Ajker Patrika

হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধে তবে কি হিজবুল্লাহও জড়িয়ে গেছে

আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৩, ০০: ১৩
হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধে তবে কি হিজবুল্লাহও জড়িয়ে গেছে

অনেকেই বলে থাকেন লেবাননের গেরিলা দল হিজবুল্লাহর সৃষ্টিই হয়েছে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল বিরোধী চেতনাকে ধারণ করে। ১৯৮৫ সালে আত্মপ্রকাশ করা এই সংগঠনটির কয়েকটি ভাবাদর্শের মধ্যেও ইসরায়েল বিরোধী কথা উল্লেখ আছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের কাছে হামাসের চেয়েও বড় মাথাব্যথার কারণ শিয়া মতাদর্শের হিজবুল্লাহ গেরিলারা। 

পরিস্থিতি এমন যে—সুযোগ পেলেই হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েল একে অপরকে ছোবল দিতে প্রস্তুত। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের আকস্মিক হামলার পরদিনই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কামান ও গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হিজবুল্লাহর যোদ্ধারাও। ইসরায়েল অধিকৃত লেবাননের শেবা খামারের তিন অবস্থানে এই হামলা চালানোর বিষয়টি রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে জানায় তারা। হামাসের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশ, সমুদ্র ও স্থলপথে হামলার ঘোষণা দেওয়া হয় ওই বিবৃতিতে। 

হিজবুল্লাহর ওই হামলার জবাব দিতেও দেরি করেনি ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনীর তথ্য মতে, লেবাননের যে অঞ্চল থেকে হামলা চালানো হয় সেখানে তারাও পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু করে। হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামাসের হামলায় সহযোগিতা করারও অভিযোগ করে তারা। 

লেবাননের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রিতদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি সংগঠনের সদস্যরাও। যুদ্ধের এই ডামাডোলের মধ্যে তাদেরও হাত নিশপিশ করছে। হিজবুল্লাহর সহযোগিতা নিয়ে তারাও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শপথ নিয়েছে। 

গত ৯ অক্টোবর আল-জাজিরা জানায়, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ লেবানন থেকে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, তাদের আল-কুদস ব্রিগেড লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেছিল। 

এ বিষয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, সেদিন বিকেলে লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ৩ হিজবুল্লাহ গেরিলাসহ অনুপ্রবেশকারী বেশ কয়েকজন বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। সংঘর্ষে ৬ ইসরায়েলিও আহত হয়েছে। 

এদিকে হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধের চতুর্থ দিন আজ মঙ্গলবারও (১০ অক্টোবর) ইসরায়েলের লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা—প্রকারান্তরে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে বেশ কিছু রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আল–জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাকৌরা শহরে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর দিয়েছেন। 

চলমান সংঘাত নিয়ে আল–জাজিরার ধারাবাহিক লাইভ খবরে আলী হাশেম লিখেছেন, ‘লেবানন এই মুহূর্তে যুদ্ধক্ষেত্র নয়। কিন্তু এটি এখন একের পর এক অভিযানের স্থান হয়ে গেছে।’ 

ইসরায়েলের প্রতিশোধের হামলায় ৩ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহতের ঘটনায় উত্তেজনা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। প্রতিশোধ আর পাল্টা প্রতিশোধের খেলায় লেবাননের নামটি এখন জড়িয়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

বিড়াল নির্যাতনের ঘটনায় গ্রামীণফোন ও অ্যারিস্টোফার্মা কেন আলোচনায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত