আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। সম্প্রতি দেশটি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নয়াদিল্লির এই উদ্যোগের ফলে বিশ্ববাজারে তৈরি হয়েছে প্রায় ১০ মিলিয়ন টনের ঘাটতি। এতে চাল রপ্তানিকারক প্রতিযোগী অন্য দেশগুলো একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
বিশ্বে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি এখন বেশি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এখন যদি একের পর এক দেশ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তবে এই মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা অনেকটা ২০০৭ ও ২০০৮ সালে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার মতোই। বিশ্লেষকদের মতে, ওই সময় স্থানীয় ভোক্তাদের সুরক্ষায় অনেক দেশই রপ্তানি কমাতে বাধ্য হয়েছিল।
এবার বিশ্ববাজারে চালের সরবরাহ ও দামে প্রভাব আরও বেশি পড়তে পারে। এর কারণ বৈশ্বিক চালের বাজারে ভারতের হিস্যা ৪০ শতাংশের বেশি, ১৫ বছর আগে যা ছিল ২২ শতাংশের কাছাকাছি। এ ছাড়া ভারতের দেখাদেখি থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি গ্লোবাল ট্রেড হাউসের সঙ্গে যুক্ত নয়াদিল্লিভিত্তিক খাদ্যশস্যের ডিলার বলেন, ‘২০০৭-০৮ সালের চেয়ে ভারত চালের বাণিজ্যে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের নিষেধাজ্ঞা অন্য রপ্তানিকারককে একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে। এমনকি এবার বাজার শক্তির বিপরীতে নিজেদের প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া তাদের সুযোগ কম।
ভারতের এই পদক্ষেপে বিশ্বে চালের দামে প্রভাব খুব দ্রুত পড়েছে। ভারত গত মাসে নন-বাসমতী সাদা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পণ্যটির দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সীমিত সরবরাহ চালের দাম এবং বৈশ্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বাড়াবে। এতে সবচেয়ে বেশি ভুগবে এশিয়া ও আফ্রিকার দরিদ্র ভোক্তারা। রাশিয়া-ইউক্রেনসংলগ্ন কৃষ্ণসাগরে খাদ্যশস্যের জাহাজীকরণ ব্যাহত হওয়া এবং বিরূপ আবহাওয়ার কারণে চাল আমদানিকারকেরা এরই মধ্যে সরবরাহের সংকটে ভুগছে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওলাম অ্যাগ্রি ইন্ডিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিতিন গুপ্ত বলেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞায় সৃষ্ট ব্যবধান পূরণে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও অন্য রপ্তানিকারক দেশগুলো তাদের পদক্ষেপ এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।
নিতিন আরও বলেন, ‘তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে তাদের উদ্বৃত্ত সক্ষমতার একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সীমাবদ্ধতা অন্যান্য উৎসের মূল্যবৃদ্ধির পথ তৈরি করতে পারে, যা ২০০৭-০৮ সালে দেখা মূল্যবৃদ্ধির কথা মনে করিয়ে দেয়।’
২০০৮ সালে ভারত, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, মিসর, ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর চালের দাম টনপ্রতি ১ হাজার ডলারের ওপরে উন্নীত হয়েছিল।
তিনটি গ্লোবাল ট্রেড হাউসের সঙ্গে যুক্ত এক ডিলার রয়টার্সকে বলেন, চাল রপ্তানিকারক দেশগুলো এবার এক বছরে ৩ মিলিয়ন টনের বেশি রপ্তানি বাড়াতে পারবে না। এর কারণ সীমিত উদ্বৃত্তের মধ্যে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে চাইবে দেশগুলো।
বিশ্বে চাল রপ্তানিতে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শীর্ষ দেশ থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তান বলেছে, ভারতের নিষেধাজ্ঞায় তাদের চালের চাহিদা বেড়েছে। রপ্তানি বাড়াতে আগ্রহী বলে দেশগুলো জানিয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় ভোক্তাদের যাতে ভুগতে না হয়, সেটি নিশ্চিত করেই চাল রপ্তানি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। সম্প্রতি দেশটি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নয়াদিল্লির এই উদ্যোগের ফলে বিশ্ববাজারে তৈরি হয়েছে প্রায় ১০ মিলিয়ন টনের ঘাটতি। এতে চাল রপ্তানিকারক প্রতিযোগী অন্য দেশগুলো একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
বিশ্বে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি এখন বেশি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এখন যদি একের পর এক দেশ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তবে এই মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা অনেকটা ২০০৭ ও ২০০৮ সালে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার মতোই। বিশ্লেষকদের মতে, ওই সময় স্থানীয় ভোক্তাদের সুরক্ষায় অনেক দেশই রপ্তানি কমাতে বাধ্য হয়েছিল।
এবার বিশ্ববাজারে চালের সরবরাহ ও দামে প্রভাব আরও বেশি পড়তে পারে। এর কারণ বৈশ্বিক চালের বাজারে ভারতের হিস্যা ৪০ শতাংশের বেশি, ১৫ বছর আগে যা ছিল ২২ শতাংশের কাছাকাছি। এ ছাড়া ভারতের দেখাদেখি থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি গ্লোবাল ট্রেড হাউসের সঙ্গে যুক্ত নয়াদিল্লিভিত্তিক খাদ্যশস্যের ডিলার বলেন, ‘২০০৭-০৮ সালের চেয়ে ভারত চালের বাণিজ্যে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের নিষেধাজ্ঞা অন্য রপ্তানিকারককে একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে। এমনকি এবার বাজার শক্তির বিপরীতে নিজেদের প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া তাদের সুযোগ কম।
ভারতের এই পদক্ষেপে বিশ্বে চালের দামে প্রভাব খুব দ্রুত পড়েছে। ভারত গত মাসে নন-বাসমতী সাদা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পণ্যটির দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সীমিত সরবরাহ চালের দাম এবং বৈশ্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বাড়াবে। এতে সবচেয়ে বেশি ভুগবে এশিয়া ও আফ্রিকার দরিদ্র ভোক্তারা। রাশিয়া-ইউক্রেনসংলগ্ন কৃষ্ণসাগরে খাদ্যশস্যের জাহাজীকরণ ব্যাহত হওয়া এবং বিরূপ আবহাওয়ার কারণে চাল আমদানিকারকেরা এরই মধ্যে সরবরাহের সংকটে ভুগছে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওলাম অ্যাগ্রি ইন্ডিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিতিন গুপ্ত বলেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞায় সৃষ্ট ব্যবধান পূরণে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও অন্য রপ্তানিকারক দেশগুলো তাদের পদক্ষেপ এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।
নিতিন আরও বলেন, ‘তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে তাদের উদ্বৃত্ত সক্ষমতার একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সীমাবদ্ধতা অন্যান্য উৎসের মূল্যবৃদ্ধির পথ তৈরি করতে পারে, যা ২০০৭-০৮ সালে দেখা মূল্যবৃদ্ধির কথা মনে করিয়ে দেয়।’
২০০৮ সালে ভারত, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, মিসর, ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর চালের দাম টনপ্রতি ১ হাজার ডলারের ওপরে উন্নীত হয়েছিল।
তিনটি গ্লোবাল ট্রেড হাউসের সঙ্গে যুক্ত এক ডিলার রয়টার্সকে বলেন, চাল রপ্তানিকারক দেশগুলো এবার এক বছরে ৩ মিলিয়ন টনের বেশি রপ্তানি বাড়াতে পারবে না। এর কারণ সীমিত উদ্বৃত্তের মধ্যে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে চাইবে দেশগুলো।
বিশ্বে চাল রপ্তানিতে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শীর্ষ দেশ থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তান বলেছে, ভারতের নিষেধাজ্ঞায় তাদের চালের চাহিদা বেড়েছে। রপ্তানি বাড়াতে আগ্রহী বলে দেশগুলো জানিয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় ভোক্তাদের যাতে ভুগতে না হয়, সেটি নিশ্চিত করেই চাল রপ্তানি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
ডিজিটাল যুগে আমরা কেবল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি না—আমরা প্রযুক্তির কাছে নিজেদের মনোযোগ, অনুভূতি, এমনকি চিন্তার স্বাধীনতাও তুলে দিচ্ছি। অ্যালগরিদম এখন আমাদের সিদ্ধান্ত, সম্পর্ক ও চেতনার গভীর স্তরে হস্তক্ষেপ করছে। শোষণ আজ আর কেবল শ্রমের ওপর নির্ভরশীল নয়—এখন তা মন ও মনোযোগের বাণিজ্যে রূপ নিয়েছে।
৩ দিন আগেপুতিন যখন যুদ্ধে জয় নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী মনোভাব দেখাচ্ছেন, ঠিক তখনই রাশিয়ার ভেতরে ড্রোন হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০টি বোমারু বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেন। এগুলোর মধ্যে কিছু পারমাণবিক অস্ত্রবাহী যুদ্ধবিমানও ছিল।
৩ দিন আগেবিশ্বের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও ‘রুশ আগ্রাসনের নতুন যুগে’ প্রতিরক্ষা খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গত সোমবার (২ জুন) প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের কৌশলগত প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় (এসডিআর) উঠে এসেছে পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিন ও গোলাবারুদ তৈরির নতুন কারখানায় বিনিয়োগের পরিকল্পনা।
৪ দিন আগেসত্য কী? অধিকাংশ মানুষের কাছে সত্য মানে হলো, যা বাস্তব তথ্যের সঙ্গে মিলে। অবশ্য আজকাল ‘বিকল্প সত্য’ নামে নতুন এক ধারণা অনেকে হাজির করছেন। সে যাই হোক, অভিজ্ঞতা বলে, সত্য শুধু বস্তুনিষ্ঠ হওয়াটাই যথেষ্ট নয়, সত্য প্রকাশের উপযুক্ত লগ্ন, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য খুবই জরুরি।
৪ দিন আগে