Ajker Patrika

আল–জাজিরার নিবন্ধ /বন্ধু থেকে শত্রু: পাকিস্তান–তালেবান সংকটের বাস্তবতা ও উত্তরণে যত চ্যালেঞ্জ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ২৬
পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবানের সম্পর্ক একসময় বন্ধুত্বপূর্ণ হলেও এখন সেই পথে ফেরা দুই পক্ষের জন্যই কঠিন হয়ে পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবানের সম্পর্ক একসময় বন্ধুত্বপূর্ণ হলেও এখন সেই পথে ফেরা দুই পক্ষের জন্যই কঠিন হয়ে পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সম্পর্কের সাম্প্রতিক অবনতি আজ থেকে চার বছর আগে কল্পনাও করা কঠিন ছিল। সে সময় ইসলামাবাদের সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্ব ২০২১ সালের আগস্টে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতায় ফেরা উদ্‌যাপন করেছিলেন।

পাকিস্তানের বিশ্বাস ছিল, তালেবান সরকার তাদের বন্ধুপ্রতিম হবে এবং দেশটির নিরাপত্তার জন্য একপ্রকার ঢাল হিসেবে কাজ করবে। কারণ, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা—ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)—আফগান তালেবান আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।

২০০১–২০২১ সালের মধ্যে পাকিস্তানের এই নীতির কারণে তৈরি হয়েছিল এক ধরনের পরস্পরবিরোধী কূটনীতি। এক দিকে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানে সামরিক হস্তক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে ওয়াশিংটনসমর্থিত সরকারগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে গেছে। অন্যদিকে, তারা গোপনে তালেবানের পুনরুত্থান সহ্য করেছে, অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্রয়ও দিয়েছে। এমনকি পাকিস্তানের ভেতরেই তালেবানরা অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সহাবস্থানের পথ বেছে নেয়।

কিন্তু এখন সেই সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানি বিমানবাহিনী কাবুলে হামলা চালিয়েছে। দুই পক্ষের পারস্পরিক প্রত্যাশার অমিল এবং একে অপরের সামর্থ্যের প্রতি অসম্মান—এই দুই কারণে আগের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে পড়ছে।

দুই দেশের সামনে যেসব ঝুঁকি

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই—এই দুই প্রতিষ্ঠানের হাতেই দেশটির আফগান নীতির রাশ। ঐতিহাসিকভাবে দেখা গেছে, বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সেনাবাহিনী পাকিস্তানের রাজনীতিতে সব সময় প্রভাবশালী ভূমিকা রেখেছে।

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তান নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার মুখে পড়েছে। শুধু ২০২৫ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলায় মারা গেছে ২ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি, যা গত বছরের মোট নিহতের সংখ্যার প্রায় সমান।

পাকিস্তান এসব হামলার জন্য দায়ী করছে তেহরিক ই–তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপিকে। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা বর্তমানে আফগানিস্তানে অবস্থান করছে। টিটিপি সদস্যদের বড় অংশই পাকিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী উপজাতীয় অঞ্চলের সদস্য।

ইসলামাবাদের আশা ছিল, কাবুলে ‘পাকিস্তানসমর্থিত’ তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে টিটিপি নেতারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে। তবে কয়েকজন যোদ্ধা দেশে ফিরলেও সহিংসতা কমেনি। টিটিপির মূল দাবি—আফগান সীমান্তবর্তী উপজাতীয় এলাকায় স্থানীয়ভাবে শরিয়া আইন কার্যকর করা এবং আগের আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা পুনর্বহাল করা।

পাকিস্তানের জন্য এটাই এখন এক মারাত্মক নিরাপত্তা সংকটে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটি এখন একাধিক সংকটে জর্জরিত—দুর্বল অর্থনীতি, মে মাসের সাম্প্রতিক সংঘর্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ঘিরে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের চাপ।

অন্যদিকে, আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্ব বলছে—টিটিপি ইস্যুটি সম্পূর্ণ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। ২০২২ সালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরপরই তালেবান প্রশাসন টিটিপি নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছিল। প্রথমদিকে কিছুটা অগ্রগতি দেখা গেলেও, সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর সেই আলোচনাও ভেঙে পড়ে।

