Ajker Patrika

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক: তিন শিবিরে বিভক্ত দেশগুলো কে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৩: ২৩
সব আমদানি পণ্যে বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
সব আমদানি পণ্যে বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেছেন। ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে এই শুল্ক কার্যকর করা হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন দেশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক থেকে কূটনৈতিক পদক্ষেপ এবং অর্থনৈতিক সমন্বয় পর্যন্ত বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। এই প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, দেশীয় শিল্প রক্ষা এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা মোকাবিলার প্রচেষ্টার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো ছোট দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সমন্বয়ে জোর দিতে দেখা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সমন্বয় বলতে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় অর্থনীতিতে পরিবর্তন বা সমন্বয় আনার চেষ্টাকে বোঝানো হচ্ছে। এটি সাধারণত প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ বা কূটনৈতিক পদক্ষেপের পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক বাণিজ্য কৌশল পরিবর্তনের মাধ্যমে করা হয়। এর উদ্দেশ্য হলো শুল্কের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কমানো এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা।

‘অর্থনৈতিক সমন্বয়’–এর পদক্ষেপের মধ্যে থাকতে পারে:

বাজার বৈচিত্র্যকরণ: যদি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমে যায়, তবে দেশটি অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। যেমন, ভিয়েতনাম বা কম্বোডিয়া এখন চীন, ইউরোপ বা এশিয়ার অন্যান্য বাজারে তাদের পণ্য বিক্রির দিকে মনোযোগ দিতে পারে।

দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি: আমদানি ব্যয়বহুল হয়ে গেলে, কোনো দেশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পারে।

বিনিয়োগ আকর্ষণ: যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ কমে গেলে তারা অন্য দেশ থেকে বিনিয়োগ আনার জন্য প্রণোদনা দিতে পারে। ভিয়েতনামের স্টারলিংক অনুমোদন এর একটি উদাহরণ।

মুদ্রা বা আর্থিক নীতি পরিবর্তন: কিছু দেশ তাদের মুদ্রার মান সামঞ্জস্য করে রপ্তানি কম ব্যয়বহুল করতে পারে, যদিও এটি সব সময় সম্ভব হয় না।

সরকারি সহায়তা: শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলো টিকিয়ে রাখতে সরকার ভর্তুকি বা সহজ শর্তে ঋণ দিতে পারে।

নিচে কিছু দেশের পদক্ষেপের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:

চীন

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ বিদ্যমান শুল্কের সঙ্গে ৩৪ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক যোগ করেছে, যার ফলে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশ। এর জবাবে ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সব পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় চীন, যা ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। এ ছাড়া, চীন বিরল মৃত্তিকা (কম্পিউটার চিপ ও ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারির জন্য প্রয়োজনীয়) রপ্তানির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর এবং তারা প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীন তাদের মুদ্রা ইউয়ানের মান কমিয়ে বা আরও বেশি পণ্যের রপ্তানি সীমিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া, ২৭টি মার্কিন কোম্পানিকে চীনের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এটি সিনো–মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ইইউ এর জবাবে দুটি পথ বেছে নিয়েছে: আলোচনা এবং প্রতিশোধ। ইইউ বাণিজ্য প্রধান মারোস সেফকোভিচ ১১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যেখানে তাঁরা এই শুল্ক থেকে ছাড় বা হ্রাস চাইবেন।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন বলেছেন, তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চান। তবে, একই সঙ্গে ইইউ প্রতিশোধমূলক শুল্কের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, বোরবন (মদ), মোটরসাইকেল এবং কৃষিপণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে, যা ২৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন রপ্তানিকে প্রভাবিত করতে পারে। এই শুল্কগুলো এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর হতে পারে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এটি ইউরোপের দিকে থেকে প্রথম রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া। ইইউ যদি আরও চাপে পড়ে, তবে তারা ডিজিটাল ও আর্থিক সেবার ওপরও শুল্ক আরোপ করতে পারে।

কানাডা

কানাডা যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির (ইউএসএমসিএ) কারণে নতুন পাল্টা শুল্ক থেকে মুক্ত। তবে, ফেব্রুয়ারি থেকে ইউএসএমসিএ-বহির্ভূত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক (জ্বালানি ও পটাশ বাদে ১০ শতাংশ) আরোপ করেছেন ট্রাম্প। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকির জবাবে কানাডা ২০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন আমদানির ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক ঘোষণা করে, যা ১৩ মার্চ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে, ২ এপ্রিলের পর এই পরিকল্পনার অবস্থা স্পষ্ট নয়। কানাডা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগও দায়ের করেছে।

মেক্সিকো

মেক্সিকোও ইউএসএমসিএতে থাকার কারণে নতুন শুল্ক থেকে মুক্ত, তবে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ শতাংশ শুল্কের আওতায় রয়েছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক ঘোষণার কথা বলেছিলেন। তবে, আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত কোনো হালনাগাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। মেক্সিকো আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে ইউএসএমসিএ সুবিধা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তারা প্রতিশোধ ও সহযোগিতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করছে।

