Ajker Patrika

ভালো কাজের অলরাউন্ডার জান্নাতুল

নিজ অর্থায়নে দেশের ৬৮টি পাঠাগারে বই পাঠিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবে এবং একাধিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষের সহায়তায় কাজ করছেন। তিনি হলেন জান্নাতুল ফেরদৌস। ঢাকার হাবীবুল্লাহ্‌ বাহার কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী। বাবা, মা আর ছোট ভাইকে নিয়ে জান্নাতুলের পরিবার। বসবাস করেন ঢাকার মগবাজার এলাকায়। লিখেছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

শফিকুর রহমান
ব্যক্তিগতভাবে এবং একাধিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষের সহায়তায় কাজ করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস। ছবি: সংগৃহীত
ব্যক্তিগতভাবে এবং একাধিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষের সহায়তায় কাজ করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস। ছবি: সংগৃহীত

বইয়ের সঙ্গে সখ্য

বাবা-মা দুজনেই প্রচুর বই পড়তেন। বাড়িতে ছিল প্রায় পাঁচ হাজার বইয়ের এক বিশাল সংগ্রহশালা। তাই ছেলেবেলা থেকে বাড়িতে বই দেখতে দেখতেই বড় হয়ে উঠেছেন জান্নাতুল। স্কুলজীবনে ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির একজন নিয়মিত সদস্য। জান্নাতুলের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে এভাবেই জড়িয়ে গেছে বই।

বিতরণ শুরু

শুরুটা হয়েছিল করোনার সময়। আটকে পড়া মানুষকে কিছুটা আনন্দ দিতে তিনি সংগ্রহ করে বই বিতরণ শুরু করেছিলেন। সে সময় জান্নাতুল স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পাঠাগার বা সংগঠকদের সঙ্গে পরিচয় না থাকায় তিনি বই উপহার দেওয়ার পোস্ট দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। তাতে পড়েছিল ব্যাপক সাড়া। অল্প সময়ের মধ্যে চমৎকার একটি নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে তাঁর। তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৫০টি পাঠাগারে পাঁচটি থেকে ৫০টি করে বই পাঠিয়েছেন উপহার হিসেবে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৬৮টি পাঠাগারে বিনা মূল্যে বই পাঠিয়েছেন জান্নাতুল। নিজে কোনো পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেননি তিনি। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জেলায় বিনা মূল্যে বই উপহার দিতে গিয়ে গত চার বছরে শতাধিক পাঠাগারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তাঁর।

দুর্দিন ম্যাগাজিন বুকশপ

বই নিয়ে কাজ করতে করতে এক বন্ধুর সঙ্গে মাত্র দুই হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে জান্নাতুল শুরু করেন অনলাইন বুকশপ দুর্দিন ম্যাগাজিন। এটি একটি অনলাইনভিত্তিক বই ক্রয়-বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্ম।

এবং পরিবার

জান্নাতুল বলেন, ‘সাংগঠনিক তথা স্বেচ্ছাসেবী জীবনে আমার পরিবার, বিশেষ করে আমার মায়ের গুরুত্ব আলাদা করে না বললেই নয়। সব অবস্থায় তিনি পাশে থেকেছেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলেই এত কাজ নির্দ্বিধায় করা সম্ভব হয়েছে। আমার বাবাও ভীষণ সাহায্য করেছেন।’

আনন্দ-বেদনার কাব্য

ছেলেটির নাম ছিল স্বাধীন, বয়স মাত্র ১২ বছর। তাকে পড়াতেন জান্নাতুল। কিছুদিন পর জানতে পারেন, সে ক্যানসারে আক্রান্ত। ছেলেটির জন্য রক্তদাতা খুঁজে দিতেন তিনি। তবে একপর্যায়ে মারা যায় স্বাধীন। এ ঘটনা জান্নাতুলকে ব্যথাতুর করেছিল।

আগামীর ভাবনা

একজন প্রাণিবিদ ও গবেষক হিসেবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বৃহত্তর পরিসরে কাজ করতে চান জান্নাতুল। পাশাপাশি একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে মানুষের সেবা করে যেতে চান আমৃত্যু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

চীনা পণ্যে শুল্ক ‘উল্লেখযোগ্য’ পরিমাণে কমিয়ে সুখে বসবাসের ঘোষণা ট্রাম্পের

২৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪১৪ কোটি টাকার অনিয়ম

কাশ্মীরে হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ না হলে মানবজাতির সামনে ‘চরম অন্ধকার’, ভ্যান্সের হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত