সম্পাদকীয়
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ৫০ বছর ধরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সুপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন এ কে ফজলুল হক। তিনি বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘শেরে বাংলা’ ও ‘হক সাহেব’ নামে।
তিনি ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের সাতুরিয়া মিঞাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৪ বছর বয়সে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে বৃত্তি ও পারিতোষিকসহ ঢাকা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রবেশিকা পরীক্ষা, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ পাস এবং গণিত, রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় প্রথম শ্রেণিতে বিএ পাস করেন। লর্ড রিপন কলেজ থেকে বিএল পাস করেন। ১৯০১ সালে তিনি বরিশালে ফিরে আসেন।
এ কে ফজলুল হক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরি করেন। কিন্তু সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় চাকরি ছেড়ে আবার আইন পেশায় যুক্ত হন।
ফজলুল হক রাজনৈতিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), তিনি প্রথম মুসলিম মেয়র ছিলেন। অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৫৫), পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬-১৯৫৮) অন্যতম। যুক্তফ্রন্ট গঠনে তিনি ছিলেন অন্যতম। বাংলায় তিনি কৃষক প্রজা পার্টির মাধ্যমে নিচু জাতের হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের কৃষকদের স্বার্থের পক্ষে রাজনীতি করেছেন।
তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য এবং মন্টেগু-চেমসফোর্ট কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯১৬ সালে লক্ষ্ণৌ শহরে লীগ কংগ্রেসের যুক্ত অধিবেশনে তিনি যে প্রস্তাব উত্থাপন করেন, তা বিখ্যাত ‘লক্ষ্ণৌ চুক্তি’ নামে অভিহিত হয়। ১৯১৮ সালে তিনি ভারত মুসলিম লীগের দিল্লি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তাঁরই প্রচেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ, লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ, তাঁর স্বগ্রাম চাখারে ফজলুল হক কলেজ এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন ও ঋণ সালিসি বোর্ড প্রবর্তনে তাঁর অবদান আছে।
তিনি ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ৫০ বছর ধরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সুপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন এ কে ফজলুল হক। তিনি বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘শেরে বাংলা’ ও ‘হক সাহেব’ নামে।
তিনি ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের সাতুরিয়া মিঞাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৪ বছর বয়সে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে বৃত্তি ও পারিতোষিকসহ ঢাকা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রবেশিকা পরীক্ষা, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ পাস এবং গণিত, রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় প্রথম শ্রেণিতে বিএ পাস করেন। লর্ড রিপন কলেজ থেকে বিএল পাস করেন। ১৯০১ সালে তিনি বরিশালে ফিরে আসেন।
এ কে ফজলুল হক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরি করেন। কিন্তু সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় চাকরি ছেড়ে আবার আইন পেশায় যুক্ত হন।
ফজলুল হক রাজনৈতিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), তিনি প্রথম মুসলিম মেয়র ছিলেন। অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৫৫), পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬-১৯৫৮) অন্যতম। যুক্তফ্রন্ট গঠনে তিনি ছিলেন অন্যতম। বাংলায় তিনি কৃষক প্রজা পার্টির মাধ্যমে নিচু জাতের হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের কৃষকদের স্বার্থের পক্ষে রাজনীতি করেছেন।
তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য এবং মন্টেগু-চেমসফোর্ট কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯১৬ সালে লক্ষ্ণৌ শহরে লীগ কংগ্রেসের যুক্ত অধিবেশনে তিনি যে প্রস্তাব উত্থাপন করেন, তা বিখ্যাত ‘লক্ষ্ণৌ চুক্তি’ নামে অভিহিত হয়। ১৯১৮ সালে তিনি ভারত মুসলিম লীগের দিল্লি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তাঁরই প্রচেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ, লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ, তাঁর স্বগ্রাম চাখারে ফজলুল হক কলেজ এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন ও ঋণ সালিসি বোর্ড প্রবর্তনে তাঁর অবদান আছে।
তিনি ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
২ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৩ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৪ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৭ দিন আগে