সম্পাদকীয়
আবুল হাসনাত নামে বেশি পরিচিত হলেও তাঁর প্রকৃত নাম ছিল মাহমুদ আল জামান। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি ছিলেন একজন দায়িত্বশীল ও সব্যসাচী সাহিত্য সম্পাদক।
আবুল হাসনাতের জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৭ জুলাই পুরান ঢাকায়। তাঁর বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকাতেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি বামপন্থী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গেও সক্রিয় ছিলেন।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রায় পুরোটা সময় পার্টির নির্দেশে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অবিচল লক্ষ্যে কলকাতায় থেকে কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে।
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি যোগ দেন দৈনিক সংবাদে সহসম্পাদক হিসেবে। পরবর্তীকালে ‘সংবাদ সাময়িকী’র সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দুই যুগেরও বেশি সময়। এ-সময়ে ‘সংবাদ সাময়িকী’ হয়ে ওঠে এ দেশের সাহিত্যের দর্পণ। অতঃপর সংবাদ ছেড়ে যোগ দেন ‘কালি ও কলম’ পত্রিকায়। তিনি চিত্রকলাবিষয়ক পত্রিকা ‘শিল্প ও শিল্পীর’ও সম্পাদক ছিলেন।
এ ছাড়া তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ‘গণসাহিত্য’ ও ‘প্রণোদনা’ সাহিত্য পত্রিকা। মৌলিক রচনা ও সম্পাদনাসহ তাঁর ৭০টিরও বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৪ সালে তিনি মনোনীত হন বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলো। এ দেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গেও ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক; যুক্ত ছিলেন ছায়ানটসহ বহু সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে।
সম্পাদক হিসেবে তিনি নৈর্ব্যক্তিক আর কবি হিসেবে ছিলেন একান্ত ব্যক্তিগত। ষাটের দশক থেকে কবিতা লিখলেও নিজের লেখা প্রথম কবিতার বই প্রকাশ করেন আশির দশকে।
কৈশোর-উত্তীর্ণ কাল থেকে তাঁর সামাজিক দায় ও অঙ্গীকার গড়ে উঠেছিল। এই দায়ই তাঁকে সর্বদা চালিত করেছে বহুমুখী সাহিত্য ও সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হতে এবং সেসব আন্দোলনকে সচল করার কাজে তৎপর হতে। এই দায় আমৃত্যু তিনি বহন করেছেন।
২০২০ সালের ১ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আবুল হাসনাত নামে বেশি পরিচিত হলেও তাঁর প্রকৃত নাম ছিল মাহমুদ আল জামান। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি ছিলেন একজন দায়িত্বশীল ও সব্যসাচী সাহিত্য সম্পাদক।
আবুল হাসনাতের জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৭ জুলাই পুরান ঢাকায়। তাঁর বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকাতেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি বামপন্থী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গেও সক্রিয় ছিলেন।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রায় পুরোটা সময় পার্টির নির্দেশে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অবিচল লক্ষ্যে কলকাতায় থেকে কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে।
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি যোগ দেন দৈনিক সংবাদে সহসম্পাদক হিসেবে। পরবর্তীকালে ‘সংবাদ সাময়িকী’র সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দুই যুগেরও বেশি সময়। এ-সময়ে ‘সংবাদ সাময়িকী’ হয়ে ওঠে এ দেশের সাহিত্যের দর্পণ। অতঃপর সংবাদ ছেড়ে যোগ দেন ‘কালি ও কলম’ পত্রিকায়। তিনি চিত্রকলাবিষয়ক পত্রিকা ‘শিল্প ও শিল্পীর’ও সম্পাদক ছিলেন।
এ ছাড়া তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ‘গণসাহিত্য’ ও ‘প্রণোদনা’ সাহিত্য পত্রিকা। মৌলিক রচনা ও সম্পাদনাসহ তাঁর ৭০টিরও বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৪ সালে তিনি মনোনীত হন বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলো। এ দেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গেও ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক; যুক্ত ছিলেন ছায়ানটসহ বহু সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে।
সম্পাদক হিসেবে তিনি নৈর্ব্যক্তিক আর কবি হিসেবে ছিলেন একান্ত ব্যক্তিগত। ষাটের দশক থেকে কবিতা লিখলেও নিজের লেখা প্রথম কবিতার বই প্রকাশ করেন আশির দশকে।
কৈশোর-উত্তীর্ণ কাল থেকে তাঁর সামাজিক দায় ও অঙ্গীকার গড়ে উঠেছিল। এই দায়ই তাঁকে সর্বদা চালিত করেছে বহুমুখী সাহিত্য ও সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হতে এবং সেসব আন্দোলনকে সচল করার কাজে তৎপর হতে। এই দায় আমৃত্যু তিনি বহন করেছেন।
২০২০ সালের ১ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
৪ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৮ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৯ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
১১ দিন আগে