Ajker Patrika

হেলাল হাফিজ

সম্পাদকীয়
হেলাল হাফিজ

উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের সময় হেলাল হাফিজ ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ কবিতাটি লেখেন। এই একটি কবিতা লিখেই তিনি রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই তখন তাঁকে চিনত ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র কবি হিসেবে। বিদ্রোহ আর প্রেমকে তিনি মিলিত করেছিলেন এক বিন্দুতে।

হেলাল হাফিজ যখন খ্যাতির একেবারে শিখরে, তখনই তিনি চলে যান লোকচক্ষুর আড়ালে। এরপর আর কোনো বই প্রকাশ হয়নি অনেক বছর। দীর্ঘ ২৬ বছর পর ২০১২ সালে আবার ‘কবিতা একাত্তর’ কবিতার বই প্রকাশিত হয়। আর তৃতীয় এবং সর্বশেষ বই ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে।

জীবনের তিনটি ঘটনা তাঁর জীবনকে বোহিমিয়ান করতে প্রলুব্ধ করেছে। তাঁর তিন বছর বয়সে মা মারা যান। এরপর বাবাই ছিলেন তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। কিন্তু ১৯৭৩ সালের ১৯ জুন পিতার মৃত্যু হলো। পিতার মৃত্যু তাঁকে প্রবলভাবে ধাক্কা দেয়। তাঁর মনে হলো, জগৎসংসার তুচ্ছ। তাঁর মধ্যে বৈরাগ্য আরও প্রগাঢ় হলো। এরপর জীবনের তৃতীয় ঘটনা সবকিছু ওলট-পালট করে দিল। তাঁর প্রেমিকার নাম ছিল হেলেন।

তিনি একদিন হঠাৎ কবিকে ডেকে বললেন, ‘আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। বাবা-মা আমার বিয়ে ঠিক করেছে।’ এই তিনটি ঘটনা তাঁকে চিরস্থায়ীভাবে সংসারবিমুখ করে তোলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায়ই তৎকালীন জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বদেশে যোগ দেন তিনি। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এই পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৬ সালের শেষ দিকে তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন এবং সবশেষে দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন।

হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত