দ্য ইকোনমিস্ট
রুশ বিমান প্রতিরক্ষাই ভাগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের ব্যক্তিগত জেট বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে—এটি নিশ্চিত কোনো তথ্য নয়। আবার বিস্ফোরণের সময় বিমানটিতে যে প্রিগোঝিন ছিলেন—সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, বিমানটিতে প্রিগোঝিন ছিলেন এবং এটিকে গুলি করেই ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আদেশেই প্রিগোঝিন এমন নির্মম পরিণতি বরণ করেছেন।
অনেকেই বলবেন, প্রিগোঝিনের মৃত্যুতে পুতিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। কারণ ২৩ বছরের শাসনামলে প্রিগোঝিনই তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু এই মৃত্যুটি পুতিনের গ্রহণ করা পদক্ষেপের ক্রমবর্ধমান দুর্বলতাও প্রকাশ করে। তিনি হয়তো মহাক্ষমতাধর ‘জার’ হওয়ার ভান করেছেন। বাস্তবে তাঁর ক্ষয়িষ্ণু সাম্রাজ্য অভূতপূর্ব মিথ্যা, ঘুষ এবং দমন-পীড়নের ওপর ভর করে এখন চলছে। আর এই হত্যাকাণ্ড দেখিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাসই রাশিয়ার চূড়ান্ত কর্তৃত্ব।
প্রিগোঝিনের বিমানটি গত ২৩ আগস্ট মস্কোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় টাভার অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। তিনি সহ ভাগনার বাহিনীর আরও কয়েকজন নেতা বিমানটির যাত্রী তালিকায় ছিলেন। প্রিগোঝিন ছিলেন একজন হিংস্র মানুষ। পুতিনকে ঘিরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তিনি বিপুল ধনী হয়ে উঠেছিলেন। রাশিয়ার কারাগার থেকে আসামিদের সংগ্রহ করে তিনি নিজের ভাড়াটে যোদ্ধার দলে ভেড়াতেন। তার সেনাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকায়, যেখানে ভাগনার বাহিনী সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করে।
নানা ধরনের অপরাধ আর নৃশংসতার পরও পুতিন প্রিগোঝিনকে নতুন নতুন ব্যবসা এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করে এসেছেন। কিন্তু সবকিছু পাল্টে যায় গত জুনে, যখন রুশ সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দিয়ে ভাগনার সৈন্যদের নিয়ে মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন প্রিগোঝিন। বিদ্রোহ ঠেকানোর দূরদর্শিতার অভাব কিংবা এটিকে ঠেকিয়ে দেওয়ার শক্তি না থাকার জন্য সম্ভবত পুতিন বিচলিত হয়ে উঠেছিলেন। শেষ পর্যন্ত নানামুখী সমঝোতার মধ্য দিয়ে প্রিগোঝিন বিদ্রোহ প্রত্যাহার করে নেন।
বিমান বিধ্বংসের ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, পুতিন তাঁর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছেন এবং চূড়ান্ত রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো—বিপদ যে এগিয়ে আসছে তা বুঝতেই পারেননি প্রিগোঝিন। যত দিন ভাগনার বাহিনীর বস ছিলেন, তত দিন তিনি ছিলেন ত্রাসের কেন্দ্র। তাঁর মৃত্যু এবং বিমানের অন্য সবার প্রতি পুতিনের আপাত অবহেলা এটাই নির্দেশ করে যে, ক্রেমলিনের সৃষ্টি করা মাফিয়াকে বিশ্বাসঘাতকতাই নেতৃত্ব দেয়।
প্রিগোঝিনকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ওপর পুতিনের নিয়ন্ত্রণকে আরও শক্তিশালী করবে। এটা নিশ্চিতভাবে কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে, বিমানটি যেদিন ধ্বংস হলো—সেই একই দিনে জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এই সুরোভিকিনই গত জুনে ভাগনার বাহিনীর বিদ্রোহকে সমর্থন করার জন্য সন্দেহভাজন ছিলেন। আর প্রিগোঝিন যাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন—সেই চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু নিজ নিজ পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
