আপনি কী বিয়ে করতে চেয়েও বিয়ে করতে পারছেন না? অনেক চেষ্টার পরেও সফলতা আসছে না? তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য আছে ‘বাংলাদেশ ম্যাজিক মন্ত্রণালয়’।
এ এমন এক মন্ত্রণালয় যে মন্ত্রণালয়ের সংস্পর্শে এলে বুড়ো হাড়েও লাগে ভেলকি। বেজে ওঠে যৌবনের গান। তা যৌবনের গান যখন এলই, একটু জাতীয় কবির স্মরণ নেওয়া যাক। জাতীয় কবি তো সেই কবেই বলেছেন, ‘বহু বৃদ্ধকে দেখিয়াছি—যাহাদের বার্ধক্যের জীর্ণাবরণের তলে মেঘলুপ্ত সূর্যর মতো প্রদীপ্ত যৌবন।’ গুরুত্ব বুঝেই লেখাটি পাঠ্য করা হয়েছিল। সে যাক, মূল প্রসঙ্গে আসা যাক।
বয়স হয়েছে, হাড় মড়মড় করছে, সংসার নামক বস্তুটি তবু চেখে দেখা হয়নি কিংবা চাখতে গিয়ে জিব পুড়ে গেছে—এমন যদি হয়, যদি দ্বিধাগ্রস্ত হন, তবে ভুলে যান। আছে আমাদের ম্যাজিক মন্ত্রণালয়। বুড়ো হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। ব্যবস্থা একটা হবেই।
ধরুন, জীবনের ৬৬টি বসন্ত পেরিয়ে ৬৭ তে পদার্পণ করেছেন। অথচ এখনো দেখা মেলেনি মনের মানুষের। সমস্যা নেই, সমাধান আছে। কিংবা স্ত্রীর মৃত্যুতে একাকিত্বে কাটছে সময়। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে উদ্গ্রীব; কিন্তু বলতে পারছেন না কাউকে। সেটিও কোনো সমস্যা নয়। কেননা আছে ম্যাজিক মন্ত্রণালয়। লজ্জার মাথা খেয়ে খালি সে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। ব্যাস, আপনাকে আর পায় কে? কী থেকে যে কী হয়ে যাবে, আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না। চরম অনীহকেও লাইনে আনে এই মন্ত্রণালয়। লাইনে আনার ক্ষেত্রে এই মন্ত্রণালয় ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
ক্রিকেটার যেমন, তেমনি মন্ত্রণালয়ের পারফরম্যান্স বুঝতে হলেও তাকাতে হবে পরিসংখ্যানের দিকে। পরপর দুই মেয়াদে দায়িত্বে আসা দুই মন্ত্রীর গলায় মালা পরিয়ে দিল এই মন্ত্রণালয়। তাও যেনতেন নয়, ষাটোর্ধ্ব। এই পর্যায়ে সেই কৌতুকের কথা মনে পড়ছে।
বিচিত্র সব প্রতিযোগিতার আয়োজন করাটা মানুষের নেশা। এই নেশায় আবিষ্ট হয়ে একবার এমনই এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। চ্যালেঞ্জ সামান্য, তবে মঞ্চ আন্তর্জাতিক। নানা দেশের করিতকর্মা লোকেদের নিয়ে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো। প্রত্যেককে দেওয়া হলো একটি করে গাভী। যে যত বেশি দুধ দোয়াতে পারবে, সে–ই বিজয়ী। তো এই চ্যালেঞ্জ শুনে সবাই কাজে নেমে গেল ঘণ্টা বাজতেই। কিছুক্ষণ পরই এক এক করে প্রতিযোগীরা বাইরে আসতে লাগল। রুশ, মার্কিন, ফরাসি, ব্রিটিশ, বাংলাদেশি, ভারতীয় সব দেশের প্রতিযোগীরা কেউ এক বালতি, কেউ দু–তিন বালতি করে দুধ নিয়ে বের হলেন। একেকজন বেরিয়ে আসেন, আর গ্যালারিতে হর্ষধ্বনি হয়। এদিকে চীনের কোনো খোঁজ নেই। সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ। এক ঘণ্টা যায়, দু ঘণ্টা যায়, তিন ঘণ্টা যায় চীনের প্রতিযোগী বের হন না। অবশেষে সোয়া চার ঘণ্টা পর বেরিয়ে এলেন বেঁটে–খাটো এক চীনা লোক। হাতে কোনো