প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের তালিকা করলেও সেখানে অনায়াসে জায়গা হয়ে যায় তাঁর। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন জর্জ ওয়াশিংটন।
ভার্জিনিয়ার ওয়েস্টমোরল্যান্ড কাউন্টিতে জন্ম ওয়াশিংটনের। অগাস্টিন ও ম্যারি বল ওয়াশিংটনের ছয় সন্তানের মধ্যে প্রথম তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শুরুতে অনুগত ব্রিটিশ সেনা ছিলেন। তবে একপর্যায়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের বিপ্লবে কন্টিনেন্টাল আর্মির নেতৃত্ব দেন। নতুন গঠিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্টও হন তিনি। তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন অনেকেই।
ওয়াশিংটন তাঁর অসাধারণ যোগ্যতার কারণে কম বয়সেই খ্যাতি অর্জন করেন। ১৭ বছর বয়সে শেনানডোয়াহ উপত্যকায় জরিপকারী হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৭৫২ সালে, বিশ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ফ্রেঞ্চ অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ওয়রে কর্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় উত্তপ্ত পরিবেশে মাথা ঠান্ডা রাখার এবং কঠোর শৃঙ্খলার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ফরাসিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের হয়ে সে যুদ্ধে তিনি দারুণভাবে গুলি এড়িয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। যে ঘোড়ার ওপর সওয়ার হয়েছিলেন সেটি গুলিবিদ্ধ হলেও রেহাই পান তিনি। এমনকি ফরাসিদের হাতে বন্দীও হয়েছিলেন।
যুদ্ধ শেষ হলে, ওয়াশিংটন সেনাবাহিনী ছেড়ে ভার্জিনিয়ায় চলে আসেন। উদ্দেশ্য বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মাউন্ট ভার্নন নামের বাগানটি পরিচালনা করা।
১৭৫৯ সালে মার্থা ড্যানড্রিজ কাস্টিস নামের এক ধনী বিধবাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির কোনো সন্তান না হলেও মার্থার প্রথম পক্ষের ছেলে ও মেয়েকে দত্তক নেন তিনি। তবে ভার্জিনিয়া থাকা অবস্থাতেই ধীরে ধীরে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। শিগগিরই কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে যোগ দেন।
১৭৭৫ সালে কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস সর্বসম্মতিক্রমে ওয়াশিংটনকে নতুন কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নেয়। সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে জোর দেন তিনি। পাশাপাশি একজন নেতার সহজাত গুণাবলি তাঁর মধ্যে ছিল।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাফল্যের বড় উপাদান ছিল গেরিলা যুদ্ধে তাঁর দক্ষতা। আক্রমণ করে পালিয়ে আসার বিষয়টি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে বিপদে ফেলে দেয়। ওয়াশিংটন প্রায় যতগুলি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন প্রায় ততগুলিতে হেরেছিলেন। তবে ট্রেন্টন, প্রিন্সটন এবং ইয়র্কটাউনে তার সাফল্যগুলি কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনী এবং নতুন একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল। যুদ্ধের সময় তিনি নেতৃত্ব দেওয়ায় যে দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তার কারণে, কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস ওয়াশিংটনকে ১৭৮৯ সালে প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে।
ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা আমেরিকান ইতিহাসের এ মহানায়ক অনেক ক্ষেত্রেই ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। ক্রিকেট ও ফক্স-হান্টিং বা শিয়াল শিকার পছন্দ করেন। তাঁর প্রিয় খাবারের মধ্যে ছিল আনারস, ব্রাজিল নাট প্রভৃতি।
উদ্যমী রাজনৈতিক নেতা ওয়াশিংটন একটি নতুন জাতিকে একতাবদ্ধ রাখতে বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি তাঁর প্রশাসনে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টদের জন্য অলিখিত একটি আচরণের নির্ধারণের বিষয়ে গভীরভাবে সচেতন ছিলেন। তবে দুই মেয়াদের পর বয়স হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি এবং দুষ্ট দলীয় রাজনীতিতে বিরক্ত ওয়াশিংটন ১৭৯৬ সালে অবসরে যান।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর মাউন্ট ভার্ননে ফিরে আসেন ওয়াশিংটন। এ সময় গ্রামীণ জীবনের প্রতি অনুরক্ত ওয়াশিংটন সাধারণ জীবন কাটাতে থাকেন এবং একটি সফল হুইস্কি কারখানা পরিচালনা করেন। ভার্জিনিয়া প্ল্যান্টার শ্রেণির একজন সদস্য ওয়াশিংটন ক্রীতদাসদের মালিকানা নিয়ে ক্রমেই বিব্রত হয়ে পড়ছিলেন। প্রকাশ্যে দাসপ্রথার ধীরে ধীরে বিলুপ্তি প্রচার করেছিলেন। তাঁর উইলে, তিনি মার্থার মৃত্যুর পর তাঁদের ক্রীতদাস শ্রমিকদের মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
১৭৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় মারা যান ওয়াশিংটন। তিনি বিনীতভাবে তাঁর উইলে নিজেকে চিহ্নিত করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট ভার্ননের একজন নাগরিক জর্জ ওয়াশিংটন হিসেবে।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম
প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টদের তালিকা করলেও সেখানে অনায়াসে জায়গা হয়ে যায় তাঁর। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন জর্জ ওয়াশিংটন।
ভার্জিনিয়ার ওয়েস্টমোরল্যান্ড কাউন্টিতে জন্ম ওয়াশিংটনের। অগাস্টিন ও ম্যারি বল ওয়াশিংটনের ছয় সন্তানের মধ্যে প্রথম তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শুরুতে অনুগত ব্রিটিশ সেনা ছিলেন। তবে একপর্যায়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের বিপ্লবে কন্টিনেন্টাল আর্মির নেতৃত্ব দেন। নতুন গঠিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্টও হন তিনি। তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন অনেকেই।
ওয়াশিংটন তাঁর অসাধারণ যোগ্যতার কারণে কম বয়সেই খ্যাতি অর্জন করেন। ১৭ বছর বয়সে শেনানডোয়াহ উপত্যকায় জরিপকারী হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৭৫২ সালে, বিশ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ফ্রেঞ্চ অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ওয়রে কর্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় উত্তপ্ত পরিবেশে মাথা ঠান্ডা রাখার এবং কঠোর শৃঙ্খলার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ফরাসিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের হয়ে সে যুদ্ধে তিনি দারুণভাবে গুলি এড়িয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। যে ঘোড়ার ওপর সওয়ার হয়েছিলেন সেটি গুলিবিদ্ধ হলেও রেহাই পান তিনি। এমনকি ফরাসিদের হাতে বন্দীও হয়েছিলেন।
যুদ্ধ শেষ হলে, ওয়াশিংটন সেনাবাহিনী ছেড়ে ভার্জিনিয়ায় চলে আসেন। উদ্দেশ্য বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মাউন্ট ভার্নন নামের বাগানটি পরিচালনা করা।
১৭৫৯ সালে মার্থা ড্যানড্রিজ কাস্টিস নামের এক ধনী বিধবাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির কোনো সন্তান না হলেও মার্থার প্রথম পক্ষের ছেলে ও মেয়েকে দত্তক নেন তিনি। তবে ভার্জিনিয়া থাকা অবস্থাতেই ধীরে ধীরে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। শিগগিরই কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে যোগ দেন।
১৭৭৫ সালে কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস সর্বসম্মতিক্রমে ওয়াশিংটনকে নতুন কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নেয়। সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে জোর দেন তিনি। পাশাপাশি একজন নেতার সহজাত গুণাবলি তাঁর মধ্যে ছিল।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাফল্যের বড় উপাদান ছিল গেরিলা যুদ্ধে তাঁর দক্ষতা। আক্রমণ করে পালিয়ে আসার বিষয়টি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে বিপদে ফেলে দেয়। ওয়াশিংটন প্রায় যতগুলি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন প্রায় ততগুলিতে হেরেছিলেন। তবে ট্রেন্টন, প্রিন্সটন এবং ইয়র্কটাউনে তার সাফল্যগুলি কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনী এবং নতুন একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল। যুদ্ধের সময় তিনি নেতৃত্ব দেওয়ায় যে দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তার কারণে, কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস ওয়াশিংটনকে ১৭৮৯ সালে প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে।
ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা আমেরিকান ইতিহাসের এ মহানায়ক অনেক ক্ষেত্রেই ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। ক্রিকেট ও ফক্স-হান্টিং বা শিয়াল শিকার পছন্দ করেন। তাঁর প্রিয় খাবারের মধ্যে ছিল আনারস, ব্রাজিল নাট প্রভৃতি।
উদ্যমী রাজনৈতিক নেতা ওয়াশিংটন একটি নতুন জাতিকে একতাবদ্ধ রাখতে বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি তাঁর প্রশাসনে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টদের জন্য অলিখিত একটি আচরণের নির্ধারণের বিষয়ে গভীরভাবে সচেতন ছিলেন। তবে দুই মেয়াদের পর বয়স হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি এবং দুষ্ট দলীয় রাজনীতিতে বিরক্ত ওয়াশিংটন ১৭৯৬ সালে অবসরে যান।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর মাউন্ট ভার্ননে ফিরে আসেন ওয়াশিংটন। এ সময় গ্রামীণ জীবনের প্রতি অনুরক্ত ওয়াশিংটন সাধারণ জীবন কাটাতে থাকেন এবং একটি সফল হুইস্কি কারখানা পরিচালনা করেন। ভার্জিনিয়া প্ল্যান্টার শ্রেণির একজন সদস্য ওয়াশিংটন ক্রীতদাসদের মালিকানা নিয়ে ক্রমেই বিব্রত হয়ে পড়ছিলেন। প্রকাশ্যে দাসপ্রথার ধীরে ধীরে বিলুপ্তি প্রচার করেছিলেন। তাঁর উইলে, তিনি মার্থার মৃত্যুর পর তাঁদের ক্রীতদাস শ্রমিকদের মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
১৭৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় মারা যান ওয়াশিংটন। তিনি বিনীতভাবে তাঁর উইলে নিজেকে চিহ্নিত করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট ভার্ননের একজন নাগরিক জর্জ ওয়াশিংটন হিসেবে।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
৮ ঘণ্টা আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
৪ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
৮ দিন আগেগাইবান্ধা জেলার মীরের বাগান একসময় ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামের এক দরবেশ এদিকটায় এসে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি মসজিদ ও তিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদটির দেয়ালে খোদাই করা লিপি থেকে জানা যায়, এটি হাজার বছর আগে ১০১১ সালে নির্মিত।
৯ দিন আগে