আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলমান ইউক্রেন সংকট, ব্যাপক অর্থে ইউরোপের নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে গত শুক্রবার বেইজিংয়ে পা রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই দিন শীতকালীন বেইজিং অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয় এর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন তিনি।
বৈঠক শেষে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার উদ্বেগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সি। আর তাইওয়ান ইস্যুতে বেইজিংয়ের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন পুতিন, যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ান।
পুতিন ও সির চিন্তার মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূরত্ব থাকলেও মিলের জায়গা বেশি। পররাষ্ট্রনীতিতে মোটাদাগে তাদের সাধারণ শত্রু যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। এ অবস্থায় তাইওয়ান ও ইউক্রেন পরিস্থিতিকে অনেকে একই পাল্লায় মাপেন। কিন্তু বিষয়টি তেমন নয় বলে মনে করেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।
এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও অবস্থানগত কারণে তাইওয়ান ও ইউক্রেনকে একই পাল্লায় ওজন করলে ভুল হবে। আয়তনে রাশিয়ার পরই ইউক্রেন ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ, যা জার্মানি-ফ্রান্সের চেয়েও বড়।
সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর ব্লকটি থেকে সদ্য স্বাধীন হওয়া বেলারুশ, কাজাখস্তান ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রধান শক্তিগুলোর মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ১৯৯৪ সালে স্বাক্ষরিত বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডাম অব সিকিউরিটি অ্যাসুয়েরেন্স নামের এ চুক্তিতে ইউক্রেনকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয় রাশিয়া। অর্থাৎ রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর হিসেবে রাশিয়া বর্তমানে যা-ই বলুক, ইউক্রেন কাগজকলমে একটি স্বাধীন দেশ।
এদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের ‘বিদ্রোহী’ অংশ মনে করে চীন, যা প্রয়োজনে যুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে চায় চীন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের শক্তিশালী কোনো দেশই তাইওয়ানকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয়নি।
অর্থনীতির দিক থেকেও তাদের অবস্থা আলাদা। আপাতত দৃষ্টিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে তাইওয়ানের যে উজ্জ্বল উপস্থিতি, তা ইউক্রেনের নেই। করোনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চগুণসম্পন্ন মাস্ক ও গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেলসামগ্রী সরবরাহ করে সুনাম কুড়িয়েছে তাইওয়ান। কিন্তু এ পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে।
চীন ও রাশিয়ার অর্থনীতির ব্যবধানও বিশাল। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। আর রাশিয়ার অর্থনীতি ১১তম।
মূলকথা হলো, চীন চাইলে যত সহজে তাইওয়ানকে দখলে নিতে পারবে, রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেন দখল করা তত সহজ হবে না।
বিশ্লেষণ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
চলমান ইউক্রেন সংকট, ব্যাপক অর্থে ইউরোপের নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে গত শুক্রবার বেইজিংয়ে পা রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই দিন শীতকালীন বেইজিং অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয় এর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন তিনি।
বৈঠক শেষে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার উদ্বেগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সি। আর তাইওয়ান ইস্যুতে বেইজিংয়ের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন পুতিন, যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ান।
পুতিন ও সির চিন্তার মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূরত্ব থাকলেও মিলের জায়গা বেশি। পররাষ্ট্রনীতিতে মোটাদাগে তাদের সাধারণ শত্রু যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। এ অবস্থায় তাইওয়ান ও ইউক্রেন পরিস্থিতিকে অনেকে একই পাল্লায় মাপেন। কিন্তু বিষয়টি তেমন নয় বলে মনে করেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।
এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও অবস্থানগত কারণে তাইওয়ান ও ইউক্রেনকে একই পাল্লায় ওজন করলে ভুল হবে। আয়তনে রাশিয়ার পরই ইউক্রেন ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ, যা জার্মানি-ফ্রান্সের চেয়েও বড়।
সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর ব্লকটি থেকে সদ্য স্বাধীন হওয়া বেলারুশ, কাজাখস্তান ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রধান শক্তিগুলোর মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ১৯৯৪ সালে স্বাক্ষরিত বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডাম অব সিকিউরিটি অ্যাসুয়েরেন্স নামের এ চুক্তিতে ইউক্রেনকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয় রাশিয়া। অর্থাৎ রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর হিসেবে রাশিয়া বর্তমানে যা-ই বলুক, ইউক্রেন কাগজকলমে একটি স্বাধীন দেশ।
এদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের ‘বিদ্রোহী’ অংশ মনে করে চীন, যা প্রয়োজনে যুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে চায় চীন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের শক্তিশালী কোনো দেশই তাইওয়ানকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয়নি।
অর্থনীতির দিক থেকেও তাদের অবস্থা আলাদা। আপাতত দৃষ্টিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে তাইওয়ানের যে উজ্জ্বল উপস্থিতি, তা ইউক্রেনের নেই। করোনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চগুণসম্পন্ন মাস্ক ও গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেলসামগ্রী সরবরাহ করে সুনাম কুড়িয়েছে তাইওয়ান। কিন্তু এ পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে।
চীন ও রাশিয়ার অর্থনীতির ব্যবধানও বিশাল। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। আর রাশিয়ার অর্থনীতি ১১তম।
মূলকথা হলো, চীন চাইলে যত সহজে তাইওয়ানকে দখলে নিতে পারবে, রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেন দখল করা তত সহজ হবে না।
বিশ্লেষণ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র কেন আগে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল? ভারতের মতো একটি সার্বভৌম দেশ কেন তৃতীয় পক্ষকে নিজের পক্ষ থেকে কথা বলার সুযোগ দিল?
১৩ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত সপ্তাহে পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা অনুমোদন করেছে। এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। কারণ, সে সময় দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে সামরিক সংঘাত চলছিল। পরে হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
২১ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের স্টানিৎসিয়া শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে ট্রান্সফরমার গত ২৬ এপ্রিল উড়িয়ে দিয়েছে একদল গোপন প্রতিরোধকারী। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল মেলিতোপোলে রেল অবকাঠামোয় আগুন লাগানো হয়।
২ দিন আগেভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা তাঁদের আগেভাগে জানানো হয়নি। এতে ভারত প্রথমে যুদ্ধবিরতির বিষয়টিকে ‘পাকিস্তানের অনুরোধে হওয়া’ বলে উপস্থাপন করতে পারছে না। যাহোক, যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতার পর ট্রাম্প ১১ মে কাশ্মীর ইস্যুতেও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ভারত কাশ্মীর ইস্যুতে বহুদিন
২ দিন আগে