Ajker Patrika

একজন কবি ও লেখকের দায়িত্ব

সম্পাদকীয়
একজন কবি ও লেখকের দায়িত্ব

যতক্ষণ না এই ভালোবাসা, ত্যাগ, সম্মান, গর্ব ও সহমর্মিতার বিষয়গুলোয় অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারছেন একজন লেখক, ততক্ষণ তাঁকে হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে মানুষের শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। আমি মানবের মৃত্যুকে মেনে নিতে চাই না। সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলে বলেই মানুষ অনশ্বর—এমনটা বলে দেওয়া খুবই সহজ। যখন বেলা শেষে মরে যাওয়া সূর্যের সামনে মৃত্যুর শেষ ঘণ্টাধ্বনি বাজবে, তখনো একটি শব্দ ভেসে বেড়াবে চরাচরে। সে কণ্ঠ মানুষের।

আমি বিশ্বাস করি, মানুষ শুধু বাধাবিপত্তির সঙ্গে যুঝতে যুঝতে এগোয় না, সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এগোয়। প্রতিবন্ধকতা জয়ের ক্ষমতাই কবি বা লেখককে অন্যদের থেকে আলাদা মর্যাদায় অভিষিক্ত করে। সে নশ্বর, কেবল এই কারণেই নয় যে সব প্রাণিজগতের মধ্যে তার অফুরন্ত স্বর রয়েছে; বরং এ জন্যই যে তার আত্মা রয়েছে, হৃদয় রয়েছে। সে আত্মত্যাগে সক্ষম, সমবেদনায় ভরপুর, তার সহ্যক্ষমতা অনেক। একজন কবি এবং লেখকের দায়িত্ব থেকে যায় এ বিষয়গুলো নিয়ে লেখার।

একজন কবি বা লেখকের নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করা উচিত। কারণ লেখার মাধ্যমে সে মানুষের হৃদয়কে উদ্বোধিত করার সুযোগ পায়, মানুষকে মনে করিয়ে দিতে পারে তার সাহস গরিমা, আশা, সম্মান, ত্যাগ এবং মর্যাদাকে, যা কিনা আজ নেহাত অতীতের ঐশ্বর্য হয়েই থেকে গেছে। একজন কবির স্বর নিছক একজন মানুষের গড়পড়তা অনুকরণ হয়েই থাকবে না, তা হয়ে উঠবে স্তম্ভের মতো, যা বিপদ জয় করে এগোতে সাহায্য করবে মানুষকে। 

মার্কিন লেখক উইলিয়াম ফকনার ১৯৫০ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। কবিতা লিখে সাহিত্যিক জীবন শুরু করলেও উপন্যাস, ছোটগল্প ও নাটক লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত