আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রশ্ন: আমার বয়স ১৮ বছর, স্বামীর বয়স ৪৫। পারিবারিকভাবেই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল দেড় বছর আগে। আমার ননদ অন্য জেলায় থাকে। কিন্তু পারিবারিক সব ব্যাপারে নাক গলায়। নানা রকম মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছি দেড় বছর। আমার ভরণপোষণও ঠিকমতো করেনি তারা। আমি বাড়ির একটি রুম নিয়ে পারলার দিয়েছিলাম। মোটামুটি চলত। নিজের ও সংসারের খরচ মেটানোর চেষ্টা করতাম। কিন্তু তা নিয়েও অনেক কথা হতো। কয়েক মাস আগে বাবা অসুস্থ হওয়ায় বাবার বাড়ি যেতে চাইলে শ্বশুরবাড়ির কেউই যেতে দিতে চায়নি। আমি জোর করে গেলাম। এরপর আর ফেরত যাইনি। অকথ্য ভাষায় কথা বলত তারা আমার সঙ্গে। আমি পরকীয়া করি বলে অপবাদও দিয়েছে। সারা দিন কাজ করার পরও মন ভরত না।
ডিভোর্সের জন্য আইনিভাবে এগোতে চাই। স্বামী ও ননদ আমার বাবা-মাকেও খারাপ ভাষায় গালমন্দ করেছে ফোনে। আমি কি জিডি করতে পারি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বরিশাল
উওর: আপনার আর আপনার স্বামীর বয়সের পার্থক্য ২৭ বছর! যেহেতু পারিবারিকভাবে আপনাদের বিয়ে হয়েছিল, তাতে ধরে নিচ্ছি যে আপনারও এতে মত ছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যে আপনি আপনার স্বামী ও স্বামীর পরিবার থেকে নানা রকম মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তা খুবই দুঃখজনক। এ ছাড়া আপনাকে ভরণপোষণও দিচ্ছে না। এ কারণে আপনি আপনার স্বামীকে ডিভোর্স বা তালাক দেওয়ার অধিকার রাখেন। আপনাদের বিয়ে যদি মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী হয়ে থাকে, তাহলে আপনার নিকাহনামা রয়েছে। তার ১৮ নম্বর ক্লজ অনুযায়ী আপনাকে তালাক দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে আপনি আপনার নিকটস্থ কাজি অফিসে গিয়ে আপনার স্বামীকে তালাকের নোটিশ পাঠাতে পারেন। তিন মাস পর আপনার তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। আপনাদের বিয়ে যদি রেজিস্ট্রি করে হয়ে না থাকে, অর্থাৎ সামাজিক নিয়মে বিয়ে হয়েছে কিন্তু কোনো রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তাহলেও আপনি ডিভোর্স দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আদালতের আশ্রয় নিতে হবে।
ডিভোর্স যে প্রকারেই আপনি দিন না কেন, সেটা কার্যকর হবে। আপনি জানতে চেয়েছেন, আপনাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্য আপনি জিডি করতে পারেন কি না। অবশ্যই আপনি চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জিডি করতে পারেন বা ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে মামলাও করতে পারবেন।
প্রশ্ন: আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আমাদের বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর হলো। সুখে-দুঃখে আমাদের সংসার কেটে যাচ্ছে। সন্তান দত্তক নিতে চাচ্ছি। আমার জানার বিষয় হলো, সন্তান দত্তক নিলে তাকে সম্পত্তি দেওয়ার উপায় কী হবে?
মিতু ফারজানা, পটিয়া, চট্টগ্রাম
উওর: আমাদের দেশে এবং ইসলামি শরিয়াহ আইন অনুযায়ী, বিশেষ করে উত্তরাধিকার আইনে দত্তক শব্দের কোনো স্থান নেই। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি উত্তরাধিকার আইনে বণ্টনের সময় দত্তক সন্তান কোনো অংশ পাবে না। দত্তক সন্তানের সামাজিক ভিত্তি থাকলেও সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।
যেহেতু দত্তক নেওয়া সন্তান পিতা-মাতার উত্তরাধিকার হয় না, সে ক্ষেত্রে চাইলে দত্তক পিতা-মাতা, অর্থাৎ আপনাদের মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ দত্তক সন্তানের জন্য দান হিসেবে দিতে পারেন। সে জন্য পালক ব্যক্তিকে অর্থাৎ আপনাদের হয় জীবদ্দশায় হেবা করে সম্পত্তি দিতে হবে বা অসিয়ত করে যেতে হবে। যাতে পালকের বা আপনাদের মৃত্যুর পর সম্পত্তির অনধিক তিনের এক অংশ আপনার দত্তক সন্তান পেতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমার বয়স ১৮ বছর, স্বামীর বয়স ৪৫। পারিবারিকভাবেই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল দেড় বছর আগে। আমার ননদ অন্য জেলায় থাকে। কিন্তু পারিবারিক সব ব্যাপারে নাক গলায়। নানা রকম মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছি দেড় বছর। আমার ভরণপোষণও ঠিকমতো করেনি তারা। আমি বাড়ির একটি রুম নিয়ে পারলার দিয়েছিলাম। মোটামুটি চলত। নিজের ও সংসারের খরচ মেটানোর চেষ্টা করতাম। কিন্তু তা নিয়েও অনেক কথা হতো। কয়েক মাস আগে বাবা অসুস্থ হওয়ায় বাবার বাড়ি যেতে চাইলে শ্বশুরবাড়ির কেউই যেতে দিতে চায়নি। আমি জোর করে গেলাম। এরপর আর ফেরত যাইনি। অকথ্য ভাষায় কথা বলত তারা আমার সঙ্গে। আমি পরকীয়া করি বলে অপবাদও দিয়েছে। সারা দিন কাজ করার পরও মন ভরত না।
