সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের অগ্রগণ্য চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান। তিনি ‘পটুয়া’ নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়ার দানবমূর্তিসংবলিত পোস্টার ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ এঁকে খ্যাতি অর্জন করেন। এরপর সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের মুখাবয়ব হিসেবে ‘দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে’ ক্যারিকেচার এঁকেছিলেন।
কামরুল হাসানের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের কালনা থানার নারেঙ্গা গ্রামে, ১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর। ১৯৪৮ সালে সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘ফরোয়ার্ড ব্লক’-এ যোগ দেন। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে চিত্রশিল্পীদের আঁকা ছবি নিয়ে কলকাতায় কমিউনিস্ট পার্টি একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সেখানে তাঁর ছবি স্থান পেয়েছিল। ‘মণিমেলা’ ও ‘মুকুল ফৌজ’ শিশুকিশোর সংগঠনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। ছেলেবেলা থেকেই যুক্ত ছিলেন পত্রপত্রিকার সঙ্গে। ‘শিশু’ ও ‘আবীর’ নামের দুটি শিশু-কিশোরদের পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
তৎকালীন আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৫০ সালে বাংলার শিল্পীরা আর্ট ইনস্টিটিউটের বাইরে শিল্প আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গড়ে তোলেন ‘ঢাকা আর্ট গ্রুপ’। জয়নুল আবেদিন এই গ্রুপের সভাপতি এবং কামরুল হাসান সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালে নতুন দেশের নতুন জাতীয় পতাকার রূপ দেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতীকের ডিজাইন ছাড়াও করেছেন বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতীক অঙ্কন। বাংলাদেশের সংবিধানের কভার ডিজাইনও তিনি করেছেন। নকশাগুলোতে তিনি চিরায়ত বাংলার রূপ প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
১৯৬০ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর নিয়ে তিনি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রের প্রধান নকশাবিদ নিযুক্ত হন। ব্রতচারী আন্দোলন থেকে শুরু করে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
লিটলম্যাগ ‘মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা’র অধিকাংশ সংখ্যা তাঁর স্কেচে প্রকাশিত হতো। সম্পাদকের মৃত্যুর পর পত্রিকার সব প্রচ্ছদ নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের অগ্রগণ্য চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান। তিনি ‘পটুয়া’ নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়ার দানবমূর্তিসংবলিত পোস্টার ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ এঁকে খ্যাতি অর্জন করেন। এরপর সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের মুখাবয়ব হিসেবে ‘দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে’ ক্যারিকেচার এঁকেছিলেন।
কামরুল হাসানের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের কালনা থানার নারেঙ্গা গ্রামে, ১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর। ১৯৪৮ সালে সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘ফরোয়ার্ড ব্লক’-এ যোগ দেন। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে চিত্রশিল্পীদের আঁকা ছবি নিয়ে কলকাতায় কমিউনিস্ট পার্টি একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সেখানে তাঁর ছবি স্থান পেয়েছিল। ‘মণিমেলা’ ও ‘মুকুল ফৌজ’ শিশুকিশোর সংগঠনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। ছেলেবেলা থেকেই যুক্ত ছিলেন পত্রপত্রিকার সঙ্গে। ‘শিশু’ ও ‘আবীর’ নামের দুটি শিশু-কিশোরদের পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
তৎকালীন আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৫০ সালে বাংলার শিল্পীরা আর্ট ইনস্টিটিউটের বাইরে শিল্প আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গড়ে তোলেন ‘ঢাকা আর্ট গ্রুপ’। জয়নুল আবেদিন এই গ্রুপের সভাপতি এবং কামরুল হাসান সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালে নতুন দেশের নতুন জাতীয় পতাকার রূপ দেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতীকের ডিজাইন ছাড়াও করেছেন বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতীক অঙ্কন। বাংলাদেশের সংবিধানের কভার ডিজাইনও তিনি করেছেন। নকশাগুলোতে তিনি চিরায়ত বাংলার রূপ প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
১৯৬০ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর নিয়ে তিনি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রের প্রধান নকশাবিদ নিযুক্ত হন। ব্রতচারী আন্দোলন থেকে শুরু করে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
লিটলম্যাগ ‘মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা’র অধিকাংশ সংখ্যা তাঁর স্কেচে প্রকাশিত হতো। সম্পাদকের মৃত্যুর পর পত্রিকার সব প্রচ্ছদ নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল।
... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
১ দিন আগে...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট..
৮ দিন আগেভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১৪ দিন আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
১৫ দিন আগে