আজকের পত্রিকা ডেস্ক
৯ বছর ধরে ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সময়ে তাঁর নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার অনেক আগে বিদায় নেওয়া মোগল সাম্রাজ্য ও মুসলিম শাসকদের অবশেষে পরাজিত করেছে।
অনেকটা নীরবে দেশটির বর্তমান সরকার তাঁদের (মুসলিম শাসকদের) স্কুল পাঠ্যের প্রান্তের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যেখানে তাঁরা সাত দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া বিভিন্ন তথ্য এরই ইঙ্গিত দেয়।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে মোগল শাসক ও দিল্লি সালতানাতের বেশ কিছু পৃষ্ঠা মুছে ফেলা হয়েছে। মোগলরা এখনো পুরোপুরি অদৃশ্য না হলেও শিক্ষার্থীরা আর ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শাসকের মাইলফলক এবং কৃতিত্ব সম্পর্কে জানতে পারবে না, যদিও তাদের উত্তরাধিকার ও ঐতিহ্য ভারতের স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক দৃশ্যপটে বেঁচে আছে।
এটা খুব মর্মান্তিক যে মোগল ও মুসলিম শাসকদের ভূমিকা ও অবদান না বুঝে শিক্ষার্থীরা বর্তমান ভারতকে কীভাবে উপলব্ধি করবে?
তবে পাঠ্যবইয়ে এই পরিমার্জন ও সম্পাদনাগুলো মোটেই বিস্ময়ের নয়। তাঁরা (এই সম্পাদনার সঙ্গে জড়িতরা) মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আদর্শিক অ্যাজেন্ডা মেনে চলেছেন, যেটি ভারতকে ঐতিহাসিকভাবে কেবল হিন্দুদের দেশ হিসেবে চিত্রিত করতে চায়। অন্য কোনো জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে মুসলমানদের উপস্থিতিকে অনুপ্রবেশ এবং দূষণ হিসেবে দেখাতে চায়। সত্যি বলতে, স্কুলের পাঠ্যবইগুলো ভারতীয় মুসলমানদের জাতীয় স্মৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাঁদের দীর্ঘ ইতিহাস ও অবদানকে অনিবার্য বাস্তবতা হিসেবে তুলে ধরেছে। কাজেই বিজেপি সরকার মনে করে, এই উত্তরাধিকার মুছে ফেলা উচিত। ঐতিহ্যিক মিলনের পরিবর্তে বরং মোগল ও মুসলিম শাসকদের কেবল নিষ্ঠুর আক্রমণকারী হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।
এই পদ্ধতি মুসলিম নামযুক্ত শহর ও রাস্তার নাম পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ঐতিহাসিক শহর এলাহাবাদ এখন প্রয়াগরাজ, আওরঙ্গাবাদ পরিণত হলো ছত্রপতি সম্বাজিনগর আর ওসমানাবাদ হলো দারাশিব। অযোধ্যায় ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস এই মহান মুসলিমবিরোধী সাংস্কৃতিক শুদ্ধির অংশ ছিল। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার শাহি মসজিদকে পরিবর্তনের পরবর্তী তালিকায় রাখা হয়েছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপূর্ব আনন্দের মতো বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাঠ্যবইয়ে মোগল ও মুসলমানদের প্রান্তিকীকরণ মোদির ভারতে মুসলমানরা বাস্তব জীবনে কী ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে, তারই প্রতিফলন। সাম্প্রতিক পাঠ্যবই সম্পাদনা সাংস্কৃতিক গণহত্যার অংশ।
৯ বছর ধরে ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সময়ে তাঁর নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার অনেক আগে বিদায় নেওয়া মোগল সাম্রাজ্য ও মুসলিম শাসকদের অবশেষে পরাজিত করেছে।
অনেকটা নীরবে দেশটির বর্তমান সরকার তাঁদের (মুসলিম শাসকদের) স্কুল পাঠ্যের প্রান্তের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যেখানে তাঁরা সাত দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছিলেন। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া বিভিন্ন তথ্য এরই ইঙ্গিত দেয়।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে মোগল শাসক ও দিল্লি সালতানাতের বেশ কিছু পৃষ্ঠা মুছে ফেলা হয়েছে। মোগলরা এখনো পুরোপুরি অদৃশ্য না হলেও শিক্ষার্থীরা আর ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শাসকের মাইলফলক এবং কৃতিত্ব সম্পর্কে জানতে পারবে না, যদিও তাদের উত্তরাধিকার ও ঐতিহ্য ভারতের স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক দৃশ্যপটে বেঁচে আছে।
এটা খুব মর্মান্তিক যে মোগল ও মুসলিম শাসকদের ভূমিকা ও অবদান না বুঝে শিক্ষার্থীরা বর্তমান ভারতকে কীভাবে উপলব্ধি করবে?