তালেবান সরকারের জন্য বাস্তবতা আরও কঠিন। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতার কারণে তারা এখন এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। ক্ষমতায় আসার চার বছরেরও বেশি সময় পর এখন পর্যন্ত কেবল রাশিয়াই তালেবান প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে চীন, ভারত ও ইরানসহ কয়েকটি দেশ তালেবানকে কার্যত আফগানিস্তানের শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং কূটনৈতিক প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।

এদিকে, আফগান জনগণ ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা ও প্রশাসনিক ভাঙনের মুখে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতসহ সরকারি সেবাগুলো প্রায় ধসে পড়ার উপক্রম। জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন মানবিক সহায়তা তহবিল কমে যাওয়ায় খাদ্য সংকট ও দারিদ্র্য আরও বেড়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাত শুরু হলে এই মানবিক সংকট আরও গভীর হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পুরোনো বন্ধুত্বের পথে কী ফিরতে পারবে দুই পক্ষ

এ মুহূর্তে উভয় পক্ষই যেন নিজেদের অবস্থানে অনড়। যদিও তারা সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে, তবুও কেউই নিজেকে দুর্বল দেখাতে চায় না বা স্বীকার করতে চায় না যে, পিছু হটতে হচ্ছে।

পাকিস্তানের সরকারি বিবৃতিগুলো এখন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে ‘সরকার’ নয়, ‘শাসনব্যবস্থা’ বা ‘রেজিম’ বলে উল্লেখ করছে। এক সময় কাবুলে তালেবানের ক্ষমতায় ফেরা যেটা ইসলামাবাদ উদ্‌যাপন করেছিল, সেটিকেই এখন তারা সমালোচনা করছে। পাকিস্তান বলছে, আফগানিস্তানে আরও ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ সরকার গঠনের দরকার আছে। একই সঙ্গে তারা সতর্ক করছে, তালেবান যদি পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) দমনে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আফগান ভূখণ্ডে হামলা অব্যাহত থাকবে।

নিঃসন্দেহে, সামরিক শক্তি, প্রযুক্তি ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব—সব দিক দিয়েই পাকিস্তান তালেবান সরকারের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তা ছাড়া, ২০২৫ সালের মে মাসে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে নিজেদের ‘সাফল্য’—যার মধ্যে একাধিক ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি রয়েছে—পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

১৯৮০-এর দশক থেকে পাকিস্তান লাখ লাখ আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের অনেকেই সেখানে শিক্ষা লাভ করেছে, জীবিকা গড়েছে। পাকিস্তানি নেতাদের মতে, এই আতিথেয়তার বিনিময়ে আফগানদের মধ্যে পাকিস্তানের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকা উচিত। এখন সেই শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েই তালেবান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায় ইসলামাবাদ।

মূলত পাকিস্তানি নেতারা নিজেদের দেশকে একটি শক্তিশালী ও বৈশ্বিক প্রভাবসম্পন্ন রাষ্ট্র হিসেবে দেখেন—যে রাষ্ট্রকে আফগানিস্তানের যেকোনো সরকার—বিশেষ করে পাকিস্তানের সহায়তায় ক্ষমতায় আসা সরকারের—সম্মান ও সহযোগিতা করা উচিত।

অন্যদিকে, তালেবান নিজেদের এমন যোদ্ধা হিসেবে দেখে যারা দীর্ঘ যুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্বের এক মহাশক্তিকে পরাজিত করেছে। তাই প্রতিবেশী কোনো দেশের সঙ্গে সংঘাত হলে, সেটিকে তারা তুলনামূলক সহজ চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখবে।

তালেবান মুখপাত্ররা পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাব দিচ্ছে পাল্টা অভিযোগে। তারা দাবি করছে, পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী উপজাতীয় এলাকায় আইএসআইএল যোদ্ধারা অবস্থান করছে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কিছু অংশ তাদের নীরব সমর্থন দিচ্ছে।

তবে বাস্তবতা হলো—স্থলবেষ্টিত দেশ আফগানিস্তান বাণিজ্যের জন্য পাকিস্তানের রুটের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে সেই রুট বন্ধ হয়ে আছে, ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরাই বড় ক্ষতির মুখে। তালেবান সরকারের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার বা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নেই—যাতে তারা পাকিস্তানের ড্রোন বা যুদ্ধবিমানের হামলার জবাব দিতে পারে।

উত্তেজনা প্রশমনের পথ

পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের টিটিপিবিরোধী অভিযানকে ভারতের সঙ্গে বৃহত্তর দ্বন্দ্বের অংশ হিসেবে তুলে ধরছে। কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইসলামাবাদ দাবি করছে, টিটিপি ভারতের মদদে পরিচালিত। তারা চায়, তালেবান যেন টিটিপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়।

কিন্তু টিটিপি ও তালেবানের মধ্যে বহু পুরোনো সম্পর্ক, তাদের আদর্শিক মিল ও সামাজিক বন্ধন আছে, যা কোনো সাংগঠনিক পার্থক্যের ঊর্ধ্বে। তালেবানের আশঙ্কা তারা যদি টিটিপির সঙ্গে লড়াই শুরু করে তাহলে, খোরাসান প্রদেশভিত্তিক আইএসআইএল আবার মাথা তুলতে পারে।

যদিও সামরিক শক্তিতে পাকিস্তান এগিয়ে, তবু তালেবানেরও কিছু হাতিয়ার আছে যা ইসলামাবাদকে বিপাকে ফেলতে পারে। ধরা যাক, তালেবানের কান্দাহারভিত্তিক সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা যদি পাকিস্তানবিরোধী যুদ্ধের ফতোয়া জারি করেন—তাহলে কী হবে? টিটিপি নেতৃত্ব ২০২১ সালেই আখুন্দজাদার প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানের বহু মাদ্রাসার ছাত্র ও ধর্মীয় নেতার কাছেও আখুন্দজাদা অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। ফলে তাঁর ডাকে ইসলামাবাদের ভেতরেই বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

এ ছাড়া, পাকিস্তানের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোও তালেবানের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধের পক্ষে নয়। অন্যদিকে, আফগানিস্তানে পাকিস্তানি হামলা চলতে থাকলে সেখানে বিদ্যমান ক্ষোভ সত্ত্বেও জনগণের মধ্যে তালেবান সরকারের প্রতি সমর্থন আরও বাড়বে।

উত্তেজনা কমাতে ও রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে এখন জরুরি হলো এমন এক মধ্যস্থতাকারী, যিনি উভয় পক্ষের আস্থা অর্জন করতে পারেন। এই ভূমিকা পালনে সবচেয়ে উপযুক্ত হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো, বিশেষ করে কাতার ও সৌদি আরব।

এই পথে ইতিমধ্যেই কিছু অগ্রগতি দেখা গেছে। গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানিয়েছেন, কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা বন্ধ রেখেছে।

তবে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন—আসল শান্তির ইচ্ছা, দুই দেশের নেতাদের মধ্যে। যখন দুই দেশের কর্মকর্তারা পরস্পরকে হুমকি দিচ্ছে, সীমান্তে বারবার গোলাগুলি হচ্ছে—তখনো পাকিস্তান ও আফগানিস্তান দু’পক্ষই জানে, যুদ্ধ তাদের জন্য ভয়াবহ মূল্য ডেকে আনবে।

তবে এর অর্থ এই নয় যে, সম্পর্ক দ্রুতই আগের উষ্ণতায় ফিরে আসবে, কিংবা ভুল হিসাব-নিকাশের ঝুঁকি আর নেই। ভূগোল ও ইতিহাস আফগান ও পাকিস্তানিদের একে অপরের সঙ্গে বেঁধে রেখেছে। এই পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে কাজে লাগানোই এখন সবচেয়ে জরুরি।

দশকের পর দশক ধরে ব্যর্থ নীতির পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে হবে। আফগান নেতাদের উচিত পাকিস্তানের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা, আর পাকিস্তানের উচিত আফগানিস্তান বিষয়ক নীতি থেকে ভারতবিরোধী মানসিকতা সরিয়ে ফেলা। আফগানিস্তান-পাকিস্তান অঞ্চলে আরেকটি যুদ্ধ বিশ্ব এখন সহ্য করতে পারবে না। কারণ, যুদ্ধ কখনোই শান্তির চেয়ে ভালো ফল দিতে পারে না।

অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপির সিদ্ধান্ত দুঃখজনক: আলী রীয়াজ

রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে ভারত—ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বলল নয়াদিল্লি

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত