সম্পাদকীয়
শান্তিনিকেতনে গেলেন ডা. সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ সুচিত্রা সেনের ফোন। সুচিত্রা তাঁর বড় বোনের মতো। ‘ভাই সুশোভন, একটু কষ্ট দেব। মা খুব অসুস্থ, রক্তবমি হচ্ছে। তাঁকে কিছুদিন আগে বোলপুর প্যারামেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু সেখানে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে না বলে আমার মনে হয়। তাই মাকে এখান থেকে কলকাতায় নিয়ে যাব।’
সুশোভন জিজ্ঞেস করলেন, ‘মাসিমাকে রিলিজ করাতে তুমি হাসপাতালে যাবে?’
সুচিত্রা বললেন, ‘নাহ, আমি মাকে নিতে যাব না। মাকে হাসপাতাল থেকে বের করে শ্রীনিকেতনের কাছে নিয়ে আসো। আমি ওখানে গাড়ি নিয়ে থাকব।’
সুশোভন গেলেন রিলিজ করাতে। বোলপুর হাসপাতালের লোকজন বলতে থাকল, ‘সুচিত্রা সেন কোথায়?’ ‘উনি তো আসেননি। ফোন করে বলে দিয়েছেন।’ বলে সে যাত্রায় রক্ষা পেলেন সুশোভন। এরপর শ্রীনিকেতনের কাছে পৌঁছে দেখেন কালো কাচে ঢাকা গাড়িতে মাথায় সাদা স্কার্ফ দিয়ে বসে আছেন সুচিত্রা সেন।
কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই আবার রক্তবমি শুরু হলো ইন্দিরা দেবীর। এ অবস্থায় কলকাতা পর্যন্ত নেওয়া যাবে না। রক্ত দিতে হবে।। সুশোভন ঠিক করলেন বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করাবেন। এ ছাড়া উপায় ছিল না।
সুচিত্রা আর নিজের স্ত্রীকে হোটেলে রেখে সুশোভন ইন্দিরা দেবীকে নিয়ে গেলেন বর্ধমান হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররাও বলতে লাগলেন, ‘সুচিত্রা সেন কোথায়? মায়ের এই অবস্থায় তিনি নিশ্চয়ই কলকাতায় থাকতে পারেন না! ওকে নিয়ে আসুন। আমরা কথা দিচ্ছি, ওর মায়ের সব ভার গ্রহণ করব।’
অগত্যা! মাঘ মাসের কনকনে ঠান্ডা। এর মধ্যে সুশোভন হোটেলে ফিরে সুচিত্রাকে বললেন সে কথা। রাত দুটোর দিকে মাথায় ঘোমটা দিয়ে আঁচলের খুঁট মুখে দিয়ে এলেন হাসপাতালে। হাসপাতাল লোকে লোকারণ্য। কোথায় খবর পেয়েছে কে জানে! উপস্থিত মানুষেরা সমস্বরে বলতে থাকল, ‘কিছু ভাববেন না দিদি। আপনি আমাদের কাছে এসেছেন এই যথেষ্ট। আমরা সব দায়িত্ব নিলাম।’
সূত্র: ডা. সুশোভন সরকার, আনন্দলোক, ২৭ মার্চ, ২০১৪, পৃষ্ঠা ২৮-৩০
শান্তিনিকেতনে গেলেন ডা. সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ সুচিত্রা সেনের ফোন। সুচিত্রা তাঁর বড় বোনের মতো। ‘ভাই সুশোভন, একটু কষ্ট দেব। মা খুব অসুস্থ, রক্তবমি হচ্ছে। তাঁকে কিছুদিন আগে বোলপুর প্যারামেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু সেখানে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে না বলে আমার মনে হয়। তাই মাকে এখান থেকে কলকাতায় নিয়ে যাব।’
সুশোভন জিজ্ঞেস করলেন, ‘মাসিমাকে রিলিজ করাতে তুমি হাসপাতালে যাবে?’
সুচিত্রা বললেন, ‘নাহ, আমি মাকে নিতে যাব না। মাকে হাসপাতাল থেকে বের করে শ্রীনিকেতনের কাছে নিয়ে আসো। আমি ওখানে গাড়ি নিয়ে থাকব।’
সুশোভন গেলেন রিলিজ করাতে। বোলপুর হাসপাতালের লোকজন বলতে থাকল, ‘সুচিত্রা সেন কোথায়?’ ‘উনি তো আসেননি। ফোন করে বলে দিয়েছেন।’ বলে সে যাত্রায় রক্ষা পেলেন সুশোভন। এরপর শ্রীনিকেতনের কাছে পৌঁছে দেখেন কালো কাচে ঢাকা গাড়িতে মাথায় সাদা স্কার্ফ দিয়ে বসে আছেন সুচিত্রা সেন।
কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই আবার রক্তবমি শুরু হলো ইন্দিরা দেবীর। এ অবস্থায় কলকাতা পর্যন্ত নেওয়া যাবে না। রক্ত দিতে হবে।। সুশোভন ঠিক করলেন বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করাবেন। এ ছাড়া উপায় ছিল না।
সুচিত্রা আর নিজের স্ত্রীকে হোটেলে রেখে সুশোভন ইন্দিরা দেবীকে নিয়ে গেলেন বর্ধমান হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররাও বলতে লাগলেন, ‘সুচিত্রা সেন কোথায়? মায়ের এই অবস্থায় তিনি নিশ্চয়ই কলকাতায় থাকতে পারেন না! ওকে নিয়ে আসুন। আমরা কথা দিচ্ছি, ওর মায়ের সব ভার গ্রহণ করব।’
অগত্যা! মাঘ মাসের কনকনে ঠান্ডা। এর মধ্যে সুশোভন হোটেলে ফিরে সুচিত্রাকে বললেন সে কথা। রাত দুটোর দিকে মাথায় ঘোমটা দিয়ে আঁচলের খুঁট মুখে দিয়ে এলেন হাসপাতালে। হাসপাতাল লোকে লোকারণ্য। কোথায় খবর পেয়েছে কে জানে! উপস্থিত মানুষেরা সমস্বরে বলতে থাকল, ‘কিছু ভাববেন না দিদি। আপনি আমাদের কাছে এসেছেন এই যথেষ্ট। আমরা সব দায়িত্ব নিলাম।’
সূত্র: ডা. সুশোভন সরকার, আনন্দলোক, ২৭ মার্চ, ২০১৪, পৃষ্ঠা ২৮-৩০
১৯৫২ সাল। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ২৬ জানুয়ারি পল্টনের এক জনসভায় চার বছর আগে জিন্নাহর দেওয়া ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করলেন, ‘কেবল উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ ৩ ফেব্রুয়ারি আবারও তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে ‘জিন্নাহর নীতিতে বিশ্বাসী’ বলে দাবি করলেন।
২ ঘণ্টা আগে... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
১ দিন আগে...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট..
৮ দিন আগেভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১৪ দিন আগে