আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফ্লোরিডার বোকা রাটনের বাসিন্দা কেন থমাস। বর্তমানে ভয়াবহ গরম সেখানে। চলমান গ্রীষ্মের এই ভয়াবহ গরমে একদিন ঘুম ভেঙে দেখেন, বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। ইলেকট্রিশিয়ানদের খবর দেওয়া হলে জানা যায়, যন্ত্রপাতির ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সরবরাহ। দীর্ঘ আট ঘণ্টা ধরে মেরামতের পর পুনরায় সংযোগ চালু হয়। চামড়া পুড়ে যাওয়ার মতো গরমে এই আট ঘণ্টা কেন থমাস ও তাঁর পরিবারের কাছে রীতিমতো এক বিভীষিকা ছিল। জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই বিদ্যুতই এখন গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের কাছে।
কারণ, দিনকে দিন বিদ্যুতের দাম হয়ে উঠছে আকাশছোঁয়া। থমাস জানান, খরচ কমাতে বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী জানালা ও ইনসুলেশন ব্যবহার করছেন তিনি। তারপরও এই গ্রীষ্মে মাঝে মাঝেই তাঁর বিদ্যুৎ বিল ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৪০০ ডলার। একই অবস্থা পেমব্রোক পাইন্সের বাসিন্দা আল সালভির। ৬৩ বছর বয়সী এই প্রবীণ শারীরিকভাব একটু অসুস্থ। তাঁর যাবতীয় চলাফেরা হুইলচেয়ারেই। জানান, বিদ্যুৎ বিল কোনো কোনো মাসে ৫০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘সীমিত আয়ে সংসার চালাই। শারীরিক অসুস্থতাও রয়েছে। ওষুধ কিনব নাকি বিদ্যুতের বিল দেব, সেই হিসাব মেলাতে পারি না। এই অবস্থা একেবারেই অন্যায্য।’
বর্তমান দামেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে যখন ফ্লোরিডাবাসীর নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে, তখন নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে অঙ্গরাজ্যটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ফ্লোরিডা পাওয়ার অ্যান্ড লাইট (এফপিএল)। আগামী চার বছরে বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৩ শতাংশ বাড়াতে চায় তারা। তাদের এমন পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় প্রবীণদের সংগঠন এএআরপি। বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো বন্ধ করতে হাজার হাজার মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে সংগঠনটি। তাদের অভিযোগ—এভাবে ক্রমাগত বিল বাড়তে থাকলে ফ্লোরিডার বাসিন্ধাদের জন্য জীবনধারণ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।
তবে সমস্যাটি কেবল ফ্লোরিডায় সীমাবদ্ধ নয়। সারা যুক্তরাষ্ট্রেই বিদ্যুতের খরচ খুব দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু হঠাৎ কেন বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল?
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপুল জনপ্রিয়তা। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর ব্যবহারকারী। আর এত বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অনুরোধ সামলাতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করতে হচ্ছে নতুন নতুন ডেটা সেন্টার। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছর এক ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে এসব ডেটা সেন্টার। ২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে এআইয়ের এসব ডেটা সেন্টার।
এআইয়ের এই জনপ্রিয়তার কারণে বাড়তি চাপ পড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থার ওপর। আর সে কারণেই বাড়ছে দাম। বিশেষজ্ঞ জন কুইগলি বলেন, ডেটা সেন্টারের চাহিদা এত দ্রুত বাড়ছে যে বিদ্যুৎ সরবরাহকারীরা তাল মেলাতে পারছে না।
বিদ্যুতের দাম বাড়ার আরও একটি বড় কারণ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ আসে গ্যাস থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। ফলে দেশীয় বাজারে গ্যাসের দাম হু হু করে বাড়ছে। এ বছরই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের খরচ গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে, আগামী বছর তা আরও ১৭ শতাংশ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সৌর ও বায়ুশক্তির মতো তুলনামূলক সস্তা ও টেকসই বিকল্প ব্যবহার হতে পারে উপযুক্ত সমাধান। তবে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও বিদ্যুৎ পরিবহনের অবকাঠামো গড়তেও বিপুল অর্থ প্রয়োজন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ছয়টি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের বিল মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে অতিরিক্ত খরচ বহন করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে।
ফেডারেল সরকার দরিদ্র পরিবারগুলোর বিদ্যুৎ বিল মেটাতে প্রতিবছর প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান খরচ মেটাতে এই সহায়তা যথেষ্ট নয়। আরও উদ্বেগজনক হলো, সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটে এ সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে।
ফ্লোরিডার বোকা রাটনের বাসিন্দা কেন থমাস। বর্তমানে ভয়াবহ গরম সেখানে। চলমান গ্রীষ্মের এই ভয়াবহ গরমে একদিন ঘুম ভেঙে দেখেন, বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। ইলেকট্রিশিয়ানদের খবর দেওয়া হলে জানা যায়, যন্ত্রপাতির ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সরবরাহ। দীর্ঘ আট ঘণ্টা ধরে মেরামতের পর পুনরায় সংযোগ চালু হয়। চামড়া পুড়ে যাওয়ার মতো গরমে এই আট ঘণ্টা কেন থমাস ও তাঁর পরিবারের কাছে রীতিমতো এক বিভীষিকা ছিল। জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই বিদ্যুতই এখন গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের কাছে।
কারণ, দিনকে দিন বিদ্যুতের দাম হয়ে উঠছে আকাশছোঁয়া। থমাস জানান, খরচ কমাতে বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী জানালা ও ইনসুলেশন ব্যবহার করছেন তিনি। তারপরও এই গ্রীষ্মে মাঝে মাঝেই তাঁর বিদ্যুৎ বিল ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৪০০ ডলার। একই অবস্থা পেমব্রোক পাইন্সের বাসিন্দা আল সালভির। ৬৩ বছর বয়সী এই প্রবীণ শারীরিকভাব একটু অসুস্থ। তাঁর যাবতীয় চলাফেরা হুইলচেয়ারেই। জানান, বিদ্যুৎ বিল কোনো কোনো মাসে ৫০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘সীমিত আয়ে সংসার চালাই। শারীরিক অসুস্থতাও রয়েছে। ওষুধ কিনব নাকি বিদ্যুতের বিল দেব, সেই হিসাব মেলাতে পারি না। এই অবস্থা একেবারেই অন্যায্য।’
বর্তমান দামেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে যখন ফ্লোরিডাবাসীর নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে, তখন নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে অঙ্গরাজ্যটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ফ্লোরিডা পাওয়ার অ্যান্ড লাইট (এফপিএল)। আগামী চার বছরে বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৩ শতাংশ বাড়াতে চায় তারা। তাদের এমন পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় প্রবীণদের সংগঠন এএআরপি। বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো বন্ধ করতে হাজার হাজার মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে সংগঠনটি। তাদের অভিযোগ—এভাবে ক্রমাগত বিল বাড়তে থাকলে ফ্লোরিডার বাসিন্ধাদের জন্য জীবনধারণ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।
তবে সমস্যাটি কেবল ফ্লোরিডায় সীমাবদ্ধ নয়। সারা যুক্তরাষ্ট্রেই বিদ্যুতের খরচ খুব দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু হঠাৎ কেন বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল?
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপুল জনপ্রিয়তা। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর ব্যবহারকারী। আর এত বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অনুরোধ সামলাতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করতে হচ্ছে নতুন নতুন ডেটা সেন্টার। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছর এক ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে এসব ডেটা সেন্টার। ২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে এআইয়ের এসব ডেটা সেন্টার।
এআইয়ের এই জনপ্রিয়তার কারণে বাড়তি চাপ পড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থার ওপর। আর সে কারণেই বাড়ছে দাম। বিশেষজ্ঞ জন কুইগলি বলেন, ডেটা সেন্টারের চাহিদা এত দ্রুত বাড়ছে যে বিদ্যুৎ সরবরাহকারীরা তাল মেলাতে পারছে না।
বিদ্যুতের দাম বাড়ার আরও একটি বড় কারণ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ আসে গ্যাস থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। ফলে দেশীয় বাজারে গ্যাসের দাম হু হু করে বাড়ছে। এ বছরই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের খরচ গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে, আগামী বছর তা আরও ১৭ শতাংশ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সৌর ও বায়ুশক্তির মতো তুলনামূলক সস্তা ও টেকসই বিকল্প ব্যবহার হতে পারে উপযুক্ত সমাধান। তবে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও বিদ্যুৎ পরিবহনের অবকাঠামো গড়তেও বিপুল অর্থ প্রয়োজন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ছয়টি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের বিল মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে অতিরিক্ত খরচ বহন করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে।
ফেডারেল সরকার দরিদ্র পরিবারগুলোর বিদ্যুৎ বিল মেটাতে প্রতিবছর প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান খরচ মেটাতে এই সহায়তা যথেষ্ট নয়। আরও উদ্বেগজনক হলো, সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটে এ সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে।
গাজায় বিধ্বংসী যুদ্ধের দুই বছর পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু শান্তির এই মুহূর্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য আশীর্বাদ নয়, বরং নতুন ছয়টি বড় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জের সূচনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেএ বছরের শুরুতে মাদাগাস্কারের আনতানানারিভো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পানির কল শুকিয়ে যায়। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ২৫ বছর বয়সী মেডিকেল শিক্ষার্থী আনজান্দ্রাইনা আন্দ্রিয়ানাইভো বলেন, ‘এক ফোঁটাও পানি ছিল না, গোসল করার উপায় নেই, টয়লেট ফ্লাশ করা যাচ্ছিল না, এমনকি হাত ধোয়ার পানিও নেই।
৬ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির বিজয়ের ৮০ বছর পেরিয়ে গেছে। বেইজিং, মস্কো ও ওয়াশিংটনে আয়োজিত বহুল আলোচিত বিজয়-উদ্যাপন মিছিলগুলো যেন বন্ধুত্ব আর ধারাবাহিকতার প্রতীকী চিত্র তুলে ধরেছে। কিন্তু এই জাঁকজমকের আড়ালে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে যুদ্ধপরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা, যা একসময় বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি
১৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার নিশ্চিত করেছেন, তিনি লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে (সিআইএ) অনুমোদন দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস প্রথমে খবরটি প্রকাশ করে। তারা জানায়, মার্কিন প্রশাসনের কৌশল মূলত
২০ ঘণ্টা আগে