তুষার মিয়া
বছরের শেষ রাত। আকাশ আলোয় ভরে উঠবে, নতুন বছরের আবাহনে মেতে উঠবে মানুষ। তবে সেই উল্লাসের মাঝে আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, আমাদের কর্মকাণ্ডে এই পৃথিবীর অন্য বাসিন্দাদের ওপর কী ভয়াবহ প্রভাব পড়ে?
ধরে নিন, রাত ১২টা। রঙিন আতশবাজি আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে, পটকার বিকট শব্দ চারদিকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। এরই মাঝে আশপাশের কোনো পাখির হার্টবিট থেমে যাচ্ছে আতঙ্কে। গাছে বসে থাকা পাখি ভয় পেয়ে উড়ে গিয়ে দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাচ্ছে মাটিতে। দূরের কোনো শিশু চিৎকার করে উঠছে, আর বয়স্ক মানুষটি আতঙ্কে অসাড় হয়ে বসে আছেন।
এক রাতের আনন্দের জন্য এত এত জীবনকে কষ্ট দেওয়া, এমনকি কেড়ে নেওয়া—এ কি সত্যিই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে?
২০২১ সালের রোম শহরের ঘটনাটি আমরা অনেকে জানি। খ্রিষ্টীয় নববর্ষে আতশবাজির শব্দে হাজার হাজার পাখি মারা যায়। তাদের মৃত্যু হয়েছিল স্রেফ ভয় ও আতঙ্কের কারণে। আমাদের দেশেও আতশবাজি কিংবা পটকার শব্দে শিশুদের মৃত্যু বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
পটকা ও আতশবাজি শুধু প্রাণিকুলের জন্য নয়, আমাদের নিজেদের জন্যও ক্ষতিকর। এগুলোতে থাকা কার্বন, সালফার এবং অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক বায়ুদূষণ ঘটায়। এসব গ্যাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ঢুকে ক্যানসারসহ নানা মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।
ফানুস ওড়ানো নিয়েও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ফানুস থেকে লাগা আগুন শুধু সম্পদের ক্ষতি করে না, কখনো কখনো প্রাণহানিও ঘটায়। আমাদের শহুরে ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে একটি ছোট আগুন কত বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, তা আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো থেকেই বুঝতে পারি।
অনলাইনে এসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে দেখা গেলেও, তার নিচে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য বা ‘হা হা’রিঅ্যাক্ট’ দেখে মনে হয়, আমরা কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে উঠেছি। আমরা কি বুঝি না, প্রকৃতি রক্ষা মানে নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করা?
আসুন, আমরা ভেবে দেখি, এক রাতের আনন্দের জন্য যদি একটি প্রাণীরও মৃত্যু হয়, তবে সেই দায় কি আমাদের নিতে হচ্ছে না? বছরের শেষ রাতটি কি আনন্দের হবে, নাকি আমাদের মানবিকতাহীনতার পরিচয় দেবে?
এই বছর শেষে আমরা আনন্দের নামে অন্যের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকব। আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুসের বিকল্প অনেক নিরাপদ উপায়েই নববর্ষ উদ্যাপন করা যায়।
এই পৃথিবীতে কেবল আমরা মানুষ নই, অন্য প্রাণীরাও আমাদের মতো বাঁচার অধিকার নিয়ে এখানে আছে। আসুন, এই এক রাতের সংযমের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি ভালোবাসা ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করি।
বছরের শেষ দিনটায় নয় খুনি হওয়ার পরিচয়; বরং হই প্রকৃতি ও জীবনের বন্ধু।
বছরের শেষ রাত। আকাশ আলোয় ভরে উঠবে, নতুন বছরের আবাহনে মেতে উঠবে মানুষ। তবে সেই উল্লাসের মাঝে আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, আমাদের কর্মকাণ্ডে এই পৃথিবীর অন্য বাসিন্দাদের ওপর কী ভয়াবহ প্রভাব পড়ে?
ধরে নিন, রাত ১২টা। রঙিন আতশবাজি আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে, পটকার বিকট শব্দ চারদিকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। এরই মাঝে আশপাশের কোনো পাখির হার্টবিট থেমে যাচ্ছে আতঙ্কে। গাছে বসে থাকা পাখি ভয় পেয়ে উড়ে গিয়ে দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাচ্ছে মাটিতে। দূরের কোনো শিশু চিৎকার করে উঠছে, আর বয়স্ক মানুষটি আতঙ্কে অসাড় হয়ে বসে আছেন।
এক রাতের আনন্দের জন্য এত এত জীবনকে কষ্ট দেওয়া, এমনকি কেড়ে নেওয়া—এ কি সত্যিই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে?
২০২১ সালের রোম শহরের ঘটনাটি আমরা অনেকে জানি। খ্রিষ্টীয় নববর্ষে আতশবাজির শব্দে হাজার হাজার পাখি মারা যায়। তাদের মৃত্যু হয়েছিল স্রেফ ভয় ও আতঙ্কের কারণে। আমাদের দেশেও আতশবাজি কিংবা পটকার শব্দে শিশুদের মৃত্যু বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
পটকা ও আতশবাজি শুধু প্রাণিকুলের জন্য নয়, আমাদের নিজেদের জন্যও ক্ষতিকর। এগুলোতে থাকা কার্বন, সালফার এবং অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক বায়ুদূষণ ঘটায়। এসব গ্যাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ঢুকে ক্যানসারসহ নানা মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।
ফানুস ওড়ানো নিয়েও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ফানুস থেকে লাগা আগুন শুধু সম্পদের ক্ষতি করে না, কখনো কখনো প্রাণহানিও ঘটায়। আমাদের শহুরে ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে একটি ছোট আগুন কত বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, তা আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো থেকেই বুঝতে পারি।
অনলাইনে এসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে দেখা গেলেও, তার নিচে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য বা ‘হা হা’রিঅ্যাক্ট’ দেখে মনে হয়, আমরা কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে উঠেছি। আমরা কি বুঝি না, প্রকৃতি রক্ষা মানে নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করা?
আসুন, আমরা ভেবে দেখি, এক রাতের আনন্দের জন্য যদি একটি প্রাণীরও মৃত্যু হয়, তবে সেই দায় কি আমাদের নিতে হচ্ছে না? বছরের শেষ রাতটি কি আনন্দের হবে, নাকি আমাদের মানবিকতাহীনতার পরিচয় দেবে?
এই বছর শেষে আমরা আনন্দের নামে অন্যের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকব। আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুসের বিকল্প অনেক নিরাপদ উপায়েই নববর্ষ উদ্যাপন করা যায়।
এই পৃথিবীতে কেবল আমরা মানুষ নই, অন্য প্রাণীরাও আমাদের মতো বাঁচার অধিকার নিয়ে এখানে আছে। আসুন, এই এক রাতের সংযমের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি ভালোবাসা ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করি।
বছরের শেষ দিনটায় নয় খুনি হওয়ার পরিচয়; বরং হই প্রকৃতি ও জীবনের বন্ধু।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৬ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৭ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
৯ দিন আগে