ডিভোর্সের জন্য আইনিভাবে এগোতে চাই। স্বামী ও ননদ আমার বাবা-মাকেও খারাপ ভাষায় গালমন্দ করেছে ফোনে। আমি কি জিডি করতে পারি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বরিশাল
উওর: আপনার আর আপনার স্বামীর বয়সের পার্থক্য ২৭ বছর! যেহেতু পারিবারিকভাবে আপনাদের বিয়ে হয়েছিল, তাতে ধরে নিচ্ছি যে আপনারও এতে মত ছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যে আপনি আপনার স্বামী ও স্বামীর পরিবার থেকে নানা রকম মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তা খুবই দুঃখজনক। এ ছাড়া আপনাকে ভরণপোষণও দিচ্ছে না। এ কারণে আপনি আপনার স্বামীকে ডিভোর্স বা তালাক দেওয়ার অধিকার রাখেন। আপনাদের বিয়ে যদি মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী হয়ে থাকে, তাহলে আপনার নিকাহনামা রয়েছে। তার ১৮ নম্বর ক্লজ অনুযায়ী আপনাকে তালাক দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে আপনি আপনার নিকটস্থ কাজি অফিসে গিয়ে আপনার স্বামীকে তালাকের নোটিশ পাঠাতে পারেন। তিন মাস পর আপনার তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। আপনাদের বিয়ে যদি রেজিস্ট্রি করে হয়ে না থাকে, অর্থাৎ সামাজিক নিয়মে বিয়ে হয়েছে কিন্তু কোনো রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তাহলেও আপনি ডিভোর্স দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আদালতের আশ্রয় নিতে হবে।
ডিভোর্স যে প্রকারেই আপনি দিন না কেন, সেটা কার্যকর হবে। আপনি জানতে চেয়েছেন, আপনাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্য আপনি জিডি করতে পারেন কি না। অবশ্যই আপনি চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জিডি করতে পারেন বা ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে মামলাও করতে পারবেন।
প্রশ্ন: আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আমাদের বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর হলো। সুখে-দুঃখে আমাদের সংসার কেটে যাচ্ছে। সন্তান দত্তক নিতে চাচ্ছি। আমার জানার বিষয় হলো, সন্তান দত্তক নিলে তাকে সম্পত্তি দেওয়ার উপায় কী হবে?
মিতু ফারজানা, পটিয়া, চট্টগ্রাম
উওর: আমাদের দেশে এবং ইসলামি শরিয়াহ আইন অনুযায়ী, বিশেষ করে উত্তরাধিকার আইনে দত্তক শব্দের কোনো স্থান নেই। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি উত্তরাধিকার আইনে বণ্টনের সময় দত্তক সন্তান কোনো অংশ পাবে না। দত্তক সন্তানের সামাজিক ভিত্তি থাকলেও সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।
যেহেতু দত্তক নেওয়া সন্তান পিতা-মাতার উত্তরাধিকার হয় না, সে ক্ষেত্রে চাইলে দত্তক পিতা-মাতা, অর্থাৎ আপনাদের মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ দত্তক সন্তানের জন্য দান হিসেবে দিতে পারেন। সে জন্য পালক ব্যক্তিকে অর্থাৎ আপনাদের হয় জীবদ্দশায় হেবা করে সম্পত্তি দিতে হবে বা অসিয়ত করে যেতে হবে। যাতে পালকের বা আপনাদের মৃত্যুর পর সম্পত্তির অনধিক তিনের এক অংশ আপনার দত্তক সন্তান পেতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। নতুন বাজেটে ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
২ দিন আগেবাড়ি তাঁর খুলনায়। সুন্দরবন, নদীনালা, গাছপালা মিলিয়ে এক অনিন্দ্যসুন্দর জনপদ। সুন্দরবন মানে শুধু বাঘ, মৌয়াল আর মাছ নয়; সেখানে আছে বনবিবির বিশ্বাস, আছে স্থানীয় উপকরণে তৈরি স্থানীয় শিল্প। সবাই সেগুলোর তেমন কদর না করলেও কেউ কেউ তো কদর করেনই। তেমনই একজন ফৌজিয়া ডেইজী।
২ দিন আগেপলিথিন ও প্লাস্টিক একই জিনিস নয়। তবে পলিথিন মূলত একধরনের প্লাস্টিক। বিশ্বজুড়ে সেই প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে চলছে আন্দোলন। আগামীকাল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। হ্যাশট্যাগ বিট প্লাস্টিক পলিউশন স্লোগান দিয়ে এবার প্লাস্টিকদূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে।
২ দিন আগেআমার স্বামী দেশের বাইরে গেছে পড়াশোনার জন্য। আমাদের দুই বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। রান্নাবান্না, শ্বশুর-শাশুড়ি ও নিজের যত্ন, সন্তানের যত্ন নেওয়া আমার কাজ। বাকি কাজের জন্য লোক আছে। কিন্তু সন্তান সামাল দিতেই আমি নাজেহাল। সন্তানের অতিরিক্ত কান্না সহ্য করতে না পেরে মারধর করি।
২ দিন আগে