আবুল বাশার মিরাজ
রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা। এখানে প্রধান সড়কের পাশে একটি দালানের দ্বিতীয় তলার ছাদের দিকে চোখ গেলে একটু ঘোর লাগে সবার। গাছপালায় ঘেরা, সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল এই ছাদে আছে একটি ক্যাফে। এর নাম ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনস। এটিকে শুধু খাবারের জায়গা ভাবলে ভুল হবে; বরং একে বলা চলে নতুন ধারার প্রতিচিত্র। রেস্টুরেন্টটির ছাদে বসানো হয়েছে সোলার সিস্টেম। এর নবায়নযোগ্য শক্তি কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব ব্যবসায়িক মডেলের এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস।
বাংলাদেশে যেখানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ গ্যাস ও বিদ্যুৎনির্ভর, সেখানে জান্নাতুল ফেরদৌস বেছে নিয়েছেন সৌরশক্তি। তাঁর ক্যাফের রান্নাঘর, আলোকসজ্জা, এমনকি কফি মেশিন পর্যন্ত চলে সৌরবিদ্যুতে। এতে যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়, তেমনি কার্বন নিঃসরণও কমানো সম্ভব। শুধু সোলার সিস্টেমই নয়, ক্যাফের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জাতেও রাখা হয়েছে প্রাকৃতিক উপকরণের ছোঁয়া। প্লাস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় কাগজের সামগ্রী, খাবার পরিবেশনের জন্য নেওয়া হয়েছে পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং উপকরণ। এসব উদ্যোগ ক্যাফেটিকে শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, বরং সচেতন নাগরিকদের জন্য এক অনুপ্রেরণার জায়গায় পরিণত করেছে।
ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনসের লভ্যাংশের একটি অংশ জান্নাতুল ফেরদৌস বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে ব্যয় করেন। তিনি জানান, এই উদ্যোগের পেছনে তাঁর অনুপ্রেরণা ছিলেন লন্ডনপ্রবাসী বড় ভাই মঞ্জুর মিয়া। বিদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার দেখে তিনিই তাঁকে এ বিষয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেন। এরপর নানান পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাস্তবে রূপ নেয় ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনস।
বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিউপি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে স্নাতক করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস। তাঁর লক্ষ্য, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলো টেকসইভাবে পরিচালনা করে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করে তোলা। জান্নাতুল ফেরদৌস ৯ বছর ধরে দেশি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন ব্যবসার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে তিনি যুক্ত আছেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস চান, নারীরা আরও বেশি উদ্যোক্তা হয়ে উঠুক, নিজেদের পায়ে দাঁড়াক।
শুধু ব্যবসায়িক সাফল্যই জান্নাতুল ফেরদৌসের লক্ষ্য নয়; তিনি চান, নারীরা আরও বেশি উদ্যোক্তা হয়ে উঠুক, নিজেদের পায়ে দাঁড়াক। ভবিষ্যতে তিনি একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন, যেখানে নারীরা পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ ও ব্যবসা সম্পর্কে শিখতে পারবেন। জান্নাতুল বিশ্বাস করেন, সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিকভাবে সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। পরিবেশ রক্ষার জন্য শুধু বৃক্ষরোপণ নয়; বরং টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, প্লাস্টিক বর্জন এবং সচেতন জীবনধারার চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা। এখানে প্রধান সড়কের পাশে একটি দালানের দ্বিতীয় তলার ছাদের দিকে চোখ গেলে একটু ঘোর লাগে সবার। গাছপালায় ঘেরা, সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল এই ছাদে আছে একটি ক্যাফে। এর নাম ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনস। এটিকে শুধু খাবারের জায়গা ভাবলে ভুল হবে; বরং একে বলা চলে নতুন ধারার প্রতিচিত্র। রেস্টুরেন্টটির ছাদে বসানো হয়েছে সোলার সিস্টেম। এর নবায়নযোগ্য শক্তি কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব ব্যবসায়িক মডেলের এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস।
