Ajker Patrika

মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি থেকে নারীদের বাদ দিচ্ছেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি থেকে নারীদের বাদ দিয়ে চলেছেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি থেকে নারীদের বাদ দিয়ে চলেছেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও হোয়াইট হাউসে ফেরার পরপরই পরিষ্কার হয়ে যায় যে, বিশ্বজুড়ে নারীর অধিকার ও লিঙ্গ সমতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বদলে যাচ্ছে। রিপাবলিকান প্রশাসন সব সময়ই এ বিষয়ে ডেমোক্র্যাটদের থেকে ভিন্ন অবস্থান নেয়। তারা সাধারণত নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়, কিন্তু ঐতিহ্যবাহী লিঙ্গবৈষম্য ভাঙা বা প্রজননস্বাস্থ্য অধিকার বিস্তারের মতো বিষয়কে নয়।

তবে এবার ট্রাম্প প্রশাসন শুধু পূর্বের রিপাবলিকান ধারা অব্যাহতই রাখেনি, বরং নারীর অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের দ্বিদলীয় নীতিকাঠামোই ভেঙে দিয়েছে। এর ফলে ছয় দশকেরও বেশি সময়ের নীতিনির্দেশনা উল্টে গেছে।

বিশ্বজুড়ে নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের ইতিহাস অনেক পুরোনো। ১৯৭৩ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের আমলে কংগ্রেস এমন এক আইন পাস করে, যাতে বলা হয়—বিদেশে দেওয়া সহায়তায় নারীদের জাতীয় অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। রিপাবলিকান সিনেটর চার্লস এইচ পার্সির প্রচেষ্টায় এই ধারা আইনে যুক্ত হয়। এর ফলে ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি প্রতিষ্ঠা করে ‘উইমেন ইন ডেভেলপমেন্ট’ অফিস।

তবে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রশাসন এই আইন ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে। শুরু থেকেই প্রজননস্বাস্থ্য অধিকার ইস্যু বিভাজন তৈরি করেছে। ১৯৮৪ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান চালু করেন ‘মেক্সিকো সিটি পলিসি’, যার মাধ্যমে গর্ভপাত সংক্রান্ত সেবা দেয় বা গর্ভপাতের পক্ষে কাজ করে—এমন কোনো বিদেশি সংস্থা মার্কিন সহায়তা পেত না। তারপর থেকে প্রতিটি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট এই নীতি চালু করেছেন এবং প্রতিটি ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট তা বাতিল করেছেন।

তবুও দুই দলের নেতারা একমত ছিলেন এই বিষয়ে—বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য হ্রাস, সংক্রামক রোগ মোকাবিলা ও মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে হলে নারীতে বিনিয়োগ অপরিহার্য, কারণ বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠীই নারী। রিগ্যানের প্রথম মেয়াদেই ইউএসএআইডি প্রকাশ করে ‘উইমেন ইন ডেভেলপমেন্ট’ নীতি। এতে বলা হয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে নারীরা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নিজেদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছেন না।

এই ধারা বজায় রেখে ২০১৯ সালে কংগ্রেস পাস করে দ্বিদলীয় ‘উইমেনস এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাক্ট’। ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনও চালু করে ‘উইমেনস গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রসপারিটি ইনিশিয়েটিভ’, যার লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানো। কিন্তু চলতি বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প দ্রুত ইউএসএইড ও এর বেশির ভাগ কর্মসূচি বন্ধ করে দেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সীমিত হয়ে শুধু সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীভূত, আর এর ব্যবস্থাপনা এখন পররাষ্ট্র দপ্তরের হাতে।

২০২৬ অর্থবছরের জন্য প্রশাসনের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবার পরিকল্পনা, প্রজননস্বাস্থ্য, মা ও শিশুস্বাস্থ্য খাতের সব দ্বিপক্ষীয় অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে—শুধু পোলিও কর্মসূচি ছাড়া। নতুন বৈশ্বিক স্বাস্থ্যনীতিতেও নারীর বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের নারীর রাজনৈতিক নেতৃত্বে সমর্থনকেও পিছিয়ে দিয়েছে—যা আগে ছিল মার্কিন গণতন্ত্র সহায়তার দ্বিদলীয় মূল ভিত্তি।

