ইশতিয়াক হাসান
হঠাৎ শব্দটা শুনে ভাবতে পারেন কোনো মানুষ হাসছে। কিন্তু চারপাশে অনেক খুঁজেও দেখলেন কোনো জনমানবের চিহ্ন নেই। কিন্তু একটি মোরগ বা মুরগি আছে। তখন আপনাকে ধরে নিতে হবে হাসিটা এসেছে প্রাণীর গলা থেকেই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় গেলে এধরনের মোরগ-মুরগির দেখা পেয়ে যেতে পারেন আপনি।
আইয়াম কেতাওয়া নামের মুরগির এই ব্রিডটির উৎপত্তি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে। এই এলাকার অভিজাত বুগিনিস গোত্রের মানুষের আভিজাত্যের প্রতীক বলতে পারেন একে। তাঁদের কাছে এটি সাহস, সামাজিক পদমর্যাদা ও বীরত্বের প্রতীক। এবার বরং মুরগিটির আশ্চর্য সেই বিশেষত্বটি নিয়ে একটু আলাপ হোক।
ইন্দোনেশিয়ান শব্দ আইয়াম কেতাওয়ার অর্থ ‘লাফিং চিকেন’। আশ্চর্যজনক হলেও খুশি মনে যখন ডেকে ওঠে মুরগিটি, তখন মনে হবে একজন মানুষ অট্টহাসি দিচ্ছে। আর আশ্চর্য এই বৈশিষ্ট্যের কারণে পোষা পাখি হিসেবে শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, গোটা পৃথিবীতেই একে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
আরও অনেক পোষা পাখির ব্রিডের মতো আইয়াম কেতাওয়া ব্রিডটির উৎপত্তি কীভাবে সে সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, পাখি যাঁরা ব্রিড করেন তাঁরা বিভিন্ন ধরনের মুরগির সংকর তৈরি করতে করতে একপর্যায়ে চমৎকার চেহারার, মানুষকে আনন্দ দেয় এমন একটি পাখি তৈরি করতে সক্ষম হন। ধারণা করা হয়, আনুমানিক ৩৫০ বছর বয়স এই জাতটির।
মূলত আশ্চর্য এই হাসির জন্যই ব্রিডার ও সাধারণ মানুষের কাছে পোষা প্রাণী হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই জাতের মুরগি। ইন্দোনেশিয়ায় এমনকি উৎসাহী ব্যক্তিরা এদের নিয়ে বড় ধরনের প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেন। সেখানে এমন বিভিন্ন ধরনের ক্লাবও গড়ে উঠেছে যারা এই মুরগি নিয়ে মেলা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এসব প্রতিযোগিতায় কোন পাখির ডাক সবচেয়ে পরিষ্কার সেটা এবং মানুষের সঙ্গে কোনটার হাসির সবচেয়ে বেশি মিল আছে সেটা নির্ণয় করে পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে কথা হলো, যাঁরাই এদের কেনেন, তাদের বেশিরভাগের উদ্দেশ্য বিনোদন। কারণ, এদের হাসি দিয়ে যে আপনার মুখে একটা হাসি ফুটিয়ে তুলবে এরা তাতে সন্দেহ নেই।
অবশ্য এদের মাংসের জন্যও পালেন কেউ কেউ। ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী রেসিপি সতো আয়াম তৈরিতে এটির ব্যবহার চোখে পড়ে। তেমনি স্যুপও বানানো হয় এর মাংস দিয়ে। এ ছাড়া মোরগ লড়াইয়ে ব্যবহার করা হয় একে। তেমনি বিভিন্ন চিড়িয়াখানায়ও রাখা হয় এদের।
এই পাখিগুলো দেখতে কেমন? এদের রং সাদা থেকে কালো, লাল এমনকি ধূসরও হতে পারে। কারও পালকে বিভিন্ন রঙের বাহার দেখা যেতে পারে। সপ্তাহে ছোট থেকে মাঝারি আকারের ডিম পাড়ে। পুরুষ ও স্ত্রী দুই ধরনের মুরগিই অন্য ব্রিডগুলোর তুলনায় আকারে ছোট। মোরগের ওজন দুই কেজি, মুরগির দেড় কেজি।
এমনিতে মানুষের সঙ্গে বেশ বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ করে। তবে একসঙ্গে রাখা হলে একটি পুরুষ পাখি অন্য পাখির প্রতি আক্রমণাত্মক হতে পারে। মোটের ওপর বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ ও খেলাধুলা করার অভ্যাসের জন্য পোষা প্রাণী হিসেবে এদের জুড়ি মেলা ভার।
