নজরুল জাহিদ
একজোড়া কথকতা
কাছে এসো নতমুখী,
এ সময় হোক অক্ষয়
ময়ূরাক্ষী মেলে দেখো,
কী মায়ায় জেগেছে হৃদয়
পাশে বসো ম্লান মেঘ
মেলে দাও স্বস্তির ছায়া
অরূপ আলোয় ভেসে
প্রেম এসে হোক মহামায়া
ঘন চুল খোলা থাক
না হয় না হোক কোনো কথা
তুমি আছ, ভালোবাস,
এই সত্য ছড়াক বারতা।
অপরাধ
বেতস লতা তেঁতুল পাতা
অল্প হাওয়ায় তিরতিরিয়ে কাঁপে
শুভ্র রঙিন মোমবাতিটা
বিগলিত একটুখানি তাপে।
মোমবাতিটা পুড়ছে কেন
কাঁপছে কেন চিকন চিরল পাতা
মোহন ঢঙে আগুন জ্বলে
ঝড় বয়ে দেয় শরীর অনাঘ্রাতা।
আমার দোষই সবাই দেখে
নিরজনে একলা আমি কাঁদি
পুড়ছি বলে, কাঁপছি বলে
এই অবেলায় আমিই অপরাধী?
যেতে তো পারোই, কিন্তু কেন যাবে?
তোমার সাথে আমার দেখা
কবিতার প্রথম লাইনের মতো।
যে মায়ায় ফুল ফোটে
যে ছায়ায় শীতল হয় পথিকের মন
তুমিও তেমন
আমার কাঁধে রেখেছ প্রশ্রয়ের হাত।
যে প্রেমে বৃক্ষেরা ফলভারে নত হয়
সেই প্রেমে ঢেকে গেছে তাই
আমাদের সব পরাজয়।
তারপর পাড়ভাঙা অবিনাশী ঢেউ
স্বেদে স্বাদে শীৎকারে
শরীরের ভেতরে শরীর,
হৃদয়ের ভেতরে যেন ঢুকে গেছে
আরেকটি হৃদয়।
এত কাছে এসে কেউ
আবার কি দূরে যেতে পারে?
গল্পগুলো বলা হলো না
যেসব রাতে ঘুম আসে না
বিষাদ এসে বসে থাকে বিছানায়
সেই সব রাতের গল্পগুলো
শুনবে বলেছিলে…
স্লিপলেস ইন সিয়াটল সিনেমায়
বাচ্চাটার মাথার চুল
পরিপাটি করে দিচ্ছিল বাবা।
আর আমি কাঁদছিলাম।
কেন কাঁদলাম, কাউকে বলিনি এত দিন
তুমি শুনবে বলেছিলে…
পুরোনো বইয়ের ভাঁজে
গোলাপের শুকনো পাপড়ির ব্যথা
একলা দুপুরে ঘুঘুর ডাকের মায়া
নিশুতি রাতের তক্ষকের আর্তনাদ
বলা হলো না তোমাকে…
অনেক না পড়া বই, একসাথে পড়ব
অনেক না দেখা দেশ, একসাথে দেখব
অনেক না করা দুষ্টুমি, একসাথে করব
কথা ছিল, হলো না।
কী যেন হারিয়ে ফেলা বালকটার
কী যেন খুঁজে পাওয়ার আনন্দ
ফুরিয়ে গেল কদিনেই
তার হাহাকার আজ,
বাতাসে শিস কেটে যাওয়া চিলের ডাক হয়ে
আছড়ে পড়ে বাতাসেই…
সাত সমুদ্র তেরো নদী আর পার হয় না!
অতন্দ্রিলা, ঘুমিয়ে পড়লে?
গল্পগুলো শুনবে বলেছিলে!
একজোড়া কথকতা
কাছে এসো নতমুখী,
এ সময় হোক অক্ষয়
ময়ূরাক্ষী মেলে দেখো,
কী মায়ায় জেগেছে হৃদয়
পাশে বসো ম্লান মেঘ
মেলে দাও স্বস্তির ছায়া
অরূপ আলোয় ভেসে
প্রেম এসে হোক মহামায়া
ঘন চুল খোলা থাক
না হয় না হোক কোনো কথা
তুমি আছ, ভালোবাস,
এই সত্য ছড়াক বারতা।
অপরাধ
বেতস লতা তেঁতুল পাতা
অল্প হাওয়ায় তিরতিরিয়ে কাঁপে
শুভ্র রঙিন মোমবাতিটা
বিগলিত একটুখানি তাপে।
মোমবাতিটা পুড়ছে কেন
কাঁপছে কেন চিকন চিরল পাতা
মোহন ঢঙে আগুন জ্বলে
ঝড় বয়ে দেয় শরীর অনাঘ্রাতা।
আমার দোষই সবাই দেখে
নিরজনে একলা আমি কাঁদি
পুড়ছি বলে, কাঁপছি বলে
এই অবেলায় আমিই অপরাধী?
যেতে তো পারোই, কিন্তু কেন যাবে?
তোমার সাথে আমার দেখা
কবিতার প্রথম লাইনের মতো।
যে মায়ায় ফুল ফোটে
যে ছায়ায় শীতল হয় পথিকের মন
তুমিও তেমন
আমার কাঁধে রেখেছ প্রশ্রয়ের হাত।
যে প্রেমে বৃক্ষেরা ফলভারে নত হয়
সেই প্রেমে ঢেকে গেছে তাই
আমাদের সব পরাজয়।
তারপর পাড়ভাঙা অবিনাশী ঢেউ
স্বেদে স্বাদে শীৎকারে
শরীরের ভেতরে শরীর,
হৃদয়ের ভেতরে যেন ঢুকে গেছে
আরেকটি হৃদয়।
এত কাছে এসে কেউ
আবার কি দূরে যেতে পারে?
গল্পগুলো বলা হলো না
যেসব রাতে ঘুম আসে না
বিষাদ এসে বসে থাকে বিছানায়
সেই সব রাতের গল্পগুলো
শুনবে বলেছিলে…
স্লিপলেস ইন সিয়াটল সিনেমায়
বাচ্চাটার মাথার চুল
পরিপাটি করে দিচ্ছিল বাবা।
আর আমি কাঁদছিলাম।
কেন কাঁদলাম, কাউকে বলিনি এত দিন
তুমি শুনবে বলেছিলে…
পুরোনো বইয়ের ভাঁজে
গোলাপের শুকনো পাপড়ির ব্যথা
একলা দুপুরে ঘুঘুর ডাকের মায়া
নিশুতি রাতের তক্ষকের আর্তনাদ
বলা হলো না তোমাকে…
অনেক না পড়া বই, একসাথে পড়ব
অনেক না দেখা দেশ, একসাথে দেখব
অনেক না করা দুষ্টুমি, একসাথে করব
কথা ছিল, হলো না।
কী যেন হারিয়ে ফেলা বালকটার
কী যেন খুঁজে পাওয়ার আনন্দ
ফুরিয়ে গেল কদিনেই
তার হাহাকার আজ,
বাতাসে শিস কেটে যাওয়া চিলের ডাক হয়ে
আছড়ে পড়ে বাতাসেই…
সাত সমুদ্র তেরো নদী আর পার হয় না!
অতন্দ্রিলা, ঘুমিয়ে পড়লে?
গল্পগুলো শুনবে বলেছিলে!
আজ কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুদিন। ১৩ বছর আগে ২০১২ সালের আজকের দিনে তিনি মারা গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আমাদের সময়ের কথাকার, তিনি হয়ে উঠেছেন সময়েরও ওপারে এক জীবন্ত চরিত্র।
৬ দিন আগেবায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে রক্তক্ষয়ী জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, বিপ্লবী—এই পথপরিক্রমায় যাঁর কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, তিনি সবুজের কবি আল মাহমুদ। দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ শুক্রবার (১১ জুলাই)।
১৪ দিন আগেপৃথিবীর বিস্ময় ডোনাল্ড ট্রাম্প। জীবনে হননি কী! তিনবারের স্বামী, পাঁচবার বাবা, কয়েকবার বিলিয়নিয়ার, দুবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও হাজারো টুইটের কবি। কিন্তু এত প্রাপ্তির মাঝেও রয়ে গেছে এক শূন্যতা। তাঁর ঝুলিতে এখনো নেই নোবেল শান্তি পুরস্কার। ‘হিংসুটে’ নোবেল কমিটির কারণেই তাঁর জীবনে আজও এই অপ্রাপ্তি।
১৫ দিন আগেবাংলা সাহিত্যের নক্ষত্র, নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৩৫টি হাতে লেখা চিঠি ও ১৪টি খাম আগামী সপ্তাহে নিলামে উঠছে। এর আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৫-৭ কোটি রুপি। মূল্য ও ব্যাপ্তির দিক থেকে কবির সৃষ্টিকর্মের সবচেয়ে বড় নিলাম হতে চলেছে এটি। এই ঐতিহাসিক নিলামটি ২৬-২৭ জুন অনলাইনে আয়োজন করবে মুম্বাইভিত্তিক
২৩ জুন ২০২৫