সম্প্রতি ভারতের পাঁচটি রাজ্যের ভোট (বিধানসভা) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে আজ রোববার চারটি রাজ্যের ফলাফলে দেখা গেছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে বিজয় নিশ্চিত করেছে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আর তেলেঙ্গানা রাজ্যে জয় পেয়েছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। আগামীকাল সোমবার মিজোরামের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
২০২৪ সালে ভারতের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনকে অনেকে সেমিফাইনালের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বলা হচ্ছিল, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে পারবেন কি না, তার আভাস পাওয়া যাবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে সদ্য ঘোষিত নির্বাচনী ফল জাতীয় নির্বাচনে স্পষ্টভাবে মোদিকেই এগিয়ে রাখবে। তবে এ ক্ষেত্রে জটিল কিছু বিষয় রয়ে গেছে, যা আলোচিত হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
বিবিসি বলছে, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়—তিনটি রাজ্যেই জয় পেয়েছিল বিরোধী দল কংগ্রেস। কিন্তু এই ফলের ঠিক বিপরীত চিত্রটি দেখা গিয়েছিল তিন মাস পর অনুষ্ঠিত দেশটির জাতীয় নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে ক্ষমতাসীন বিজেপি বিজয়ী হয়েছিল এবং মোদি টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
এই অবস্থায় আগেরবার যে ঘটনা কংগ্রেসের ক্ষেত্রে ঘটেছিল, মোদি চাইবেন না একই ঘটনা বিজেপির ক্ষেত্রেও পুনরাবৃত্তি হোক। বিষয়টি বাদ দিলে ভারতের ‘হিন্দি হার্টল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত তিনটি রাজ্যে বিজয় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে মোদিকে বিপুল আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারতের রাজ্য নির্বাচনগুলোর সামগ্রিক চিত্র বিবেচনা করলে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে। আজকের ফলাফলের পর ভারতের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে বর্তমানে ১৫টিতে সরকার পরিচালনা করছে বিজেপি। এর মধ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দলটি ৯টি রাজ্য শাসন করছে। বাকি ৬টি রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য বিভিন্ন স্থানীয় দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে হয়েছে তাদের।
২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস জয়ী হলেও দেড় বছরের মাথায় দুই ডজন বিধানসভা সদস্যকে ভাঙিয়ে রাজ্যটি কেড়ে নিয়েছিল বিজেপি। সেই অর্থে মধ্যপ্রদেশে এবারও ক্ষমতা ধরে রেখেছে মোদির দল। আর রাজস্থান ও ছত্তিশগড় রাজ্য দুটি কংগ্রেসের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে দলটি। এই তিনটি রাজ্যসহ দেশটির হিন্দিভাষী ১০টি রাজ্য ভারতের জাতীয় নির্বাচনে দুই শতাধিক সংসদ সদস্যকে সংসদে পাঠায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য অনুষ্ঠিত রাজ্য নির্বাচনগুলো বিজেপির চেয়ে কংগ্রেসের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, ভালো ফল পেলে এটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলটির মনোবল চাঙা রাখত এবং ২৮টি বিরোধী দল নিয়ে গঠিত ‘ইন্ডিয়া’ (আইএনডিআইএ) জোটে দলটির নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী অবস্থান দিত।
দেখা গেছে, অতীতে রাজ্য নির্বাচনগুলোর সাফল্যকে জাতীয় নির্বাচনের সাফল্যে রূপান্তর করতে সংগ্রাম করেছে কংগ্রেস। এবার রাজ্য সরকারগুলোই ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে দলটি। তবে আশার কথা হলো কংগ্রেসের তেলেঙ্গানা বিজয়। আঞ্চলিক বিআরএস পার্টির কাছ থেকে এই রাজ্য কেড়ে নিয়েছে দলটি। এর আগে গত মে মাসে কর্ণাটকেও বিজয় পেয়েছে কংগ্রেস। ফলে দক্ষিণ ভারতে তাদের স্পষ্ট প্রভাব তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সর্বশেষ নির্বাচনগুলোতে বিজেপির সাফল্য শুধু যে মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’-এর ওপর ভর করে, তা নয়; বরং জনকল্যাণের প্রতিশ্রুতিগুলোও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। নির্বাচনী প্রচারণায় মোদি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, ভারতের ৮০ কোটি দরিদ্র মানুষকে বিনা মূল্যে শস্য বিতরণের একটি প্রকল্প আগামী পাঁচ বছর অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশে দরিদ্র নারীদের মধ্যে ১ হাজার ২৫০ রুপির মাসিক ভাতা রাজ্যটিতে দলটির শক্তিশালী ভিত্তি এনে দিয়েছে। এই রাজ্যে ৪৭ শতাংশ নারী ভোটার রয়েছেন।