তবে পাঠ্যবইয়ে এই পরিমার্জন ও সম্পাদনাগুলো মোটেই বিস্ময়ের নয়। তাঁরা (এই সম্পাদনার সঙ্গে জড়িতরা) মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আদর্শিক অ্যাজেন্ডা মেনে চলেছেন, যেটি ভারতকে ঐতিহাসিকভাবে কেবল হিন্দুদের দেশ হিসেবে চিত্রিত করতে চায়। অন্য কোনো জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে মুসলমানদের উপস্থিতিকে অনুপ্রবেশ এবং দূষণ হিসেবে দেখাতে চায়। সত্যি বলতে, স্কুলের পাঠ্যবইগুলো ভারতীয় মুসলমানদের জাতীয় স্মৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাঁদের দীর্ঘ ইতিহাস ও অবদানকে অনিবার্য বাস্তবতা হিসেবে তুলে ধরেছে। কাজেই বিজেপি সরকার মনে করে, এই উত্তরাধিকার মুছে ফেলা উচিত। ঐতিহ্যিক মিলনের পরিবর্তে বরং মোগল ও মুসলিম শাসকদের কেবল নিষ্ঠুর আক্রমণকারী হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।
এই পদ্ধতি মুসলিম নামযুক্ত শহর ও রাস্তার নাম পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ঐতিহাসিক শহর এলাহাবাদ এখন প্রয়াগরাজ, আওরঙ্গাবাদ পরিণত হলো ছত্রপতি সম্বাজিনগর আর ওসমানাবাদ হলো দারাশিব। অযোধ্যায় ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস এই মহান মুসলিমবিরোধী সাংস্কৃতিক শুদ্ধির অংশ ছিল। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার শাহি মসজিদকে পরিবর্তনের পরবর্তী তালিকায় রাখা হয়েছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপূর্ব আনন্দের মতো বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাঠ্যবইয়ে মোগল ও মুসলমানদের প্রান্তিকীকরণ মোদির ভারতে মুসলমানরা বাস্তব জীবনে কী ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে, তারই প্রতিফলন। সাম্প্রতিক পাঠ্যবই সম্পাদনা সাংস্কৃতিক গণহত্যার অংশ।
ডিজিটাল যুগে আমরা কেবল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি না—আমরা প্রযুক্তির কাছে নিজেদের মনোযোগ, অনুভূতি, এমনকি চিন্তার স্বাধীনতাও তুলে দিচ্ছি। অ্যালগরিদম এখন আমাদের সিদ্ধান্ত, সম্পর্ক ও চেতনার গভীর স্তরে হস্তক্ষেপ করছে। শোষণ আজ আর কেবল শ্রমের ওপর নির্ভরশীল নয়—এখন তা মন ও মনোযোগের বাণিজ্যে রূপ নিয়েছে।
৩ দিন আগেপুতিন যখন যুদ্ধে জয় নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী মনোভাব দেখাচ্ছেন, ঠিক তখনই রাশিয়ার ভেতরে ড্রোন হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০টি বোমারু বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেন। এগুলোর মধ্যে কিছু পারমাণবিক অস্ত্রবাহী যুদ্ধবিমানও ছিল।
৪ দিন আগেবিশ্বের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও ‘রুশ আগ্রাসনের নতুন যুগে’ প্রতিরক্ষা খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গত সোমবার (২ জুন) প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের কৌশলগত প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় (এসডিআর) উঠে এসেছে পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিন ও গোলাবারুদ তৈরির নতুন কারখানায় বিনিয়োগের পরিকল্পনা।
৪ দিন আগেসত্য কী? অধিকাংশ মানুষের কাছে সত্য মানে হলো, যা বাস্তব তথ্যের সঙ্গে মিলে। অবশ্য আজকাল ‘বিকল্প সত্য’ নামে নতুন এক ধারণা অনেকে হাজির করছেন। সে যাই হোক, অভিজ্ঞতা বলে, সত্য শুধু বস্তুনিষ্ঠ হওয়াটাই যথেষ্ট নয়, সত্য প্রকাশের উপযুক্ত লগ্ন, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য খুবই জরুরি।
৪ দিন আগে