অনলাইন ডেস্ক
১৮৬৯ সালের ২৮ এপ্রিল— যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দিনটি স্মরণীয় হয়ে আছে এক অনন্য কীর্তির জন্য। ওই দিন সেন্ট্রাল প্যাসিফিক (সিপি) রেলওয়ের অধীনে কর্মরত প্রায় ৮০ জন চীনা ও আইরিশ শ্রমিক দলবদ্ধভাবে এক দিনেই ১০ মাইল ৫৬ ফুট রেলপথ বসিয়ে রেকর্ড করেছিলেন।
মূলত দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার অনানুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতাই ছিল এই রেকর্ডের চালিকা শক্তি। সে সময় ট্রান্সকন্টিনেন্টাল রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছিল। নির্মাণকাজ করছিল দুটি প্রতিষ্ঠান—ইউনিয়ন প্যাসিফিক (ইউপি) ও সেন্ট্রাল প্যাসিফিক (সিপি) রেলওয়ে। তারা একে অপরকে হারিয়ে উটাহর প্রমন্টরি সামিটে আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল।
প্রতিযোগিতার সূত্রপাত ১৮৬৮ সালে। ওই বছর ১৭ আগস্ট ইউনিয়ন প্যাসিফিকের কর্মীরা এক দিনে সাড়ে ৪ মাইল (৭ দশমিক ২ কিলোমিটার) রেলপথ বসিয়ে চমক সৃষ্টি করেন। এতে উৎসাহিত হয়ে সেন্ট্রাল প্যাসিফিকের প্রধান চার্লস ক্রোকার তাঁর নির্মাণ তত্ত্বাবধায়ক জেমস হার্ভে স্ট্রো ব্রিজকে নির্দেশ দেন রেকর্ডটি ভাঙতে। ১৯ আগস্ট সেন্ট্রাল প্যাসিফিক ৬ মাইলের (৯ দশমিক ৭ কিলোমিটার) কিছু বেশি রেলপথ বসিয়ে পাল্টা জবাব দেয়। এর জবাবে ২৬ অক্টোবর ইউনিয়ন প্যাসিফিক এক দিনে ৮ মাইল (১৩ কিলোমিটার) রেল বসানোর মাধ্যমে নতুন রেকর্ড গড়ে।
১৮৬৯ সালের শুরুতেও প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকে। ফেব্রুয়ারিতে ইউনিয়ন প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অলিভার এমস জুনিয়র কংগ্রেসের প্যাসিফিক রেলরোড কমিটির কাছে সাক্ষ্য দেন যে তাঁদের দল নির্ধারিত মিলনস্থল ওগডেন থেকে মাত্র ৩০ মাইল দূরে, যেখানে সেন্ট্রাল প্যাসিফিক তখনো ২০০ মাইল দূরে। মার্চে সেন্ট্রাল প্যাসিফিক নিয়মিতভাবে দৈনিক ৪ মাইল রেল বসাতে সক্ষম হয়, যা তাদের নতুন রেকর্ডের প্রস্তুতি নিতে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
২৭ এপ্রিল প্রথম রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করে সেন্ট্রাল প্যাসিফিক, কিন্তু একটি ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ায় সে দিন মাত্র ২ মাইল রেলপথ বসানো সম্ভব হয়। পরদিন ২৮ এপ্রিল ভোরে কাজ শুরু হয়। ঘোড়ার টানা রেল কার দিয়ে সরঞ্জাম পৌঁছানো হয় সামনের লাইনে। দক্ষ কর্মীরা দ্রুত রেল বসাতে থাকেন; একটি কারের ২৪০ ফুট (৭৩ মিটার) ট্র্যাক মাত্র ৭৫-৮০ সেকেন্ডে বসানো হয়। দুপুরের মধ্যে ৬ মাইল কাজ শেষ হয়ে যায়।
দুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন। সে দিন কর্মীরা প্রতিস্থাপন করেছেন ২৫ হাজার ৮০০টি রেল স্লিপার (কাঠের পাটাতন), ৩ হাজার ৫২০টি রেললাইন, ৫৫ হাজার স্পাইক ও ১৪ হাজার ৮০টি বল্ট। সব মিলিয়ে ওই দিন মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার কেজি উপকরণ বসিয়েছেন তাঁরা।
ইউপির ভাইস প্রেসিডেন্ট থমাস সি ডুরান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সেন্ট্রাল প্যাসিফিকের চার্লস ক্রোকারের সঙ্গে ১০ হাজার ডলার বাজি ধরেছিলেন। কিন্তু এই বাজির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর লেল্যান্ড স্ট্যানফোর্ড চিফ ট্র্যাক লেয়ারের দায়িত্বে থাকা হোরেস মিনক্লারের সঙ্গে ৫০০ ডলার বাজি ধরেছিলেন, যা তিনি পরে বেশ আনন্দের সঙ্গেই পরিশোধ করেছিলেন বলে জানা যায়। এই ঐতিহাসিক কৃতিত্বের স্থান এখন সংরক্ষিত রয়েছে উটাহ অঙ্গরাজ্যের গোল্ডেন স্পাইক ন্যাশনাল হিস্টরিক্যাল পার্কে।
১৮৬৯ সালের ২৮ এপ্রিল— যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দিনটি স্মরণীয় হয়ে আছে এক অনন্য কীর্তির জন্য। ওই দিন সেন্ট্রাল প্যাসিফিক (সিপি) রেলওয়ের অধীনে কর্মরত প্রায় ৮০ জন চীনা ও আইরিশ শ্রমিক দলবদ্ধভাবে এক দিনেই ১০ মাইল ৫৬ ফুট রেলপথ বসিয়ে রেকর্ড করেছিলেন।
মূলত দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার অনানুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতাই ছিল এই রেকর্ডের চালিকা শক্তি। সে সময় ট্রান্সকন্টিনেন্টাল রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছিল। নির্মাণকাজ করছিল দুটি প্রতিষ্ঠান—ইউনিয়ন প্যাসিফিক (ইউপি) ও সেন্ট্রাল প্যাসিফিক (সিপি) রেলওয়ে। তারা একে অপরকে হারিয়ে উটাহর প্রমন্টরি সামিটে আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল।
প্রতিযোগিতার সূত্রপাত ১৮৬৮ সালে। ওই বছর ১৭ আগস্ট ইউনিয়ন প্যাসিফিকের কর্মীরা এক দিনে সাড়ে ৪ মাইল (৭ দশমিক ২ কিলোমিটার) রেলপথ বসিয়ে চমক সৃষ্টি করেন। এতে উৎসাহিত হয়ে সেন্ট্রাল প্যাসিফিকের প্রধান চার্লস ক্রোকার তাঁর নির্মাণ তত্ত্বাবধায়ক জেমস হার্ভে স্ট্রো ব্রিজকে নির্দেশ দেন রেকর্ডটি ভাঙতে। ১৯ আগস্ট সেন্ট্রাল প্যাসিফিক ৬ মাইলের (৯ দশমিক ৭ কিলোমিটার) কিছু বেশি রেলপথ বসিয়ে পাল্টা জবাব দেয়। এর জবাবে ২৬ অক্টোবর ইউনিয়ন প্যাসিফিক এক দিনে ৮ মাইল (১৩ কিলোমিটার) রেল বসানোর মাধ্যমে নতুন রেকর্ড গড়ে।
১৮৬৯ সালের শুরুতেও প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকে। ফেব্রুয়ারিতে ইউনিয়ন প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অলিভার এমস জুনিয়র কংগ্রেসের প্যাসিফিক রেলরোড কমিটির কাছে সাক্ষ্য দেন যে তাঁদের দল নির্ধারিত মিলনস্থল ওগডেন থেকে মাত্র ৩০ মাইল দূরে, যেখানে সেন্ট্রাল প্যাসিফিক তখনো ২০০ মাইল দূরে। মার্চে সেন্ট্রাল প্যাসিফিক নিয়মিতভাবে দৈনিক ৪ মাইল রেল বসাতে সক্ষম হয়, যা তাদের নতুন রেকর্ডের প্রস্তুতি নিতে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
২৭ এপ্রিল প্রথম রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করে সেন্ট্রাল প্যাসিফিক, কিন্তু একটি ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ায় সে দিন মাত্র ২ মাইল রেলপথ বসানো সম্ভব হয়। পরদিন ২৮ এপ্রিল ভোরে কাজ শুরু হয়। ঘোড়ার টানা রেল কার দিয়ে সরঞ্জাম পৌঁছানো হয় সামনের লাইনে। দক্ষ কর্মীরা দ্রুত রেল বসাতে থাকেন; একটি কারের ২৪০ ফুট (৭৩ মিটার) ট্র্যাক মাত্র ৭৫-৮০ সেকেন্ডে বসানো হয়। দুপুরের মধ্যে ৬ মাইল কাজ শেষ হয়ে যায়।
দুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন। সে দিন কর্মীরা প্রতিস্থাপন করেছেন ২৫ হাজার ৮০০টি রেল স্লিপার (কাঠের পাটাতন), ৩ হাজার ৫২০টি রেললাইন, ৫৫ হাজার স্পাইক ও ১৪ হাজার ৮০টি বল্ট। সব মিলিয়ে ওই দিন মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার কেজি উপকরণ বসিয়েছেন তাঁরা।
ইউপির ভাইস প্রেসিডেন্ট থমাস সি ডুরান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সেন্ট্রাল প্যাসিফিকের চার্লস ক্রোকারের সঙ্গে ১০ হাজার ডলার বাজি ধরেছিলেন। কিন্তু এই বাজির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর লেল্যান্ড স্ট্যানফোর্ড চিফ ট্র্যাক লেয়ারের দায়িত্বে থাকা হোরেস মিনক্লারের সঙ্গে ৫০০ ডলার বাজি ধরেছিলেন, যা তিনি পরে বেশ আনন্দের সঙ্গেই পরিশোধ করেছিলেন বলে জানা যায়। এই ঐতিহাসিক কৃতিত্বের স্থান এখন সংরক্ষিত রয়েছে উটাহ অঙ্গরাজ্যের গোল্ডেন স্পাইক ন্যাশনাল হিস্টরিক্যাল পার্কে।
আজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
৫ ঘণ্টা আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
১ দিন আগেপ্রাচীনকালে মানুষের জ্ঞান, সংস্কৃতি ও অনুভূতির বিনিময়ের একমাত্র মাধ্যমই ছিল গল্প বলা। বর্ণ বা হরফ উদ্ভাবনের আগে মুখে মুখে গল্প বলার মধ্য দিয়ে যেভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ইতিহাস প্রবাহিত হয়েছিল, টেল অ্যা স্টোরি ডে সেটিকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
২ দিন আগে১৯০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেদিনই প্রথম পূর্ব বাংলায় কোনো ভাইসরয়ের আগমন ঘটে। ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেল জর্জ নাথানিয়েল কার্জন ঢাকায় এসে এক উৎসবমুখর পরিবেশে কার্জন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। লর্ড কার্জনের নামে একটি সাধারণ পাঠাগার নির্মাণ করার জন্য ভাওয়াল এস্টেটের রাজকুমাররা...
৪ দিন আগে