১৯৮৩ সালে রিগ্যান প্রশাসনে গঠিত হয় ‘ন্যাশনাল এনডাওমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি’ (এনইডি) ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইউএসএইডের সঙ্গে মিলে বিদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গঠনে কাজ করত। সময়ের সঙ্গে এই কার্যক্রমে যুক্ত হয় নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর উদ্যোগ—যা কোনো দলীয় প্রকল্প নয়, বরং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার এক যৌথ প্রতিশ্রুতি ছিল।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ২০০৬ সাল থেকে ‘উইমেন্স ডেমোক্রেসি নেটওয়ার্ক’-এর নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এই নেটওয়ার্ক বিশ্বজুড়ে নারী নেতৃত্ব বিকাশে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিচ্ছে। এই এনইডির অংশীদার এবং এটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পর্ষদে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। যদিও এনইডি এখনো পর্যন্ত কংগ্রেস থেকে তাদের অর্থায়ন ধরে রাখতে পেরেছে, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সংস্থাটিকে অর্থায়ন বন্ধ করতে চাইছে এবং আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র সহায়তার অন্যান্য সব উৎস কেটে দিয়েছে।

বিদেশে সহায়তা কমানোর পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে নারী ও লিঙ্গসমতা বিষয়ক কাঠামোটিও ভেঙে দিয়েছে। গত জুলাইয়ে ট্রাম্পের নির্দেশে পররাষ্ট্র দপ্তর তথা স্টেট ডিপার্টমেন্ট পুনর্গঠনের সময় বাতিল করা হয় গ্লোবাল উইমেন্স ইস্যুজ (জিডব্লিউআই) কার্যালয়। একই সঙ্গে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আরও কয়েকটি দপ্তর—যেমন মানব পাচারবিরোধী দপ্তর অফিস অন মনিটর অ্যান্ড কমব্যাট ট্রাফিকিং ইন পারসন এবং ব্যুরো অব ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবার—এর কার্যক্রমও সীমিত করে দেওয়া হয়।

অধুনালুপ্ত জিডব্লিউআই দপ্তরটি নারী অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। বিষয়টি শুধু নৈতিক দায়িত্ব হিসেবেই নয়, কূটনৈতিক কৌশল হিসেবেও দেখা হতো। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ‘মানুষের মন জয়’ করার লড়াইয়ে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বুঝতে পেরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ১৯৬১ সালেই নারীবিষয়ক এক পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছিল। ১৯৭০-এর দশকে নিক্সন ও ফোর্ড প্রশাসন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক ব্যুরোর অধীনে আন্তর্জাতিক নারী কর্মসূচি অফিস গঠন করে। তখন নারীর অধিকারকে বহুপক্ষীয় মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বাড়ানোর কৌশল হিসেবে দেখা হতো।

১৯৯০-এর দশকে কংগ্রেস এ উদ্যোগকে আরও জোরালো করে। নারীবাদী সংগঠনগুলোর তীব্র চাপের মুখে ১৯৯৪ সালের ফরেন রিলেশন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্টে পররাষ্ট্র দপ্তরকে আন্তর্জাতিক নারী মানবাধিকার বিষয়ে একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ‘অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স ইস্যুজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশও সেটি চালু রাখেন। পরে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দপ্তরটিকে উন্নীত করে সরাসরি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে নিয়ে আসেন এবং গ্লোবাল উইমেন্স ইস্যুজের জন্য একজন অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ নিয়োগ দেন।

ট্রাম্প প্রশাসন দপ্তরটি বন্ধ করে দেওয়ার আগ পর্যন্ত জিডব্লিউআই তিন প্রশাসনের সময় ধরে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নারী ও লিঙ্গ বিষয়ে নীতিগত সহায়তা দিয়েছে, এমনকি তাঁর প্রথম মেয়াদকালেও। দপ্তরটি বন্ধের পরিণতি নিয়ে জানতে চাইলে এ বছরের মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কংগ্রেসে জানান, এখন থেকে নারী বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও আঞ্চলিক দপ্তরগুলোর মাধ্যমে পররাষ্ট্রনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিন্তু বাস্তবে এসব কার্যক্রম চালাতে প্রয়োজনীয় সম্পদ, জনবল বা দিকনির্দেশনা আর কিছুই এখন আর স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে নেই।

গত আগস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যখন বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে, সেখানে নারীর অধিকার নিয়ে থাকা নিয়মিত অংশটি দেখা যায়নি। ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই অংশটি অন্তর্ভুক্ত করা হতো। তখন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সময় পররাষ্ট্র দপ্তর সব দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছিল, নারীর অধিকার ‘বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সব প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’ পরে ১৯৯৪ সালে পররাষ্ট্র দপ্তর নারীর অধিকারের পরিধি আরও বাড়ায়। তখন গার্হস্থ্য সহিংসতা, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য ও মানবপাচারের মতো বিষয়ও এতে যুক্ত হয়। নিয়মিতভাবে এসব তথ্য সংগ্রহ চলছিল—এই বছর পর্যন্ত।

সবচেয়ে আলোচিত সিদ্ধান্তটি আসে এপ্রিলে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে পোস্ট দিয়ে জানান, পেন্টাগন ‘গর্বের সঙ্গে উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি (ডব্লিউপিএস) কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে।’ এই কর্মসূচিটি ২০১১ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন চালু করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল শান্তি ও নিরাপত্তা নীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং সংঘাতকবলিত অঞ্চলে নারীরা কীভাবে প্রভাবিত হন, তা বিবেচনায় নেওয়া। গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, সংঘাতে নারী ও পুরুষের অভিজ্ঞতা ভিন্ন, আর নারীর অংশগ্রহণ শান্তি প্রক্রিয়া ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনে।

হেগসেথ দাবি করেন, ডব্লিউপিএস ‘বাইডেনের উদ্যোগ’ এবং ‘সেনারা এটিকে ঘৃণা করে।’ দুটি দাবিই ভুল। কারণ, প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ই ২০১৭ সালে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে পাস হয় ‘উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাক্ট।’ তখন এটিকে বড় অর্জন হিসেবে দেখা হয়। সিনেটে মার্কো রুবিও (বর্তমানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ছিলেন এর সহ–প্রস্তাবক, আর বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি উত্থাপন করেন।

২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে ডব্লিউপিএস কৌশল প্রকাশ করে। হোয়াইট হাউস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ‘নারীর সমতা অগ্রগতিতে দৃঢ় ও অটল অঙ্গীকার’ পুনর্ব্যক্ত করছে। পরে জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন আইনে অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে এই কৌশলের বাস্তবায়ন আরও বাড়ানো হয়। এর আওতায় প্রতিরক্ষা দপ্তরে ‘লিঙ্গ উপদেষ্টা’ পদ সৃষ্টি, সংঘাত ও সংকটে লিঙ্গভিত্তিক প্রশিক্ষণ, যৌথ মহড়া ও আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ একাডেমির মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা এবং সংঘাতক্ষেত্রে বেসামরিক সুরক্ষায় নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়।

ডব্লিউপিএস কর্মসূচির পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর ভেতর থেকেই অনেক সমর্থন ছিল। তাদের মতে, এটি কার্যকর ও ফলপ্রসূ। গত এপ্রিলে ফাঁস হওয়া জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক স্মারকে ট্রাম্প প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়, ডব্লিউপিএস প্রোগ্রাম যেন বাতিল না করা হয়। স্মারকে বলা হয়, এটি ‘কম খরচে উচ্চ ফলাফল এনে দেয়’ এবং ‘প্রতিযোগীদের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রকে বাড়তি সুবিধা দেয়।’ এমনকি এটি উগ্রবাদ রোধ, পাচার নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া ও চীন-রাশিয়ার প্রভাব মোকাবিলায়ও সহায়ক।

কিন্তু বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন সেই ঐকমত্য থেকে সরে এসেছে যে, বিশ্বাসে নারীর অংশগ্রহণ ও দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি ও সামরিক কার্যক্রমে মূল্য যোগ করে। গত মাসে হেগসেথ আবারও নারী অন্তর্ভুক্তিকে লক্ষ্যবস্তু করেন। তিনি ১৯৫১ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের সময় প্রতিষ্ঠিত ‘ডিফেন্স অ্যাডভাইজরি কমিটি অন উইমেন ইন দ্য সার্ভিসেস’ বিলুপ্ত করেন। হেগসেথের অভিযোগ, কমিটিটি ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী নারীবাদী এজেন্ডা চালাচ্ছে।’ অথচ এই কমিটিই নারী সেনাদের জন্য উপযুক্ত বডি আর্মারের মতো বাস্তব সমস্যা সমাধানে কাজ করত।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন এখন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে নারী ও লিঙ্গসমতার যে কোনো উদ্যোগকে ‘চরম বামপন্থী প্রচেষ্টা’ হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, নারীর অধিকার ও অংশগ্রহণ বিষয়ে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে যে দ্বিদলীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল, সেটিকেই এখন হোয়াইট হাউস ভেঙে দিচ্ছে।

ফরেন পলিসি থেকে অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

পায়ে নূপুর দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করলেন বাবা

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড আর ব্যবহার করবে না চীন, বিকল্প কী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত