সম্পাদকীয়
ঘটনাটা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের। ১৯৬৭ সালের এপ্রিল মাস। পুরোনো ২০ সেলে যে ছাত্রবন্দীরা আছে, তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে দাবি তুলেছে, খিচুড়ি খাওয়াতে হবে। কিন্তু এত বন্দীকে খাওয়াতে গেলে যে পরিমাণ রসদ দরকার হয়, তা জোগাড় করা কঠিন বলে শেখ মুজিব তাদের কথায় পাত্তা দেননি। নূরে আলম সিদ্দিকী, নুরুল ইসলামরা মিলে তখন গঠন করে ফেলেছেন ‘খিচুড়ি সংগ্রাম পরিষদ’। এরই মধ্যে একদিন রান্নাঘরের পাশের কাঁঠালগাছে পত্রিকার কাগজ ছিঁড়ে বানানো পোস্টার দেখতে পেলেন বঙ্গবন্ধু। সেই পোস্টারে কালি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, খিচুড়ি দিতে হবে।’
২৯ এপ্রিল বেগম মুজিব কয়েক সের চাল, কিছু ডাল, তেল, ঘি, তরকারি, চা, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ পাঠালেন জেলখানায়। ডিভিশন ‘ক’-এর কয়েদিরা ডিআইজি প্রিজনের অনুমতি নিয়ে বাড়ি থেকে এগুলো আনাতে পারে। খাদ্যগুলো পেয়ে বঙ্গবন্ধু ভাবলেন, এবার খিচুড়ি সংগ্রাম পরিষদের দাবি বাস্তবায়ন করা যাবে। নিজেদের খাবারের তালিকা থেকে এরই মধ্যে তারা কিছু মুরগি, ডিম বাঁচিয়েছিল। ফলে খিচুড়ির মালপত্র জোগাড় হয়ে গেল।
বঙ্গবন্ধুই মূল বাবুর্চি। তিনি আরও কয়েকজন কয়েদি বাবুর্চিকে বুঝিয়ে দিলেন কী করে রান্না করতে হবে। বড় পরিসরে রান্না। একটু উনিশ-বিশ হয়ে গেল। পানি বেশি হওয়ায় চাল-ডালের মণ্ড হয়ে গেল খিচুড়িটা। কিন্তু যারা খেল, তারা প্রশংসা করল এই খিচুড়ির। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিকী, নুরুল ইসলাম বললেন, ‘মন্দ হয় নাই।’ সঙ্গে ছিল কচি মুরগির টুকরো, ডিম। খারাপ লাগবে কেন?
বঙ্গবন্ধু এই চাল-ডালের মণ্ড খাওয়ার পর বললেন, ‘আমি হেড বাবুর্চি। কিন্তু আমার মন রাখতে হবে না। আমিই তো খেয়েছি।’
খিচুড়ি সংগ্রাম আদায় পরিষদের দাবি আদায় হয়ে গেল। জেলখানা আবার ফিরে পেল তার নিজের গতি।
সূত্র: শেখ মুজিবুর রহমান, কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা ২৩৪-২৩৫
ঘটনাটা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের। ১৯৬৭ সালের এপ্রিল মাস। পুরোনো ২০ সেলে যে ছাত্রবন্দীরা আছে, তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে দাবি তুলেছে, খিচুড়ি খাওয়াতে হবে। কিন্তু এত বন্দীকে খাওয়াতে গেলে যে পরিমাণ রসদ দরকার হয়, তা জোগাড় করা কঠিন বলে শেখ মুজিব তাদের কথায় পাত্তা দেননি। নূরে আলম সিদ্দিকী, নুরুল ইসলামরা মিলে তখন গঠন করে ফেলেছেন ‘খিচুড়ি সংগ্রাম পরিষদ’। এরই মধ্যে একদিন রান্নাঘরের পাশের কাঁঠালগাছে পত্রিকার কাগজ ছিঁড়ে বানানো পোস্টার দেখতে পেলেন বঙ্গবন্ধু। সেই পোস্টারে কালি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, খিচুড়ি দিতে হবে।’
২৯ এপ্রিল বেগম মুজিব কয়েক সের চাল, কিছু ডাল, তেল, ঘি, তরকারি, চা, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ পাঠালেন জেলখানায়। ডিভিশন ‘ক’-এর কয়েদিরা ডিআইজি প্রিজনের অনুমতি নিয়ে বাড়ি থেকে এগুলো আনাতে পারে। খাদ্যগুলো পেয়ে বঙ্গবন্ধু ভাবলেন, এবার খিচুড়ি সংগ্রাম পরিষদের দাবি বাস্তবায়ন করা যাবে। নিজেদের খাবারের তালিকা থেকে এরই মধ্যে তারা কিছু মুরগি, ডিম বাঁচিয়েছিল। ফলে খিচুড়ির মালপত্র জোগাড় হয়ে গেল।
বঙ্গবন্ধুই মূল বাবুর্চি। তিনি আরও কয়েকজন কয়েদি বাবুর্চিকে বুঝিয়ে দিলেন কী করে রান্না করতে হবে। বড় পরিসরে রান্না। একটু উনিশ-বিশ হয়ে গেল। পানি বেশি হওয়ায় চাল-ডালের মণ্ড হয়ে গেল খিচুড়িটা। কিন্তু যারা খেল, তারা প্রশংসা করল এই খিচুড়ির। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিকী, নুরুল ইসলাম বললেন, ‘মন্দ হয় নাই।’ সঙ্গে ছিল কচি মুরগির টুকরো, ডিম। খারাপ লাগবে কেন?
বঙ্গবন্ধু এই চাল-ডালের মণ্ড খাওয়ার পর বললেন, ‘আমি হেড বাবুর্চি। কিন্তু আমার মন রাখতে হবে না। আমিই তো খেয়েছি।’
খিচুড়ি সংগ্রাম আদায় পরিষদের দাবি আদায় হয়ে গেল। জেলখানা আবার ফিরে পেল তার নিজের গতি।
সূত্র: শেখ মুজিবুর রহমান, কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা ২৩৪-২৩৫
আর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
১ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
৬ দিন আগেগাইবান্ধা জেলার মীরের বাগান একসময় ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামের এক দরবেশ এদিকটায় এসে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি মসজিদ ও তিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদটির দেয়ালে খোদাই করা লিপি থেকে জানা যায়, এটি হাজার বছর আগে ১০১১ সালে নির্মিত।
৭ দিন আগেআমি মনে করি, পৃথিবীতে ‘সব প্রতিষ্ঠানের বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে লিঙ্গায়ন’। এটা নীরবেই অনেক আগেই বিশ্বায়িত...। অনেক আগে হাজার হাজার বছর আগে...বিশ্ব নিয়ে লোকে তখনো ভাবতেই শেখেনি। লিঙ্গ থেকে যা আলাদা হচ্ছে একমাত্র অভিজ্ঞতালব্ধ পার্থক্য, যা প্রত্যেকেই আঁচ করতে পারে আর তাই আপনারা জানতে পারবেন...
১০ দিন আগে