সম্পাদকীয়
শব্দ ছিল ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, শব্দটি ছিল সৃষ্টি। কিন্তু মানব সংস্কৃতির শতাব্দীর পর শতাব্দী যেতে ধ্বনি অর্থে রূপ পায়, পার্থিব কিংবা ধর্মীয় সব অর্থে। শব্দ বিশ্বজুড়ে ধ্বনিত হয়, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে হাতে ধরা দেয়। কিন্তু আমার জন্য, আমার ধরনের জন্য একটি বিশেষ রূপান্তরও ঘটে।
যখন এটি প্রথম পাথরের আঁচড় কাটে অথবা প্যাপিরাসে আঁকিবুঁকি করা হয়, যখন এটা শব্দ থেকে চমৎকার দৃশ্যে বাস্তবায়িত হয়, চিহ্নের ধারাবাহিকতার রূপ নিয়ে শোনা থেকে পাঠযোগ্য হয় এবং একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি হয় ও পার্চমেন্টসদৃশ কাগজ থেকে গুটেনবার্গের যুগে পদার্পণ করে। লেখকের জন্য এটা সূচনা। এটাই সেই গল্প, যার মধ্যে তার সত্তা বাস করে।
আশ্চর্যজনকভাবে, এটি ছিল একটি যৌথ প্রক্রিয়া, একই সময়ে লেখক এবং মানব সংস্কৃতির এজেন্সির মধ্যে রূপান্তর হিসেবে লেখকের উদ্দেশ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া। আমাদের মতো লেখকেরা সেই কাজের জন্য বেড়ে ওঠেন। যেমনটা বর্জ্য-এর গল্পে কয়েদি পশুর সঙ্গে কারাবন্দী থাকে।
সমাজ থেকে আমরা যে পাঠ নিয়ে থাকি, সেগুলোকে শব্দের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করতেই জীবন কাটিয়ে দিই। এটা এই অর্থে যে, এই অমোচনীয়, অবর্ণনীয় অংশগ্রহণ, লেখা সব সময় সত্তা ও বিশ্বকে অনুসন্ধান করে ফেরে, ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী সত্তা।
সত্তা এখানেই। একমাত্র বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী হিসেবে মানুষ এই অসামান্য ক্ষমতার আশীর্বাদ বা অভিশাপের কারণে সব সময় জানতে চায়, কেন? মানুষ নিজেকে চিনতে, চেনার শুরুর সময় থেকেই জন্ম-মৃত্যু-ঋতু পরিক্রমা-পৃথিবী-বাতাস-সমুদ্র-তারা-সূর্য-চন্দ্র বিপর্যয় এসব সাধারণ প্রপঞ্চের ব্যাখ্যা খুঁজতে থাকে, জানতে চায়। মিথের সহায়তায় লেখকের পূর্বসূরিরা কাহিনিকারকেরা এই রহস্যগুলোকে স্পষ্ট করে প্রকাশ করার কাজে নামে পর্যবেক্ষণক্ষম বাস্তবতা এবং কল্পনাশক্তির মাধ্যমে অপ্রকাশিত বস্তুতে প্রক্ষেপণের ক্ষমতার মতো। এটা করে দৈনন্দিন জীবনের উপাদানগুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে গল্প তৈরি করার জন্য। রোলা বার্থ প্রশ্ন করেন, মিথের বৈশিষ্ট্য হলো কাহিনি, যা জানা আর অজানার মধ্যে মধ্যস্থতা করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাহিত্যিক নাডিন গর্ডিমার ১৯৯১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
শব্দ ছিল ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, শব্দটি ছিল সৃষ্টি। কিন্তু মানব সংস্কৃতির শতাব্দীর পর শতাব্দী যেতে ধ্বনি অর্থে রূপ পায়, পার্থিব কিংবা ধর্মীয় সব অর্থে। শব্দ বিশ্বজুড়ে ধ্বনিত হয়, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে হাতে ধরা দেয়। কিন্তু আমার জন্য, আমার ধরনের জন্য একটি বিশেষ রূপান্তরও ঘটে।
যখন এটি প্রথম পাথরের আঁচড় কাটে অথবা প্যাপিরাসে আঁকিবুঁকি করা হয়, যখন এটা শব্দ থেকে চমৎকার দৃশ্যে বাস্তবায়িত হয়, চিহ্নের ধারাবাহিকতার রূপ নিয়ে শোনা থেকে পাঠযোগ্য হয় এবং একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি হয় ও পার্চমেন্টসদৃশ কাগজ থেকে গুটেনবার্গের যুগে পদার্পণ করে। লেখকের জন্য এটা সূচনা। এটাই সেই গল্প, যার মধ্যে তার সত্তা বাস করে।
আশ্চর্যজনকভাবে, এটি ছিল একটি যৌথ প্রক্রিয়া, একই সময়ে লেখক এবং মানব সংস্কৃতির এজেন্সির মধ্যে রূপান্তর হিসেবে লেখকের উদ্দেশ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া। আমাদের মতো লেখকেরা সেই কাজের জন্য বেড়ে ওঠেন। যেমনটা বর্জ্য-এর গল্পে কয়েদি পশুর সঙ্গে কারাবন্দী থাকে।
সমাজ থেকে আমরা যে পাঠ নিয়ে থাকি, সেগুলোকে শব্দের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করতেই জীবন কাটিয়ে দিই। এটা এই অর্থে যে, এই অমোচনীয়, অবর্ণনীয় অংশগ্রহণ, লেখা সব সময় সত্তা ও বিশ্বকে অনুসন্ধান করে ফেরে, ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী সত্তা।
সত্তা এখানেই। একমাত্র বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী হিসেবে মানুষ এই অসামান্য ক্ষমতার আশীর্বাদ বা অভিশাপের কারণে সব সময় জানতে চায়, কেন? মানুষ নিজেকে চিনতে, চেনার শুরুর সময় থেকেই জন্ম-মৃত্যু-ঋতু পরিক্রমা-পৃথিবী-বাতাস-সমুদ্র-তারা-সূর্য-চন্দ্র বিপর্যয় এসব সাধারণ প্রপঞ্চের ব্যাখ্যা খুঁজতে থাকে, জানতে চায়। মিথের সহায়তায় লেখকের পূর্বসূরিরা কাহিনিকারকেরা এই রহস্যগুলোকে স্পষ্ট করে প্রকাশ করার কাজে নামে পর্যবেক্ষণক্ষম বাস্তবতা এবং কল্পনাশক্তির মাধ্যমে অপ্রকাশিত বস্তুতে প্রক্ষেপণের ক্ষমতার মতো। এটা করে দৈনন্দিন জীবনের উপাদানগুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে গল্প তৈরি করার জন্য। রোলা বার্থ প্রশ্ন করেন, মিথের বৈশিষ্ট্য হলো কাহিনি, যা জানা আর অজানার মধ্যে মধ্যস্থতা করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাহিত্যিক নাডিন গর্ডিমার ১৯৯১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
বাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
২ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৩ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৪ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৮ দিন আগে