বাংলাদেশে যেখানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ গ্যাস ও বিদ্যুৎনির্ভর, সেখানে জান্নাতুল ফেরদৌস বেছে নিয়েছেন সৌরশক্তি। তাঁর ক্যাফের রান্নাঘর, আলোকসজ্জা, এমনকি কফি মেশিন পর্যন্ত চলে সৌরবিদ্যুতে। এতে যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়, তেমনি কার্বন নিঃসরণও কমানো সম্ভব। শুধু সোলার সিস্টেমই নয়, ক্যাফের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জাতেও রাখা হয়েছে প্রাকৃতিক উপকরণের ছোঁয়া। প্লাস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় কাগজের সামগ্রী, খাবার পরিবেশনের জন্য নেওয়া হয়েছে পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং উপকরণ। এসব উদ্যোগ ক্যাফেটিকে শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, বরং সচেতন নাগরিকদের জন্য এক অনুপ্রেরণার জায়গায় পরিণত করেছে।
ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনসের লভ্যাংশের একটি অংশ জান্নাতুল ফেরদৌস বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে ব্যয় করেন। তিনি জানান, এই উদ্যোগের পেছনে তাঁর অনুপ্রেরণা ছিলেন লন্ডনপ্রবাসী বড় ভাই মঞ্জুর মিয়া। বিদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার দেখে তিনিই তাঁকে এ বিষয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেন। এরপর নানান পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাস্তবে রূপ নেয় ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনস।
বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিউপি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে স্নাতক করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস। তাঁর লক্ষ্য, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলো টেকসইভাবে পরিচালনা করে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করে তোলা। জান্নাতুল ফেরদৌস ৯ বছর ধরে দেশি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন ব্যবসার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে তিনি যুক্ত আছেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস চান, নারীরা আরও বেশি উদ্যোক্তা হয়ে উঠুক, নিজেদের পায়ে দাঁড়াক।
শুধু ব্যবসায়িক সাফল্যই জান্নাতুল ফেরদৌসের লক্ষ্য নয়; তিনি চান, নারীরা আরও বেশি উদ্যোক্তা হয়ে উঠুক, নিজেদের পায়ে দাঁড়াক। ভবিষ্যতে তিনি একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন, যেখানে নারীরা পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ ও ব্যবসা সম্পর্কে শিখতে পারবেন। জান্নাতুল বিশ্বাস করেন, সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিকভাবে সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। পরিবেশ রক্ষার জন্য শুধু বৃক্ষরোপণ নয়; বরং টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, প্লাস্টিক বর্জন এবং সচেতন জীবনধারার চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তখনো স্নাতক শেষ হয়নি তাঁর। ইচ্ছা হলো, ব্যবসায়ী বাবার প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন। গেলেন বাবার সঙ্গে কথা বলতে। বাবা বললেন, আগে অন্য কোথাও কাজ শিখে এসো। এরপর তিনি নামলেন চাকরির খোঁজে। সে যাত্রা শুরু ১৯৯৬ সালে। ওই বছরই কাজ পান একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে।
১ দিন আগেস্কুল, কলেজ ও নারীদের উন্নয়নে উদার হাতে অর্থ দান করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন এক নারী। তাঁর নাম মেরি গ্যারেট। তিনি ১৮৯৩ সালে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলকে একটি শর্ত দিয়ে অর্থ দান করেছিলেন। মেরি গ্যারেটের শর্ত ছিল, এই প্রতিষ্ঠানকে নারী...
১ দিন আগেমৃত্যুদণ্ড দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায়, এমন প্রমাণাদি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিঙ্গভিত্তিক...
৭ দিন আগেশিশুদের সাইকোলজি আগে বুঝতে হবে—যতটা সরলীকরণ করা যায়। পরের পাতায় কী আছে, এ রকম একটা কৌতূহল রাখি। রংটা খুব উজ্জ্বল থাকে। সামাজিক সচেতনতা বাড়ায়, চিন্তার বিকাশ ঘটায়—এমন কাজ করি। চরিত্রদের এক্সপ্রেশনে ব্যাপক ফান থাকতে হবে।
৮ দিন আগে