অনলাইন ডেস্ক
আফগানদের দেশে ফেরত পাঠাতে তোড়জোড় শুরু করেছে ইরান সরকার। প্রায় ৪০ লাখ আফগানকে বাধ্যতামূলকভাবে দেশে ফেরত যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইরান না ছাড়লে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো বা গ্রেপ্তারের মতো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেহরানের ভাষ্য—যাদের দেশে ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের সবার সরকার নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়েছে। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে ইরানে বসবাসরতদেরই কেবল চলে যেতে বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফার্সি ভাষার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আফগান বিরোধী পোস্টে ভরে গেছে। গত বছর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘আফগানদের বহিষ্কারের’ দাবি অন্যতম প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছিল।
এ ছাড়া আফগানদের সস্তা শ্রম ইরানিদের কর্মসংস্থানে ভাগ বসাচ্ছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে মনে করা হয়। একই সঙ্গে, রুটি, তেল ও জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে সরকারের ভর্তুকি বাবদ ব্যয়ও আফগানদের কারণে বাড়ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সর্বশেষ যুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে বহু আফগানকে আটক করা হয়েছে—এমন খবর, ছবি ও ভিডিও ইরানের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এসব তথ্য কেউ স্বাধীন সূত্রে যাচাই করতে পারেনি।
এমন পরিস্থিতিতে আফগানদের গণহারে বহিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সরকার বলছে, তারা বিশেষভাবে আফগানদের টার্গেট করছে না। যদিও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন যেখানে প্রায় ২ হাজার আফগানকে ফেরত পাঠানো হতো, বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দিনে প্রায় ৩০ হাজারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান-ইসরায়েল ১২ দিনের যুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা এবং পরমাণুবিজ্ঞানী গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর ইরান সরকারে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েলের গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একটি হলো—ইরানে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য আফগানদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এ কারণেই আফগানদের ইরান থেকে বিতাড়িত করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে মত অনেকের।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্যমতে, শুধু জুন মাসেই ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি আফগান ইরান ছেড়েছেন। মার্চে ইরান সরকার যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি আফগান ইরান ছেড়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ইরান থেকে ফেরা বহু আফগান এখন আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের আফগানিস্তান প্রতিনিধি আরাফাত জামাল বলেন, ‘যারা দেশে ফিরছেন তাঁদের মধ্যে অল্পসংখ্যক স্বেচ্ছায় এলেও, বেশির ভাগই জোরপূর্বক বহিষ্কারের শিকার। যুদ্ধের কারণে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।’
এই ঘটনায় মানবিক উদ্বেগও বাড়ছে। বাতৌল আকবারি নামের তেহরানে বসবাসরত এক আফগানি আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমার জন্ম আফগানিস্তানে হলেও বেড়ে ওঠা ইরানেই। ইরানকেই নিজের ঘর বলে জেনেছি। পরিচিত এই ঘর ফেলে চলে যেতে হবে—এটা খুবই হৃদয়বিদারক।’
মোহাম্মাদ নাসিম মাজাহেরি নামের আরেক যুবক বলেন, ‘এই বহিষ্কারের কারণে অনেক পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ধরনের গণ বহিষ্কারে উদ্বেগ জানিয়েছে। তাদের মতে, দারিদ্র্যপীড়িত আফগানিস্তানে এভাবে লাখ লাখ মানুষ ফেরত পাঠানো দেশটির জন্য আরেকটি বড় সংকট ডেকে আনতে পারে। এ ছাড়া, যুদ্ধ, দারিদ্র্য আর তালেবান শাসনের ফলে আগে থেকেই বিপর্যস্ত দেশটি।
কয়েক বছর ধরেই ইরান এবং পাকিস্তান থেকে বিপুলসংখ্যক আফগান শরণার্থী দেশে ফিরছেন। কিন্তু আফগানিস্তান এই বিশাল সংখ্যক মানুষকে গ্রহণ করার জন্য মোটেই প্রস্তুত নয়। ইরান থেকে প্রত্যাবর্তিতদের পাশাপাশি, ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে পাকিস্তান থেকেও ১০ লাখের বেশি মানুষ আফগানিস্তানে ফিরে এসেছেন। এতে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিতে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা এবং ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থায় তীব্র চাপ তৈরি করছে। এই অপ্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তন আফগানিস্তানে সামাজিক স্থিতিশীলতাও হুমকির মুখে ফেলছে।
তবে, ইরান সরকার তাদের অবস্থানে অনড়। সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজারানি বলেন, ‘আমরা অতিথিদের সব সময় ভালোভাবে গ্রহণ করেছি, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই, অবৈধ অভিবাসীদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে।’
আফগানদের দেশে ফেরত পাঠাতে তোড়জোড় শুরু করেছে ইরান সরকার। প্রায় ৪০ লাখ আফগানকে বাধ্যতামূলকভাবে দেশে ফেরত যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইরান না ছাড়লে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো বা গ্রেপ্তারের মতো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেহরানের ভাষ্য—যাদের দেশে ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের সবার সরকার নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়েছে। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে ইরানে বসবাসরতদেরই কেবল চলে যেতে বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফার্সি ভাষার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আফগান বিরোধী পোস্টে ভরে গেছে। গত বছর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘আফগানদের বহিষ্কারের’ দাবি অন্যতম প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছিল।
এ ছাড়া আফগানদের সস্তা শ্রম ইরানিদের কর্মসংস্থানে ভাগ বসাচ্ছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে মনে করা হয়। একই সঙ্গে, রুটি, তেল ও জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে সরকারের ভর্তুকি বাবদ ব্যয়ও আফগানদের কারণে বাড়ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সর্বশেষ যুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে বহু আফগানকে আটক করা হয়েছে—এমন খবর, ছবি ও ভিডিও ইরানের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এসব তথ্য কেউ স্বাধীন সূত্রে যাচাই করতে পারেনি।
এমন পরিস্থিতিতে আফগানদের গণহারে বহিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সরকার বলছে, তারা বিশেষভাবে আফগানদের টার্গেট করছে না। যদিও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন যেখানে প্রায় ২ হাজার আফগানকে ফেরত পাঠানো হতো, বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দিনে প্রায় ৩০ হাজারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান-ইসরায়েল ১২ দিনের যুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা এবং পরমাণুবিজ্ঞানী গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর ইরান সরকারে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েলের গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একটি হলো—ইরানে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য আফগানদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এ কারণেই আফগানদের ইরান থেকে বিতাড়িত করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে মত অনেকের।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্যমতে, শুধু জুন মাসেই ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি আফগান ইরান ছেড়েছেন। মার্চে ইরান সরকার যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি আফগান ইরান ছেড়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ইরান থেকে ফেরা বহু আফগান এখন আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের আফগানিস্তান প্রতিনিধি আরাফাত জামাল বলেন, ‘যারা দেশে ফিরছেন তাঁদের মধ্যে অল্পসংখ্যক স্বেচ্ছায় এলেও, বেশির ভাগই জোরপূর্বক বহিষ্কারের শিকার। যুদ্ধের কারণে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।’
এই ঘটনায় মানবিক উদ্বেগও বাড়ছে। বাতৌল আকবারি নামের তেহরানে বসবাসরত এক আফগানি আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমার জন্ম আফগানিস্তানে হলেও বেড়ে ওঠা ইরানেই। ইরানকেই নিজের ঘর বলে জেনেছি। পরিচিত এই ঘর ফেলে চলে যেতে হবে—এটা খুবই হৃদয়বিদারক।’
মোহাম্মাদ নাসিম মাজাহেরি নামের আরেক যুবক বলেন, ‘এই বহিষ্কারের কারণে অনেক পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ধরনের গণ বহিষ্কারে উদ্বেগ জানিয়েছে। তাদের মতে, দারিদ্র্যপীড়িত আফগানিস্তানে এভাবে লাখ লাখ মানুষ ফেরত পাঠানো দেশটির জন্য আরেকটি বড় সংকট ডেকে আনতে পারে। এ ছাড়া, যুদ্ধ, দারিদ্র্য আর তালেবান শাসনের ফলে আগে থেকেই বিপর্যস্ত দেশটি।
কয়েক বছর ধরেই ইরান এবং পাকিস্তান থেকে বিপুলসংখ্যক আফগান শরণার্থী দেশে ফিরছেন। কিন্তু আফগানিস্তান এই বিশাল সংখ্যক মানুষকে গ্রহণ করার জন্য মোটেই প্রস্তুত নয়। ইরান থেকে প্রত্যাবর্তিতদের পাশাপাশি, ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে পাকিস্তান থেকেও ১০ লাখের বেশি মানুষ আফগানিস্তানে ফিরে এসেছেন। এতে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিতে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা এবং ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থায় তীব্র চাপ তৈরি করছে। এই অপ্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তন আফগানিস্তানে সামাজিক স্থিতিশীলতাও হুমকির মুখে ফেলছে।
তবে, ইরান সরকার তাদের অবস্থানে অনড়। সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজারানি বলেন, ‘আমরা অতিথিদের সব সময় ভালোভাবে গ্রহণ করেছি, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই, অবৈধ অভিবাসীদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে।’
চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সামরিক পরিকল্পনা অনুযায়ী—তারা এই অঞ্চল এবং উপসাগরীয় এলাকায় থাকা সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নির্মূল করতে চায়। এর জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টির কৌশল নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে, ইরানি সামরিক বাহিনী কয়েক বছর ধরে চীন ও রাশিয়ার পরোক্ষ সহায়তায় এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে আসছে
১১ ঘণ্টা আগেগাজার বেইত হানুন শহরে হামাসের সাম্প্রতিক হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হামাসের গেরিলা কৌশলের দক্ষতার প্রমাণ এটি...
২ দিন আগেজুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হয়। এই আন্দোলনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া র্যাপ গান, মিম এবং গ্রাফিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এখন এই মাধ্যমগুলোই হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে মূলধারার রা
৩ দিন আগেমালয়েশিয়ার রাজনীতিতে এক দীর্ঘ ও বর্ণময় অধ্যায়ের সাক্ষী মাহাথির মোহাম্মদ। গতকাল ১০ জুলাই ১০০ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল এবং ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দুই দফায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ আজও দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।
৪ দিন আগে