মজার ঘটনা, দুই ধরনের ‘হাস্যরত মুরগি’র দেখা মেলে। ডনগাট নামে পরিচিত এই মুরগিদের দ্রুতগতির, অনেকটা মেশিনগানের শব্দের মতো টানা হবে এদের হাসির আওয়াজ। এদের অট্টহাসিটা অনেক ধীরগতির, এভাবে বিরতি দিয়ে একবারে চার থেকে ১২ বার ডাকে এরা। স্বাভাবিকভাবেই দুর্লভ হওয়ায় এবং আশ্চর্য বৈশিষ্ট্যের জন্য মুরগির অন্য জাতগুলো থেকে আইয়াম কেতাওয়ার দাম অনেক বেশি। এদের মধ্যে আবার ডনগাটের বাজার চড়া। এগুলোর কোনো কোনোটি এমনকি ১০-১২ হাজার ডলারেও বিক্রি হয়।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, অ্যাগ্রায়ো ডট কম
হঠাৎ শব্দটা শুনে ভাবতে পারেন কোনো মানুষ হাসছে। কিন্তু চারপাশে অনেক খুঁজেও দেখলেন কোনো জনমানবের চিহ্ন নেই। কিন্তু একটি মোরগ বা মুরগি আছে। তখন আপনাকে ধরে নিতে হবে হাসিটা এসেছে প্রাণীর গলা থেকেই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় গেলে এধরনের মোরগ-মুরগির দেখা পেয়ে যেতে পারেন আপনি।
আইয়াম কেতাওয়া নামের মুরগির এই ব্রিডটির উৎপত্তি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে। এই এলাকার অভিজাত বুগিনিস গোত্রের মানুষের আভিজাত্যের প্রতীক বলতে পারেন একে। তাঁদের কাছে এটি সাহস, সামাজিক পদমর্যাদা ও বীরত্বের প্রতীক। এবার বরং মুরগিটির আশ্চর্য সেই বিশেষত্বটি নিয়ে একটু আলাপ হোক।
ইন্দোনেশিয়ান শব্দ আইয়াম কেতাওয়ার অর্থ ‘লাফিং চিকেন’। আশ্চর্যজনক হলেও খুশি মনে যখন ডেকে ওঠে মুরগিটি, তখন মনে হবে একজন মানুষ অট্টহাসি দিচ্ছে। আর আশ্চর্য এই বৈশিষ্ট্যের কারণে পোষা পাখি হিসেবে শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, গোটা পৃথিবীতেই একে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
আরও অনেক পোষা পাখির ব্রিডের মতো আইয়াম কেতাওয়া ব্রিডটির উৎপত্তি কীভাবে সে সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, পাখি যাঁরা ব্রিড করেন তাঁরা বিভিন্ন ধরনের মুরগির সংকর তৈরি করতে করতে একপর্যায়ে চমৎকার চেহারার, মানুষকে আনন্দ দেয় এমন একটি পাখি তৈরি করতে সক্ষম হন। ধারণা করা হয়, আনুমানিক ৩৫০ বছর বয়স এই জাতটির।
মূলত আশ্চর্য এই হাসির জন্যই ব্রিডার ও সাধারণ মানুষের কাছে পোষা প্রাণী হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই জাতের মুরগি। ইন্দোনেশিয়ায় এমনকি উৎসাহী ব্যক্তিরা এদের নিয়ে বড় ধরনের প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেন। সেখানে এমন বিভিন্ন ধরনের ক্লাবও গড়ে উঠেছে যারা এই মুরগি নিয়ে মেলা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এসব প্রতিযোগিতায় কোন পাখির ডাক সবচেয়ে পরিষ্কার সেটা এবং মানুষের সঙ্গে কোনটার হাসির সবচেয়ে বেশি মিল আছে সেটা নির্ণয় করে পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে কথা হলো, যাঁরাই এদের কেনেন, তাদের বেশিরভাগের উদ্দেশ্য বিনোদন। কারণ, এদের হাসি দিয়ে যে আপনার মুখে একটা হাসি ফুটিয়ে তুলবে এরা তাতে সন্দেহ নেই।
অবশ্য এদের মাংসের জন্যও পালেন কেউ কেউ। ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী রেসিপি সতো আয়াম তৈরিতে এটির ব্যবহার চোখে পড়ে। তেমনি স্যুপও বানানো হয় এর মাংস দিয়ে। এ ছাড়া মোরগ লড়াইয়ে ব্যবহার করা হয় একে। তেমনি বিভিন্ন চিড়িয়াখানায়ও রাখা হয় এদের।
এই পাখিগুলো দেখতে কেমন? এদের রং সাদা থেকে কালো, লাল এমনকি ধূসরও হতে পারে। কারও পালকে বিভিন্ন রঙের বাহার দেখা যেতে পারে। সপ্তাহে ছোট থেকে মাঝারি আকারের ডিম পাড়ে। পুরুষ ও স্ত্রী দুই ধরনের মুরগিই অন্য ব্রিডগুলোর তুলনায় আকারে ছোট। মোরগের ওজন দুই কেজি, মুরগির দেড় কেজি।
এমনিতে মানুষের সঙ্গে বেশ বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ করে। তবে একসঙ্গে রাখা হলে একটি পুরুষ পাখি অন্য পাখির প্রতি আক্রমণাত্মক হতে পারে। মোটের ওপর বন্ধুভাবাপন্ন আচরণ ও খেলাধুলা করার অভ্যাসের জন্য পোষা প্রাণী হিসেবে এদের জুড়ি মেলা ভার।
মজার ঘটনা, দুই ধরনের ‘হাস্যরত মুরগি’র দেখা মেলে। ডনগাট নামে পরিচিত এই মুরগিদের দ্রুতগতির, অনেকটা মেশিনগানের শব্দের মতো টানা হবে এদের হাসির আওয়াজ। এদের অট্টহাসিটা অনেক ধীরগতির, এভাবে বিরতি দিয়ে একবারে চার থেকে ১২ বার ডাকে এরা। স্বাভাবিকভাবেই দুর্লভ হওয়ায় এবং আশ্চর্য বৈশিষ্ট্যের জন্য মুরগির অন্য জাতগুলো থেকে আইয়াম কেতাওয়ার দাম অনেক বেশি। এদের মধ্যে আবার ডনগাটের বাজার চড়া। এগুলোর কোনো কোনোটি এমনকি ১০-১২ হাজার ডলারেও বিক্রি হয়।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, অ্যাগ্রায়ো ডট কম
আজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ইমোজি। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমরা মনের ভাব প্রকাশে ইমোজি ব্যবহার করি। ভাষার সীমা পেরিয়ে এই ছোট ছোট ডিজিটাল চিহ্নগুলো আবেগ প্রকাশের কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আনন্দ থেকে শুরু করে দুঃখ—সব অনুভূতিই এখন বোঝ
২ দিন আগেপরিত্যক্ত একটি নকিয়া ফোনের সূত্র ধরে পরিচয় পাওয়া গেছে ১০ বছর আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আমির খান নামের ওই ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়। মরদেহের পাশে থাকা ফোনটির সূত্র ধরেই তাঁর পরিচয় উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।
৩ দিন আগেভারতের তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদের গাচিবৌলি এলাকায় গাঁজা সরবরাহকারী একটি চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে অদ্ভুত ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন মাদকবিরোধী কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এলিট অ্যাকশন গ্রুপ ফর ড্রাগ ল এনফোর্সমেন্টের (ইগল) অভিযানে তাঁরা দেখতে পান, এক দম্পতি তাঁদের চার বছরের শিশুকে নিয়ে এসেছেন গাঁজা...
৪ দিন আগেদিল্লির সুলতানপুরে গত ১৯ জুন ২৫ বছর বয়সী এক যুবক অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেল আরোহী তাঁর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। তখন ওই যুবক ভেবেছিলেন, এটা হয়তো দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছু না। কিন্তু ১৫ দিন পর পুলিশ ছিনতাই হওয়া ফোনটি উদ্ধার করে। একই সঙ্গে, যে ছিনতাইয়ের পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন, তাঁকেও শনাক্ত করে।
৬ দিন আগে