াবদা নামের দুটি খাল রয়েছে। দুটিই এখন মৃতপ্রায়।
সরেজমিনে শহরের নাগেরবাজার খাল ঘুরে দেখা গেছে, শহরের প্রধান সড়কের নাগেরবাজার পোলের দুই পাশে বয়ে চলেছে নাগেরবাজার খাল। এই ব্রিজের এক পাশে খালের অর্ধেকজুড়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলামের সুউচ্চ ভবন। পুরো খালের দুই তীরজুড়ে দখলের স্পষ্ট ছাপ। উভয় তীরে রয়েছে এ রকম অসংখ্য কাঁচা-পাকা স্থাপনা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, খালটি একসময় ২৫-২৫ ফুট চওড়া থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ১০-১৫ ফুট। তা-ও প্রতিনিয়ত দখলের চেষ্টা করছে প্রভাবশালীরা। দীর্ঘদিন খনন না করা এবং নিয়মিত ময়লা ফেলায় নাব্যতা নেই বললেই চলে। প্রবহমান খালটি এখন নালায় পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খাল দখল করে বড় বড় পাকা ভবন তৈরি করেছে। ফলে বর্ষার মৌসুমজুড়েই জলাবদ্ধতা থাকে। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা বাসা ভাড়া দিতে পারে না। একবার বৃষ্টি হলে ১৫ দিন হাঁটুপানি থাকে। পানি নিষ্কাশনের কোনো অবস্থা নেই।
শহরের বাসাবাটি-পালপাড়া এলাকার উৎপল মণ্ডল বলেন, পৌরসভার ভেতর দিয়ে প্রবহমান খালগুলো দিয়ে একসময় বড় বড় নৌকা চলাচল করত। খালে গোসল ও সাঁতার কাটা যেত। এখন মরে গিয়ে খাল চেনার উপায় নেই। বর্ষা মৌসুমে পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমার দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
মহিউদ্দিন মিরণ নামের এক ব্যক্তি বলেন, কোথাও দখল, আবার কোথাও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে খালগুলো মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব রেকর্ডীয় খাল দখলমুক্ত করে পুনঃখনন ও সংস্কার করা প্রয়োজন।
বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার রুহুল আমিন বলেন, এই পৌরসভার মধ্যে একটা খালেও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নেই। খালগুলো এখন মৃতপ্রায়। বিভিন্ন সময় মেয়র, ইউএনও, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ডিসি অফিসে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। খালগুলো যদি এভাবে মরে যেতে থাকে, তাহলে পৌরসভা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসিব বলেন, বাগেরহাট পৌরসভার খালগুলোর ওপর যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হলেও কিছুদিন পরে অজানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এই শহর দিনে দিনে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। শুধু গতানুগতিক আশ্বাস নয়, শহরকে বসবাসের উপযোগী রাখতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে খালগুলো খনন করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রিজভী বলেন, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৫টি খাল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকটাই অবৈধ দখলে। ৫ শতাধিক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে খালগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। সিটিসিএফটি প্রকল্পের মাধ্যমে কোস্টাল টাউনের ভেতরে এই ৫টি খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগির দরপত্র আহ্বান করে পৌরসভার ৫টি খাল সংস্কার করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। এতে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এই প্রকল্পে সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে দাবি এই কর্মকর্তার।

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা...
৪ মিনিট আগে
দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৯ মিনিট আগে
খাদ্য বিভাগের উপপরিদর্শক পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় গোলাম রব্বানী নামে জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে আটকের পর এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৮ মিনিট আগে
নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি কোথায় ও কবে ঘটেছে সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি।
২৮ মিনিট আগেগঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার জামায়াত নেতা মোকলেছুর রহমান ও বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম মিলে দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হামিদুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে একইভাবে বালু উত্তোলন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তিস্তার ডান তীরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। কাজের দায়িত্বে থাকা শ্রমিক বাদল চন্দ্র রায় জানান, মোকলেছুর নামের এক ব্যক্তি হামিদুলের মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রিপন মিয়া বলেন, ‘এখানে প্রায় দেড় লাখ সেফটি বালু তোলা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্তত ৪০টি পরিবারের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে।’
জানতে চাইলে বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক মামলা খেয়েছি, ব্যবসা বন্ধ ছিল। তাই আবার শুরু করেছি।’ পরে সাংবাদিককে ‘বিকাশ নম্বর দিতে’ বলেও বিব্রতকর প্রস্তাব দেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে এবং জড়িত একজনকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার জামায়াত নেতা মোকলেছুর রহমান ও বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম মিলে দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হামিদুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে একইভাবে বালু উত্তোলন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তিস্তার ডান তীরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। কাজের দায়িত্বে থাকা শ্রমিক বাদল চন্দ্র রায় জানান, মোকলেছুর নামের এক ব্যক্তি হামিদুলের মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রিপন মিয়া বলেন, ‘এখানে প্রায় দেড় লাখ সেফটি বালু তোলা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্তত ৪০টি পরিবারের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে।’
জানতে চাইলে বালু ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক মামলা খেয়েছি, ব্যবসা বন্ধ ছিল। তাই আবার শুরু করেছি।’ পরে সাংবাদিককে ‘বিকাশ নম্বর দিতে’ বলেও বিব্রতকর প্রস্তাব দেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে এবং জড়িত একজনকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দখল, দূষণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বাগেরহাট পৌরসভার অভ্যন্তরের সব খাল। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নাব্যতা হারানো খালগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে রোগবালাইসহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।
১৯ মার্চ ২০২৫
দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৯ মিনিট আগে
খাদ্য বিভাগের উপপরিদর্শক পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় গোলাম রব্বানী নামে জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে আটকের পর এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৮ মিনিট আগে
নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি কোথায় ও কবে ঘটেছে সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি।
২৮ মিনিট আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংগঠিত চক্রের সদস্য, যারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে শহরের কেরি মেমোরিয়াল স্কুল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থী কৃষ্ণপদ রায়কে (২৫) ডিভাইসসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যে পরে স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে দুজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুন্দর রায় ওরফে সবুজ (৩২) ও মামুনুর রশিদ মামুনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে পাঁচটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, একাধিক সিম, বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও বেশ কয়েকটি স্ট্যাম্প জব্দ করেছে পুলিশ।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রথমে কৃষ্ণপদ রায়কে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ডিভাইসসহ ধরা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে আটক করা হয়। সেখানে ডিভাইসসহ পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। তাদের নাম-পরিচয় শনাক্তে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে প্রমাণ মিললে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংগঠিত চক্রের সদস্য, যারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে শহরের কেরি মেমোরিয়াল স্কুল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থী কৃষ্ণপদ রায়কে (২৫) ডিভাইসসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যে পরে স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে দুজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুন্দর রায় ওরফে সবুজ (৩২) ও মামুনুর রশিদ মামুনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে পাঁচটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, একাধিক সিম, বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও বেশ কয়েকটি স্ট্যাম্প জব্দ করেছে পুলিশ।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রথমে কৃষ্ণপদ রায়কে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ডিভাইসসহ ধরা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে আটক করা হয়। সেখানে ডিভাইসসহ পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। তাদের নাম-পরিচয় শনাক্তে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে প্রমাণ মিললে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

দখল, দূষণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বাগেরহাট পৌরসভার অভ্যন্তরের সব খাল। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নাব্যতা হারানো খালগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে রোগবালাইসহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।
১৯ মার্চ ২০২৫
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা...
৪ মিনিট আগে
খাদ্য বিভাগের উপপরিদর্শক পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় গোলাম রব্বানী নামে জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে আটকের পর এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৮ মিনিট আগে
নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি কোথায় ও কবে ঘটেছে সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি।
২৮ মিনিট আগেরংপুর প্রতিনিধি

খাদ্য বিভাগের উপপরিদর্শক পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় গোলাম রব্বানী নামে জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে আটকের পর এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রংপুর নগরীর সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এই আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মাহবুবে সোবহানী।
দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম রব্বানী জনতা ব্যাংক রংপুর করপোরেট শাখার কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের টিওরমারী গ্রামে। তিনি ওই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী রাহাদুজ্জামান সুজন নামে এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁর প্রক্সি হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মাহবুবে সোবহানী জানান, পরীক্ষার্থী রাহাদুজ্জামান সুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি খাদ্য বিভাগের আর কোনো পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
রংপুরে ৪৬টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খাদ্য অধিদপ্তরের উপখাদ্য পরিদর্শক পদে এ পরীক্ষা হয়। ৫০ হাজার ৭৭৫ জন পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেন।

খাদ্য বিভাগের উপপরিদর্শক পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় গোলাম রব্বানী নামে জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে আটকের পর এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রংপুর নগরীর সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এই আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মাহবুবে সোবহানী।
দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম রব্বানী জনতা ব্যাংক রংপুর করপোরেট শাখার কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের টিওরমারী গ্রামে। তিনি ওই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী রাহাদুজ্জামান সুজন নামে এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁর প্রক্সি হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মাহবুবে সোবহানী জানান, পরীক্ষার্থী রাহাদুজ্জামান সুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি খাদ্য বিভাগের আর কোনো পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
রংপুরে ৪৬টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খাদ্য অধিদপ্তরের উপখাদ্য পরিদর্শক পদে এ পরীক্ষা হয়। ৫০ হাজার ৭৭৫ জন পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেন।

দখল, দূষণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বাগেরহাট পৌরসভার অভ্যন্তরের সব খাল। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নাব্যতা হারানো খালগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে রোগবালাইসহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।
১৯ মার্চ ২০২৫
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা...
৪ মিনিট আগে
দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৯ মিনিট আগে
নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি কোথায় ও কবে ঘটেছে সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি।
২৮ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি কোথায় এবং কবে ঘটেছে সেই বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি।
শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় ছিনতাইয়ের ভিডিওটি।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘প্রকাশিত ভিডিও দেখে মদনপুর সিএনজিস্ট্যান্ডসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই অটোরিকশাটি বা ছিনতাইকারী চক্রের কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। থানায় এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগও কেউ করেননি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কক্সবাজারগামী একটি বাসের যাত্রী নাজির উদ্দিন শাহ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। ভিডিওর ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, ঘটনাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় রাত ১২টা ২০ মিনিটে ধারণ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত সিএনজির পেছনে এক ব্যক্তি ঝুলে আছেন। ভেতর থেকে দরজা খুলে দুই ব্যক্তি তাঁকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করা ব্যক্তির দাবি, ঝুলে থাকা ব্যক্তিটি সিএনজিচালক। তাঁর অটোরিকশা ছিনতাইকারীদের থেকে রক্ষায় ঝুলে আছেন। আর ভেতর থেকে ছিনতাইকারীরা তাঁকে আঘাত করে যাচ্ছে।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ‘ভিডিওটি আমরা দেখেছি। তবে ঘটনাস্থল শনাক্ত করতে ও সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। ঘটনাটি কবে এবং কোথায় ঘটেছে, তা যাচাই চলছে।’
তবে ভিডিওতে দেখা যায়, সিএনজি অটোরিকশাটি সড়কের একটি লেন পরিবর্তন করে সোজা এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু দূর এগোতেই ওপরে সালাম স্টিলের একটি আলোকিত বিজ্ঞাপন দেখা যায়। রাস্তা এবং বিজ্ঞাপনস্থল দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন স্থানটি মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এবং সড়কটি চট্টগ্রামমুখী।
এর আগেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড এলাকায় রাতের আঁধারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রাইভেট কার থামিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে বাসযাত্রীদের মাধ্যমে।
এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে মোবাইল ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও মহাসড়কে স্বস্তি ফেরেনি।

নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি কোথায় এবং কবে ঘটেছে সেই বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি।
শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় ছিনতাইয়ের ভিডিওটি।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘প্রকাশিত ভিডিও দেখে মদনপুর সিএনজিস্ট্যান্ডসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই অটোরিকশাটি বা ছিনতাইকারী চক্রের কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। থানায় এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগও কেউ করেননি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কক্সবাজারগামী একটি বাসের যাত্রী নাজির উদ্দিন শাহ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। ভিডিওর ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, ঘটনাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় রাত ১২টা ২০ মিনিটে ধারণ করা হয়েছে।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত সিএনজির পেছনে এক ব্যক্তি ঝুলে আছেন। ভেতর থেকে দরজা খুলে দুই ব্যক্তি তাঁকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করা ব্যক্তির দাবি, ঝুলে থাকা ব্যক্তিটি সিএনজিচালক। তাঁর অটোরিকশা ছিনতাইকারীদের থেকে রক্ষায় ঝুলে আছেন। আর ভেতর থেকে ছিনতাইকারীরা তাঁকে আঘাত করে যাচ্ছে।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ‘ভিডিওটি আমরা দেখেছি। তবে ঘটনাস্থল শনাক্ত করতে ও সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। ঘটনাটি কবে এবং কোথায় ঘটেছে, তা যাচাই চলছে।’
তবে ভিডিওতে দেখা যায়, সিএনজি অটোরিকশাটি সড়কের একটি লেন পরিবর্তন করে সোজা এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু দূর এগোতেই ওপরে সালাম স্টিলের একটি আলোকিত বিজ্ঞাপন দেখা যায়। রাস্তা এবং বিজ্ঞাপনস্থল দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন স্থানটি মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এবং সড়কটি চট্টগ্রামমুখী।
এর আগেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড এলাকায় রাতের আঁধারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রাইভেট কার থামিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে বাসযাত্রীদের মাধ্যমে।
এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে মোবাইল ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও মহাসড়কে স্বস্তি ফেরেনি।

দখল, দূষণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বাগেরহাট পৌরসভার অভ্যন্তরের সব খাল। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নাব্যতা হারানো খালগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে রোগবালাইসহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।
১৯ মার্চ ২০২৫
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুকে দিনদুপুরে চলছিল প্রকাশ্যে বালু লুট। অবশেষে আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান ডাক্তারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা...
৪ মিনিট আগে
দিনাজপুরে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের উদ্দেশ্যে ডিভাইস ব্যবহারকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার স্বপ্নচূড়া ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৯ মিনিট আগে
খাদ্য বিভাগের উপপরিদর্শক পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় গোলাম রব্বানী নামে জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে আটকের পর এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৮ মিনিট আগে