ভাগনার বাহিনী এতে ক্ষুব্ধ হতে পারে। তাদের অনেকেই এখন বেলারুশে রয়েছেন। অনেকেই ভাবছেন, তারা হয়তো নেতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে দ্বিতীয়বারের মতো মস্কোর দিকে যাত্রা শুরু করবে। কিন্তু ভাগনারদের আদর্শই এমন যে, একজন মৃত সেনাপতির প্রতি আনুগত্যের চেয়ে বরং সম্পদ এবং আত্মরক্ষার বিষয়টিকে তাদের বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এই সব কিছুর জন্যই প্রিগোঝিনের মৃত্যু রুশ রাষ্ট্রের ক্ষয়কে চিহ্নিত করে। দীর্ঘদিনের একনায়কত্ব কেন ধ্বংসাত্মক পুতিন তার সর্বোত্তম উদাহরণ। যত বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হবে—পুতিনের আবেশ, বাতিক এবং বিরক্তি তত বেশি রাশিয়ার চিত্র হয়ে উঠবে।
প্রিগোঝিনের হত্যা সেই হতাশাজনক ব্যবস্থাকেই প্রসারিত করেছে। রাষ্ট্রের শক্তি প্রয়োগের একচেটিয়া অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে কোনো বিদ্রোহ হলে, একটি সুস্থ দেশ বিচার ব্যবস্থা ব্যবহার করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে। পুতিন এর পরিবর্তে দাম্ভিক সহিংসতাকেই হয়তো বেছে নিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা রাশিয়াকে আইনের শাসন এবং প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আরও দূরে সরিয়ে দেয়; যেগুলোর ওপর একটি আধুনিক রাষ্ট্র নির্ভর করে। প্রিগোঝিনের মৃত্যু রাশিয়াকে একটি করুণ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।
রুশ বিমান প্রতিরক্ষাই ভাগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের ব্যক্তিগত জেট বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে—এটি নিশ্চিত কোনো তথ্য নয়। আবার বিস্ফোরণের সময় বিমানটিতে যে প্রিগোঝিন ছিলেন—সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, বিমানটিতে প্রিগোঝিন ছিলেন এবং এটিকে গুলি করেই ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আদেশেই প্রিগোঝিন এমন নির্মম পরিণতি বরণ করেছেন।
অনেকেই বলবেন, প্রিগোঝিনের মৃত্যুতে পুতিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। কারণ ২৩ বছরের শাসনামলে প্রিগোঝিনই তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু এই মৃত্যুটি পুতিনের গ্রহণ করা পদক্ষেপের ক্রমবর্ধমান দুর্বলতাও প্রকাশ করে। তিনি হয়তো মহাক্ষমতাধর ‘জার’ হওয়ার ভান করেছেন। বাস্তবে তাঁর ক্ষয়িষ্ণু সাম্রাজ্য অভূতপূর্ব মিথ্যা, ঘুষ এবং দমন-পীড়নের ওপর ভর করে এখন চলছে। আর এই হত্যাকাণ্ড দেখিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাসই রাশিয়ার চূড়ান্ত কর্তৃত্ব।
প্রিগোঝিনের বিমানটি গত ২৩ আগস্ট মস্কোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় টাভার অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। তিনি সহ ভাগনার বাহিনীর আরও কয়েকজন নেতা বিমানটির যাত্রী তালিকায় ছিলেন। প্রিগোঝিন ছিলেন একজন হিংস্র মানুষ। পুতিনকে ঘিরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তিনি বিপুল ধনী হয়ে উঠেছিলেন। রাশিয়ার কারাগার থেকে আসামিদের সংগ্রহ করে তিনি নিজের ভাড়াটে যোদ্ধার দলে ভেড়াতেন। তার সেনাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকায়, যেখানে ভাগনার বাহিনী সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করে।
নানা ধরনের অপরাধ আর নৃশংসতার পরও পুতিন প্রিগোঝিনকে নতুন নতুন ব্যবসা এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করে এসেছেন। কিন্তু সবকিছু পাল্টে যায় গত জুনে, যখন রুশ সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দিয়ে ভাগনার সৈন্যদের নিয়ে মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন প্রিগোঝিন। বিদ্রোহ ঠেকানোর দূরদর্শিতার অভাব কিংবা এটিকে ঠেকিয়ে দেওয়ার শক্তি না থাকার জন্য সম্ভবত পুতিন বিচলিত হয়ে উঠেছিলেন। শেষ পর্যন্ত নানামুখী সমঝোতার মধ্য দিয়ে প্রিগোঝিন বিদ্রোহ প্রত্যাহার করে নেন।