জাপান

জাপানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ৪ এপ্রিল এটিকে ‘জাতীয় সংকট’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এই শুল্ক যন্ত্রপাতি ও ইলেকট্রনিকস রপ্তানির ওপর বড় প্রভাব ফেলবে। জাপানি কর্মকর্তারা এর অর্থনৈতিক ক্ষতি বিশ্লেষণ করছেন, তবে এখনো নির্দিষ্ট প্রতিশোধমূলক শুল্ক ঘোষণা করা হয়নি। প্রধান সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেছেন, তাঁরা সতর্কতার সঙ্গে সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে, জাপান চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিলে একটি পূর্ব এশীয় জোট গঠনের সম্ভাবনা খুঁজছে।

দক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার ওপরও উচ্চ শুল্ক আরোপিত হয়েছে, যদিও সঠিক হার উল্লেখ করা হয়নি। তারা তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ এড়িয়ে জাপান ও চীনের সঙ্গে সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার পরিকল্পনা করছে। এটি যৌথ শুল্ক বা কূটনৈতিক চাপের আকারে হতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়নি।

ভিয়েতনাম

ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হয়েছে, যা এর উৎপাদন খাতের জন্য বড় ধাক্কা। শুল্ক ঘোষণার আগে ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির ওপর শুল্ক কমিয়েছিল—এলএনজি-র শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ, গাড়ির শুল্ক ৪৫ শতাংশ-৬৪ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশ, এবং ইথানলের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ-এ নামিয়ে আনা হয়। তারা স্টারলিঙ্কের কার্যক্রমও অনুমোদন করেছে। তবুও, যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। ভিয়েতনাম এখন প্রতিশোধের চেয়ে অর্থনৈতিক সমন্বয়ের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।

ব্রাজিল

ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হয়েছে। ২ এপ্রিল ব্রাজিল একটি পাল্টাপাল্টি শুল্ক বিল পাস করে, যা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের অনুমতি দেয়। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ডব্লিউটিওতে আপিলের কথা ভাবছেন। ব্রাজিলের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে। ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ভারসাম্য রক্ষার পরিকল্পনা করছে।

কম্বোডিয়া

কম্বোডিয়ার ওপর সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হয়েছে। দেশটির শ্রম ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণমন্ত্রী এই পরিণতি মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছেন। তবে, অর্থনৈতিক সক্ষমতা কম থাকায় প্রতিশোধের চেয়ে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির শক্তি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, কারণ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।

ভারত

ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলেকট্রনিকস, রত্ন ও গয়নার মতো রপ্তানির ওপর প্রভাব বিশ্লেষণ করছে। কর্মকর্তারা এটিকে ‘মিশ্র ফল’ বলে বর্ণনা করেছেন। ভারত আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য আলোচনা করেছে এবং ওষুধের জন্য ছাড় পেয়েছে। তাই তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ ঘোষণার মতো পদক্ষেপে তারা যাচ্ছে না।

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া:

তাইওয়ান: ৩২ শতাংশ শুল্কের সম্মুখীন। প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে এই পদক্ষেপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ানের বাণিজ্য সম্পর্কের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে সমালোচনা করেছেন এবং তাইওয়ানের প্রযুক্তি রপ্তানি, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর (যা আপাতত অব্যাহতিপ্রাপ্ত) রক্ষার জন্য জোরালো আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইসরায়েল: ১৭ শতাংশ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ১ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ওপর ইসরায়েলের শুল্ক বাতিলের পর ঝুঁকি ও সুযোগগুলো মূল্যায়ন করার কথা ভাবছেন।

নরওয়ে: প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোরে ১৫ শতাংশ শুল্কে আরোপের ফলে রপ্তানিনির্ভর শিল্পের ওপর প্রভাব পড়ায় ব্যবসায়ীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ ছাড়াই সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সমন্বয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

সাধারণ প্রবণতা

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের কৌশলে স্পষ্ট ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। স্পষ্টত কোনো সমন্বিত প্রতিক্রিয়া মুখে পড়বে না যুক্তরাষ্ট্র। অধিকাংশ দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাজেট ঘাটতি কমানোর দিকে নজর দিচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষি ও প্রযুক্তি পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরাসরি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছে।

মোটা দাগে দেশগুলো প্রতিশোধ (চীন, ইইউ, কানাডা), আলোচনা (জাপান, তাইওয়ান, ভারত) এবং অর্থনৈতিক সমন্বয় (ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ)–এর মধ্যে বিভক্ত। অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ককে ডব্লিউটিও নীতির লঙ্ঘন হিসেবে সমালোচনা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গলাধাক্কার পর ছোট্ট মেয়েটিকে লাঠি দিয়ে পেটালেন কফিশপের কর্মচারী

বিশ্বব্যাংকে সিরিয়ার ঋণ পরিশোধ করে দিচ্ছে সৌদি আরব

মাত্র তিনজনের জন্য লাখ লাখ মানুষ মরছে, কাদের কথা বললেন ট্রাম্প

‘চরিত্র হননের চেষ্টা’: গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর দুদককে পাল্টা আক্রমণ টিউলিপের

জুয়ার বিজ্ঞাপনের প্রচার: আলোচিত টিকটকার জান্নাতের স্বামী তোহা কারাগারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত