সম্পাদকীয়
১৬০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনের ব্রিড স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত ইংরেজ কবি জন মিলটন। লন্ডনের সেইন্ট পল স্কুলে কাটে তাঁর শৈশবের ছাত্রজীবন। এখানে তিনি গ্রিক ও লাতিন ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। এরপর কেমব্রিজের অন্তর্ভুক্ত ক্রাইস্ট কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে স্নাতকে ভর্তি হন কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে। ২৪ জন স্নাতকের মধ্য থেকে তিনি হন চতুর্থ।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ইনস্ট্রাক্টরের চাকরির প্রস্তাব পেলেও মিলটন সেটা গ্রহণ না করে চার্চের পাদরি হওয়ার জন্য হন্টনে চলে যান পিতার কাছে। কিন্তু পাদরি না হয়ে তিনি বের হন দেশ ভ্রমণে।
রোমে গিয়ে ভ্যাটিকান লাইব্রেরিতে বসে চিরায়ত সাহিত্য পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন তিনি। এখানেই তাঁর সঙ্গে বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর দেখা হয়। প্রচলিত ধ্যান-ধারণার ঊর্ধ্বে উঠে যে সত্য বাণী প্রচার করেন এই বিজ্ঞানী, সেই প্রভাব পড়ে কবির জীবনেও। তিনি ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়ে রেনেসাঁর বোধে আবিষ্ট হন।
এ সময় ইংল্যান্ডে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে পিউরিটানদের সংগ্রাম শুরু হয়। মিলটন স্বদেশে ফিরে এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হলেন এবং সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করলেন। তাঁর শক্তিশালী লেখনী এ আন্দোলনে স্পৃহা জোগায়। একসময় রাজতন্ত্রের বিলোপ হলে তিনি নতুন প্রজাতন্ত্র সরকারের সেক্রেটারি পদ লাভ করেন। ওই সময় তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান।
১৬৬০ সালে আবার রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সেক্রেটারির পদ হারান। দ্বিতীয় চার্লস ক্ষমতা গ্রহণের পর মিলটনের সব রচনা আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তাঁকে শহর থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি লন্ডনের অদূরে এক গ্রামের ছোট্ট কুটিরে পরিবার নিয়ে বাস করতে থাকেন। এ সময় অন্ধ অবস্থাতেই মিলটন রচনা করেন দুই কালজয়ী মহাকাব্য—‘প্যারাডাইস লস্ট’ ও ‘প্যারাডাইস রিগেইন্ড’। তাঁর কথা হাতে লিখে দিতে সহায়তা করেন কন্যা ডেবোরাহ ও তৃতীয় স্ত্রী এলিজাবেথ। কবি তাঁর শেষ লেখাটি এলিজাবেথকে উৎসর্গ করেন।
কিডনির সমস্যায় ভুগেছেন জন মিলটন। ১৬৭৪ সালের ৮ নভেম্বর লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
১৬০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনের ব্রিড স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত ইংরেজ কবি জন মিলটন। লন্ডনের সেইন্ট পল স্কুলে কাটে তাঁর শৈশবের ছাত্রজীবন। এখানে তিনি গ্রিক ও লাতিন ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। এরপর কেমব্রিজের অন্তর্ভুক্ত ক্রাইস্ট কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে স্নাতকে ভর্তি হন কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে। ২৪ জন স্নাতকের মধ্য থেকে তিনি হন চতুর্থ।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ইনস্ট্রাক্টরের চাকরির প্রস্তাব পেলেও মিলটন সেটা গ্রহণ না করে চার্চের পাদরি হওয়ার জন্য হন্টনে চলে যান পিতার কাছে। কিন্তু পাদরি না হয়ে তিনি বের হন দেশ ভ্রমণে।
রোমে গিয়ে ভ্যাটিকান লাইব্রেরিতে বসে চিরায়ত সাহিত্য পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন তিনি। এখানেই তাঁর সঙ্গে বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর দেখা হয়। প্রচলিত ধ্যান-ধারণার ঊর্ধ্বে উঠে যে সত্য বাণী প্রচার করেন এই বিজ্ঞানী, সেই প্রভাব পড়ে কবির জীবনেও। তিনি ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়ে রেনেসাঁর বোধে আবিষ্ট হন।
এ সময় ইংল্যান্ডে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে পিউরিটানদের সংগ্রাম শুরু হয়। মিলটন স্বদেশে ফিরে এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হলেন এবং সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করলেন। তাঁর শক্তিশালী লেখনী এ আন্দোলনে স্পৃহা জোগায়। একসময় রাজতন্ত্রের বিলোপ হলে তিনি নতুন প্রজাতন্ত্র সরকারের সেক্রেটারি পদ লাভ করেন। ওই সময় তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান।
১৬৬০ সালে আবার রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সেক্রেটারির পদ হারান। দ্বিতীয় চার্লস ক্ষমতা গ্রহণের পর মিলটনের সব রচনা আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তাঁকে শহর থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি লন্ডনের অদূরে এক গ্রামের ছোট্ট কুটিরে পরিবার নিয়ে বাস করতে থাকেন। এ সময় অন্ধ অবস্থাতেই মিলটন রচনা করেন দুই কালজয়ী মহাকাব্য—‘প্যারাডাইস লস্ট’ ও ‘প্যারাডাইস রিগেইন্ড’। তাঁর কথা হাতে লিখে দিতে সহায়তা করেন কন্যা ডেবোরাহ ও তৃতীয় স্ত্রী এলিজাবেথ। কবি তাঁর শেষ লেখাটি এলিজাবেথকে উৎসর্গ করেন।
কিডনির সমস্যায় ভুগেছেন জন মিলটন। ১৬৭৪ সালের ৮ নভেম্বর লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
১ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
৬ দিন আগেগাইবান্ধা জেলার মীরের বাগান একসময় ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামের এক দরবেশ এদিকটায় এসে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি মসজিদ ও তিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদটির দেয়ালে খোদাই করা লিপি থেকে জানা যায়, এটি হাজার বছর আগে ১০১১ সালে নির্মিত।
৬ দিন আগেআমি মনে করি, পৃথিবীতে ‘সব প্রতিষ্ঠানের বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে লিঙ্গায়ন’। এটা নীরবেই অনেক আগেই বিশ্বায়িত...। অনেক আগে হাজার হাজার বছর আগে...বিশ্ব নিয়ে লোকে তখনো ভাবতেই শেখেনি। লিঙ্গ থেকে যা আলাদা হচ্ছে একমাত্র অভিজ্ঞতালব্ধ পার্থক্য, যা প্রত্যেকেই আঁচ করতে পারে আর তাই আপনারা জানতে পারবেন...
১০ দিন আগে