সম্পাদকীয়
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের অন্যতম সহযোগী বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী। তিনি আজীবন সংগ্রামী, অসাম্প্রদায়িক, ন্যায়নিষ্ঠ ও বিবেকের কণ্ঠস্বর বলে মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন। তাঁর নামের সঙ্গে ‘বিপ্লবী’ বিশেষণটা এ কারণেই যৌক্তিক। নিতান্ত সাদামাটা জীবন যাপন করেও কীভাবে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়, তারই এক বিরল দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি।
১৯২৯ সালে নিজ এলাকার একটি বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পাস করে লাভ করেন ‘রায় বাহাদুর বৃত্তি’। স্কুলজীবনেই ব্রিটিশবিরোধী যুগান্তর দলের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামের জালালাবাদ পাহাড়ে মাস্টারদার বাহিনী ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে অনেক বিপ্লবী শহীদ হন। এ ঘটনায় তাঁর কণ্ঠনালিতে গুলি লাগে। গোপনে তাঁকে চিকিৎসা নিতে হয়। ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এরপর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী থাকা অবস্থায় ১৯৩৪ সালে প্রথম বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক এবং ১৯৩৬ সালে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাস করেন। ইংরেজ সরকার কর্তৃক গৃহবন্দী অবস্থায় ১৯৩৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ ও বিএল ডিগ্রি লাভ করেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম আদালতে আইন পেশায় যুক্ত হন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে শুরু করেন সক্রিয় রাজনীতির চর্চা।
তিনি ১৯৪১ সালে আবার গ্রেপ্তার হন। এ সময় তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ব্রিটিশ, পাকিস্তান, বাংলাদেশ—এই তিন পর্বে তিনি সব ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সেই সঙ্গে যেকোনো ধরনের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সদা জাগ্রত।
এই মহান বিপ্লবী মানুষটির জন্ম ১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার উত্তর ভূর্ষি গ্রামে।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের অন্যতম সহযোগী বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী। তিনি আজীবন সংগ্রামী, অসাম্প্রদায়িক, ন্যায়নিষ্ঠ ও বিবেকের কণ্ঠস্বর বলে মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন। তাঁর নামের সঙ্গে ‘বিপ্লবী’ বিশেষণটা এ কারণেই যৌক্তিক। নিতান্ত সাদামাটা জীবন যাপন করেও কীভাবে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়, তারই এক বিরল দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি।
১৯২৯ সালে নিজ এলাকার একটি বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পাস করে লাভ করেন ‘রায় বাহাদুর বৃত্তি’। স্কুলজীবনেই ব্রিটিশবিরোধী যুগান্তর দলের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামের জালালাবাদ পাহাড়ে মাস্টারদার বাহিনী ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে অনেক বিপ্লবী শহীদ হন। এ ঘটনায় তাঁর কণ্ঠনালিতে গুলি লাগে। গোপনে তাঁকে চিকিৎসা নিতে হয়। ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এরপর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী থাকা অবস্থায় ১৯৩৪ সালে প্রথম বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক এবং ১৯৩৬ সালে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাস করেন। ইংরেজ সরকার কর্তৃক গৃহবন্দী অবস্থায় ১৯৩৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ ও বিএল ডিগ্রি লাভ করেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম আদালতে আইন পেশায় যুক্ত হন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে শুরু করেন সক্রিয় রাজনীতির চর্চা।
তিনি ১৯৪১ সালে আবার গ্রেপ্তার হন। এ সময় তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ব্রিটিশ, পাকিস্তান, বাংলাদেশ—এই তিন পর্বে তিনি সব ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সেই সঙ্গে যেকোনো ধরনের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সদা জাগ্রত।
এই মহান বিপ্লবী মানুষটির জন্ম ১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার উত্তর ভূর্ষি গ্রামে।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
৪ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৮ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৯ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
১২ দিন আগে