সম্পাদকীয়
পপসম্রাট, সংগীতশিল্পী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন আজম খান। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল মাহবুবুল হক খান। তিনি ষাটের দশকে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীতে যোগ দেন। ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময় পল্টন ময়দান থেকে সারা দেশে গণসংগীত পরিবেশন করেছেন এই সংগঠনের ব্যানারে। ফকির আলমগীর ও আজম খান—দুই বন্ধু মিলে লাল টুপি মাথায় দিয়ে মওলানা ভাসানীর কৃষক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাসের পর পাকাপাকিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনাকে বিদায় জানান তিনি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে কমলাপুরে পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে এলাকার সামনে ব্যারিকেড তৈরি করেছিলেন। এর পরে তিনি এক ভোরে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে সীমান্তের দিকে যাত্রা শুরু করেন। টানা দুই দিন হাঁটার পর আগরতলায় পৌঁছান। সেখানেই তাঁর সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় শাফী ইমাম রুমীর। খুব দ্রুত দুজনের মধ্যে গড়ে উঠেছিল বন্ধুত্ব। রুমীর হাতেই প্রশিক্ষণের হাতেখড়ি হয় তাঁর।
প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ২ নম্বর সেক্টরের একটি সেকশন ইনচার্জের। সেকশন কমান্ডার হয়ে এ সময় ঢাকা ও চারপাশের বেশ কয়েকটি দুর্ধর্ষ গেরিলা অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ অপারেশন ছিল ‘অপারেশন তিতাস’। এই অপারেশনে তিতাস গ্যাসের একটা পাইপলাইন বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিল তাঁদের দল। ৩০টির বেশি অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
দেশ স্বাধীনের পর তিনি ‘উচ্চারণ’ নামে একটি ব্যান্ড দল গড়ে তোলেন। তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘পাপড়ি’, ‘বাধা দিও না’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’, ‘অনামিকা’, ‘আমি যারে চাইরে’ ইত্যাদি।
কিংবদন্তি এই পপ গানের স্রষ্টার জন্ম আজিমপুরে ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি আজিমপুরে জন্মগ্রহণ করলেও বেড়ে ওঠেন কমলাপুরে।
পপসম্রাট, সংগীতশিল্পী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন আজম খান। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল মাহবুবুল হক খান। তিনি ষাটের দশকে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীতে যোগ দেন। ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময় পল্টন ময়দান থেকে সারা দেশে গণসংগীত পরিবেশন করেছেন এই সংগঠনের ব্যানারে। ফকির আলমগীর ও আজম খান—দুই বন্ধু মিলে লাল টুপি মাথায় দিয়ে মওলানা ভাসানীর কৃষক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাসের পর পাকাপাকিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনাকে বিদায় জানান তিনি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে কমলাপুরে পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে এলাকার সামনে ব্যারিকেড তৈরি করেছিলেন। এর পরে তিনি এক ভোরে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে সীমান্তের দিকে যাত্রা শুরু করেন। টানা দুই দিন হাঁটার পর আগরতলায় পৌঁছান। সেখানেই তাঁর সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় শাফী ইমাম রুমীর। খুব দ্রুত দুজনের মধ্যে গড়ে উঠেছিল বন্ধুত্ব। রুমীর হাতেই প্রশিক্ষণের হাতেখড়ি হয় তাঁর।
প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ২ নম্বর সেক্টরের একটি সেকশন ইনচার্জের। সেকশন কমান্ডার হয়ে এ সময় ঢাকা ও চারপাশের বেশ কয়েকটি দুর্ধর্ষ গেরিলা অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ অপারেশন ছিল ‘অপারেশন তিতাস’। এই অপারেশনে তিতাস গ্যাসের একটা পাইপলাইন বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিল তাঁদের দল। ৩০টির বেশি অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
দেশ স্বাধীনের পর তিনি ‘উচ্চারণ’ নামে একটি ব্যান্ড দল গড়ে তোলেন। তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘পাপড়ি’, ‘বাধা দিও না’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’, ‘অনামিকা’, ‘আমি যারে চাইরে’ ইত্যাদি।
কিংবদন্তি এই পপ গানের স্রষ্টার জন্ম আজিমপুরে ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি আজিমপুরে জন্মগ্রহণ করলেও বেড়ে ওঠেন কমলাপুরে।
১৯৫২ সাল। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ২৬ জানুয়ারি পল্টনের এক জনসভায় চার বছর আগে জিন্নাহর দেওয়া ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করলেন, ‘কেবল উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ ৩ ফেব্রুয়ারি আবারও তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে ‘জিন্নাহর নীতিতে বিশ্বাসী’ বলে দাবি করলেন।
১০ ঘণ্টা আগে... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
১ দিন আগে...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট..
৯ দিন আগেভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১৪ দিন আগে