বিমান বিধ্বংসের ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, পুতিন তাঁর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছেন এবং চূড়ান্ত রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো—বিপদ যে এগিয়ে আসছে তা বুঝতেই পারেননি প্রিগোঝিন। যত দিন ভাগনার বাহিনীর বস ছিলেন, তত দিন তিনি ছিলেন ত্রাসের কেন্দ্র। তাঁর মৃত্যু এবং বিমানের অন্য সবার প্রতি পুতিনের আপাত অবহেলা এটাই নির্দেশ করে যে, ক্রেমলিনের সৃষ্টি করা মাফিয়াকে বিশ্বাসঘাতকতাই নেতৃত্ব দেয়।
প্রিগোঝিনকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ওপর পুতিনের নিয়ন্ত্রণকে আরও শক্তিশালী করবে। এটা নিশ্চিতভাবে কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে, বিমানটি যেদিন ধ্বংস হলো—সেই একই দিনে জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এই সুরোভিকিনই গত জুনে ভাগনার বাহিনীর বিদ্রোহকে সমর্থন করার জন্য সন্দেহভাজন ছিলেন। আর প্রিগোঝিন যাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন—সেই চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু নিজ নিজ পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
ভাগনার বাহিনী এতে ক্ষুব্ধ হতে পারে। তাদের অনেকেই এখন বেলারুশে রয়েছেন। অনেকেই ভাবছেন, তারা হয়তো নেতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে দ্বিতীয়বারের মতো মস্কোর দিকে যাত্রা শুরু করবে। কিন্তু ভাগনারদের আদর্শই এমন যে, একজন মৃত সেনাপতির প্রতি আনুগত্যের চেয়ে বরং সম্পদ এবং আত্মরক্ষার বিষয়টিকে তাদের বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এই সব কিছুর জন্যই প্রিগোঝিনের মৃত্যু রুশ রাষ্ট্রের ক্ষয়কে চিহ্নিত করে। দীর্ঘদিনের একনায়কত্ব কেন ধ্বংসাত্মক পুতিন তার সর্বোত্তম উদাহরণ। যত বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হবে—পুতিনের আবেশ, বাতিক এবং বিরক্তি তত বেশি রাশিয়ার চিত্র হয়ে উঠবে।
প্রিগোঝিনের হত্যা সেই হতাশাজনক ব্যবস্থাকেই প্রসারিত করেছে। রাষ্ট্রের শক্তি প্রয়োগের একচেটিয়া অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে কোনো বিদ্রোহ হলে, একটি সুস্থ দেশ বিচার ব্যবস্থা ব্যবহার করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে। পুতিন এর পরিবর্তে দাম্ভিক সহিংসতাকেই হয়তো বেছে নিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা রাশিয়াকে আইনের শাসন এবং প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আরও দূরে সরিয়ে দেয়; যেগুলোর ওপর একটি আধুনিক রাষ্ট্র নির্ভর করে। প্রিগোঝিনের মৃত্যু রাশিয়াকে একটি করুণ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়াসংলগ্ন অঙ্গরাজ্য আলাস্কায় অবস্থিত যৌথ ঘাঁটি এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসনে মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প-পুতিন। বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়
২০ ঘণ্টা আগেনিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, তিনি ইতিমধ্যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন এবং নতুন কোনো শর্ত আরোপ করা হচ্ছে না। একই সময়ে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও মার্কিন পণ্যে তাদের শুল্ক স্থগিতাদেশ একই মেয়াদে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের পূর্বের চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে।
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
৪ দিন আগেশেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
৫ দিন আগে