সরকার ঘনিষ্ঠ হলেও গত আগস্টে ভারতীয় ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিনের সারা দেশে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, এক দশক ক্ষমতায় থাকার পরও মোদির জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের বেশি মনে করেন, ভারতের নেতৃত্বে মোদিই উপযুক্ত। তারপরও বিরোধী দলগুলোর ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কাছে এবার মোদিকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে বলে মনে করছেন ভারতীয় ভোটারদের মনোচিত্র নিয়ে কাজ করা বিশ্লেষকেরা।
সম্প্রতি ভারতের পাঁচটি রাজ্যের ভোট (বিধানসভা) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে আজ রোববার চারটি রাজ্যের ফলাফলে দেখা গেছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে বিজয় নিশ্চিত করেছে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আর তেলেঙ্গানা রাজ্যে জয় পেয়েছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। আগামীকাল সোমবার মিজোরামের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
২০২৪ সালে ভারতের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনকে অনেকে সেমিফাইনালের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বলা হচ্ছিল, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে পারবেন কি না, তার আভাস পাওয়া যাবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে সদ্য ঘোষিত নির্বাচনী ফল জাতীয় নির্বাচনে স্পষ্টভাবে মোদিকেই এগিয়ে রাখবে। তবে এ ক্ষেত্রে জটিল কিছু বিষয় রয়ে গেছে, যা আলোচিত হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
বিবিসি বলছে, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়—তিনটি রাজ্যেই জয় পেয়েছিল বিরোধী দল কংগ্রেস। কিন্তু এই ফলের ঠিক বিপরীত চিত্রটি দেখা গিয়েছিল তিন মাস পর অনুষ্ঠিত দেশটির জাতীয় নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে ক্ষমতাসীন বিজেপি বিজয়ী হয়েছিল এবং মোদি টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
এই অবস্থায় আগেরবার যে ঘটনা কংগ্রেসের ক্ষেত্রে ঘটেছিল, মোদি চাইবেন না একই ঘটনা বিজেপির ক্ষেত্রেও পুনরাবৃত্তি হোক। বিষয়টি বাদ দিলে ভারতের ‘হিন্দি হার্টল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত তিনটি রাজ্যে বিজয় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে মোদিকে বিপুল আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারতের রাজ্য নির্বাচনগুলোর সামগ্রিক চিত্র বিবেচনা করলে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে। আজকের ফলাফলের পর ভারতের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে বর্তমানে ১৫টিতে সরকার পরিচালনা করছে বিজেপি। এর মধ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দলটি ৯টি রাজ্য শাসন করছে। বাকি ৬টি রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য বিভিন্ন স্থানীয় দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে হয়েছে তাদের।
২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস জয়ী হলেও দেড় বছরের মাথায় দুই ডজন বিধানসভা সদস্যকে ভাঙিয়ে রাজ্যটি কেড়ে নিয়েছিল বিজেপি। সেই অর্থে মধ্যপ্রদেশে এবারও ক্ষমতা ধরে রেখেছে মোদির দল। আর রাজস্থান ও ছত্তিশগড় রাজ্য দুটি কংগ্রেসের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে দলটি। এই তিনটি রাজ্যসহ দেশটির হিন্দিভাষী ১০টি রাজ্য ভারতের জাতীয় নির্বাচনে দুই শতাধিক সংসদ সদস্যকে সংসদে পাঠায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য অনুষ্ঠিত রাজ্য নির্বাচনগুলো বিজেপির চেয়ে কংগ্রেসের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, ভালো ফল পেলে এটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলটির মনোবল চাঙা রাখত এবং ২৮টি বিরোধী দল নিয়ে গঠিত ‘ইন্ডিয়া’ (আইএনডিআইএ) জোটে দলটির নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী অবস্থান দিত।
দেখা গেছে, অতীতে রাজ্য নির্বাচনগুলোর সাফল্যকে জাতীয় নির্বাচনের সাফল্যে রূপান্তর করতে সংগ্রাম করেছে কংগ্রেস। এবার রাজ্য সরকারগুলোই ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে দলটি। তবে আশার কথা হলো কংগ্রেসের তেলেঙ্গানা বিজয়। আঞ্চলিক বিআরএস পার্টির কাছ থেকে এই রাজ্য কেড়ে নিয়েছে দলটি। এর আগে গত মে মাসে কর্ণাটকেও বিজয় পেয়েছে কংগ্রেস। ফলে দক্ষিণ ভারতে তাদের স্পষ্ট প্রভাব তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সর্বশেষ নির্বাচনগুলোতে বিজেপির সাফল্য শুধু যে মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’-এর ওপর ভর করে, তা নয়; বরং জনকল্যাণের প্রতিশ্রুতিগুলোও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। নির্বাচনী প্রচারণায় মোদি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, ভারতের ৮০ কোটি দরিদ্র মানুষকে বিনা মূল্যে শস্য বিতরণের একটি প্রকল্প আগামী পাঁচ বছর অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশে দরিদ্র নারীদের মধ্যে ১ হাজার ২৫০ রুপির মাসিক ভাতা রাজ্যটিতে দলটির শক্তিশালী ভিত্তি এনে দিয়েছে। এই রাজ্যে ৪৭ শতাংশ নারী ভোটার রয়েছেন।
সরকার ঘনিষ্ঠ হলেও গত আগস্টে ভারতীয় ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিনের সারা দেশে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, এক দশক ক্ষমতায় থাকার পরও মোদির জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের বেশি মনে করেন, ভারতের নেতৃত্বে মোদিই উপযুক্ত। তারপরও বিরোধী দলগুলোর ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কাছে এবার মোদিকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে বলে মনে করছেন ভারতীয় ভোটারদের মনোচিত্র নিয়ে কাজ করা বিশ্লেষকেরা।
ফ্রান্স ঐতিহাসিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায় ও স্থায়ী শান্তির পক্ষে। মাখোঁ নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের পোস্টে এই অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সংগত ও টেকসই শান্তির প্রতি ফ্রান্সের ঐতিহাসিক অঙ্গীকারের ধারাবাহিকতায় আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফ্রান্স
১০ ঘণ্টা আগেগত জুনে ইসরায়েলি শহরগুলোতে একের পর এক আঘাত হানে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এ সময় ইসরায়েলের টার্মিনাল হাই অ্যালটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ইন্টারসেপ্টরের তীব্র সংকট দেখা দেয়। এই সংকট মুহূর্তে এগিয়ে আসে মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলকে সাহায্য করার জন্য সৌদি আরবকে ইন্টারসেপ্টর সরবরাহ
১৬ ঘণ্টা আগেএই তিক্ত পরিসংখ্যানগুলোই দেখায় যে কেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এত দীর্ঘ ও জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা দুটি বিপরীত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বিশ্বাসী। তাদের ইতিহাস ও ধর্মীয় দাবিদাওয়ার ভিত্তি একই ভূমির ওপর, কিন্তু একে অপরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। শতবর্ষের সহিংসতা ও উচ্ছেদের পর যদি অনেকে
১৮ ঘণ্টা আগেদুই দেশের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ শুরু হয় ২০০৮ সালে। আন্তর্জাতিকভাবে ওই ৪ দশমিক ৬ কিলোমিটার এলাকা ‘বিরোধপূর্ণ এলাকা’ হিসেবে পরিচিত। মূলত দুটি মন্দিরের মালিকানা নিয়ে বিরোধ দুই দেশের। ২০০৮ সালে ওই দুই মন্দিরের একটিকে (প্রিয়াহ ভিহিয়ার) বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে ইউনেসকোর কাছে আবেদন করে কম্বোডিয়া
২ দিন আগে