নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বুধবার রাইড শেয়ারিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবে অবস্থান নেন রাইডাররা। পরে বাইক মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগে যান। সেখানে ২০ মিনিট অবস্থানের পর দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
প্রেস ক্লাবে অবস্থানকালে রাইডাররা তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়ে অবিলম্বে রাইড শেয়ার চালু করার জোর দাবি জানান। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়, তাদের দাবিসমূহ বিআরটিএকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই তারা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।
সেখান থেকে রাইডাররা একটি বাইক মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান। তাদের সাথে আজিমপুর, শান্তিনগর, ফার্মগেট থেকে আরও কয়েকশ রাইডার শাহবাগে এসে আন্দোলনে যোগ দেন। এসময় শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রমনা ও শাহবাগ থানা পুলিশের আশ্বাসে রাইডাররা ২ দিনের আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। আগামী শনিবারের মধ্যে রাইড শেয়ারিং চালুর ঘোষণা না আসলে আগামী রোববার সকাল ১০টায় প্রেস ক্লাব এলাকায় তারা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শৌখিন আহমেদ জানান, তিনি তিতুমীর কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে মার্স্টাস করেছেন। দুই বছর আগে তার বাবা মারা যান। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। করোনার আগে একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কিন্তু গত বছরের এপ্রিল থেকে তিনি বেকার। এরপর রাইড শেয়ার করেই পরিবার চালিয়েছেন। সংসার চলাতে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা খরচ হয়। রাইড শেয়ারিং করে কোনমতে চলে যাচ্ছে। এদিকে সামনে রমজান, এখন হুট করে রাইড শেয়ারিং বন্ধ করে দিলে তাদের রাস্তায় বসে পড়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
সৈয়দ সাদী হক গতকাল সকালে বাইক নিয়ে বের হওয়ার পরেই একজন সার্জেন্ট তাকে আটকে ১০০০ টাকার মামলা দিয়েছেন। সাদী বলেন, ‘দিনে যা আয় করি তার অর্ধেক ট্রাফিককে দিয়ে দিতে হয়। রাস্তায় বের হলেই মামলা, কারণে-অকারণে মামলা। কোন সমস্যা না থাকলেও সমস্যা বের করে মামলা দেয়। বিভিন্ন জায়গায় এমনিতেই অনেক সময় ১০০-২০০ টাকা দেওয়া লাগে। না দিলে ৫০০-১০০০ টাকার মামলা দিয়ে দেয়। ট্রাফিকের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে আছি।’
এ সময় অনেক রাইডার ট্রাফিকের মামলার কাগজ দেখান।
মালিবাগের আবদুল্লাহ আল জাবির বলেন, ‘একটু অতিরিক্ত আয়ের আশায় একেবারে শুরু থেকেই রাইড শেয়ার করছি। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে রাইড শেয়ার বন্ধ করে দেওয়া খুবই অমূলক একটা সিদ্ধান্ত। বাইকে কেউ মুখোমুখি বসে না। মুখোমুখি না বসলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকার কথা না। গণপরিবহন চলছে, ট্রেন চলছে, লঞ্চ চলছে। এসবে তো মানুষ মুখোমুখি, পাশাপাশি বসে। তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি৷ সেগুলো চলছে অথচ রাইড শেয়ার বন্ধ।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার করোনা প্রতিরোধে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। বাসসহ সব গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যাত্রী তুলতে বলা হয়েছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বুধবার রাইড শেয়ারিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবে অবস্থান নেন রাইডাররা। পরে বাইক মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগে যান। সেখানে ২০ মিনিট অবস্থানের পর দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
প্রেস ক্লাবে অবস্থানকালে রাইডাররা তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়ে অবিলম্বে রাইড শেয়ার চালু করার জোর দাবি জানান। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়, তাদের দাবিসমূহ বিআরটিএকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই তারা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।
সেখান থেকে রাইডাররা একটি বাইক মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান। তাদের সাথে আজিমপুর, শান্তিনগর, ফার্মগেট থেকে আরও কয়েকশ রাইডার শাহবাগে এসে আন্দোলনে যোগ দেন। এসময় শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রমনা ও শাহবাগ থানা পুলিশের আশ্বাসে রাইডাররা ২ দিনের আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। আগামী শনিবারের মধ্যে রাইড শেয়ারিং চালুর ঘোষণা না আসলে আগামী রোববার সকাল ১০টায় প্রেস ক্লাব এলাকায় তারা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শৌখিন আহমেদ জানান, তিনি তিতুমীর কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে মার্স্টাস করেছেন। দুই বছর আগে তার বাবা মারা যান। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। করোনার আগে একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কিন্তু গত বছরের এপ্রিল থেকে তিনি বেকার। এরপর রাইড শেয়ার করেই পরিবার চালিয়েছেন। সংসার চলাতে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা খরচ হয়। রাইড শেয়ারিং করে কোনমতে চলে যাচ্ছে। এদিকে সামনে রমজান, এখন হুট করে রাইড শেয়ারিং বন্ধ করে দিলে তাদের রাস্তায় বসে পড়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
সৈয়দ সাদী হক গতকাল সকালে বাইক নিয়ে বের হওয়ার পরেই একজন সার্জেন্ট তাকে আটকে ১০০০ টাকার মামলা দিয়েছেন। সাদী বলেন, ‘দিনে যা আয় করি তার অর্ধেক ট্রাফিককে দিয়ে দিতে হয়। রাস্তায় বের হলেই মামলা, কারণে-অকারণে মামলা। কোন সমস্যা না থাকলেও সমস্যা বের করে মামলা দেয়। বিভিন্ন জায়গায় এমনিতেই অনেক সময় ১০০-২০০ টাকা দেওয়া লাগে। না দিলে ৫০০-১০০০ টাকার মামলা দিয়ে দেয়। ট্রাফিকের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে আছি।’
এ সময় অনেক রাইডার ট্রাফিকের মামলার কাগজ দেখান।
মালিবাগের আবদুল্লাহ আল জাবির বলেন, ‘একটু অতিরিক্ত আয়ের আশায় একেবারে শুরু থেকেই রাইড শেয়ার করছি। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে রাইড শেয়ার বন্ধ করে দেওয়া খুবই অমূলক একটা সিদ্ধান্ত। বাইকে কেউ মুখোমুখি বসে না। মুখোমুখি না বসলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকার কথা না। গণপরিবহন চলছে, ট্রেন চলছে, লঞ্চ চলছে। এসবে তো মানুষ মুখোমুখি, পাশাপাশি বসে। তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি৷ সেগুলো চলছে অথচ রাইড শেয়ার বন্ধ।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার করোনা প্রতিরোধে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। বাসসহ সব গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যাত্রী তুলতে বলা হয়েছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরীকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে পারিনি। এটি আমাদের ব্যর্থতা। তিনি ২০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিজের জীবন দিয়েছেন। এ দেশে বাহিনী ছাড়া সিভিলিয়ানরা...
১৮ মিনিট আগেচলছে শ্রাবণ মাস। বর্ষা মৌসুম। এই সময়ে টানা বৃষ্টি, স্যাঁতসেঁতে মাঠঘাট আর আকাশে মেঘের ঘনঘটা—এমন চিত্রই আমাদের কাছে চিরচেনা। কিন্তু উত্তরবঙ্গের জেলা পঞ্চগড়ে আজ বুধবার একদমই অন্য রকম সকালের চিত্র দেখা গেছে। ভোরবেলা ঘুম ভাঙতেই দেখা গেল—চারদিক কুয়াশায় ঢাকা। ঘাসে ঘাসে শিশির, রাস্তায় ঝাপসা আলো, যেন শীতকাল
২৮ মিনিট আগেনিহতের সহকর্মী ওবায়দুর রহমান জানান, আতিকুর রহমান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর গ্রামে। রাজধানীর সবুজবাগ বাসাবো এলাকায় একটি মেসে থাকতেন। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান গ্রামে থাকেন।
৩৫ মিনিট আগেডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাকন মিয়া বলেন, ‘সকালে ডেমরার শাপলা চত্বর এলাকায় এক তরুণ গণপিটুনির শিকার হয়েছে বলে খবর পাই। পরে সেখানে গিয়ে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
৪৩ মিনিট আগে