বালতি নেই। আছে একটি শিশি কেবল। সেই শিশির আধেক ভর্তি দুধে। বিচারকদের ভ্রুকুঞ্চিত। চীনা লোকটি এগিয়ে গিয়ে কী যেন বললেন। অমনি বিচারকেরা একযোগে ‘ওয়াও’ বলে উঠলেন। আর চীনা লোকটিকেই বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হলো। প্রতিযোগিতা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক কমিটি কারণ ব্যাখ্যা করতে জানাল—ভুলক্রমে চীনা লোকটিকে গাভির বদলে ষাঁড় দেওয়া হয়েছিল। ফলে চীনের ওই প্রতিযোগী রীতিমতো ম্যাজিক দেখিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বলতে হবে। হাসির বদলে শ্রদ্ধায় আমাদের মাথা নুয়ে আসে। আর আজ যখন ম্যাজিক মন্ত্রণালয় বাস্তব হয়ে চোখের সামনে হাজির, তখন আমরা বাক্যহারা হয়ে যাই।
ম্যাজিক মন্ত্রণালয়ের ম্যাজিকে সবাই খুশি হলেও কিছু প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন পদ্ধতিটি নিয়ে—
জনকল্যাণে কিছু পরামর্শ
ষাটোর্ধ্ব মানুষদের বিয়ের সুযোগ করে দিতে আমাদের তিন পরামর্শ—
আপনি কী বিয়ে করতে চেয়েও বিয়ে করতে পারছেন না? অনেক চেষ্টার পরেও সফলতা আসছে না? তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য আছে ‘বাংলাদেশ ম্যাজিক মন্ত্রণালয়’।
এ এমন এক মন্ত্রণালয় যে মন্ত্রণালয়ের সংস্পর্শে এলে বুড়ো হাড়েও লাগে ভেলকি। বেজে ওঠে যৌবনের গান। তা যৌবনের গান যখন এলই, একটু জাতীয় কবির স্মরণ নেওয়া যাক। জাতীয় কবি তো সেই কবেই বলেছেন, ‘বহু বৃদ্ধকে দেখিয়াছি—যাহাদের বার্ধক্যের জীর্ণাবরণের তলে মেঘলুপ্ত সূর্যর মতো প্রদীপ্ত যৌবন।’ গুরুত্ব বুঝেই লেখাটি পাঠ্য করা হয়েছিল। সে যাক, মূল প্রসঙ্গে আসা যাক।
বয়স হয়েছে, হাড় মড়মড় করছে, সংসার নামক বস্তুটি তবু চেখে দেখা হয়নি কিংবা চাখতে গিয়ে জিব পুড়ে গেছে—এমন যদি হয়, যদি দ্বিধাগ্রস্ত হন, তবে ভুলে যান। আছে আমাদের ম্যাজিক মন্ত্রণালয়। বুড়ো হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। ব্যবস্থা একটা হবেই।
ধরুন, জীবনের ৬৬টি বসন্ত পেরিয়ে ৬৭ তে পদার্পণ করেছেন। অথচ এখনো দেখা মেলেনি মনের মানুষের। সমস্যা নেই, সমাধান আছে। কিংবা স্ত্রীর মৃত্যুতে একাকিত্বে কাটছে সময়। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে উদ্গ্রীব; কিন্তু বলতে পারছেন না কাউকে। সেটিও কোনো সমস্যা নয়। কেননা আছে ম্যাজিক মন্ত্রণালয়। লজ্জার মাথা খেয়ে খালি সে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। ব্যাস, আপনাকে আর পায় কে? কী থেকে যে কী হয়ে যাবে, আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না। চরম অনীহকেও লাইনে আনে এই মন্ত্রণালয়। লাইনে আনার ক্ষেত্রে এই মন্ত্রণালয় ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
ক্রিকেটার যেমন, তেমনি মন্ত্রণালয়ের পারফরম্যান্স বুঝতে হলেও তাকাতে হবে পরিসংখ্যানের দিকে। পরপর দুই মেয়াদে দায়িত্বে আসা দুই মন্ত্রীর গলায় মালা পরিয়ে দিল এই মন্ত্রণালয়। তাও যেনতেন নয়, ষাটোর্ধ্ব। এই পর্যায়ে সেই কৌতুকের কথা মনে পড়ছে।
বিচিত্র সব প্রতিযোগিতার আয়োজন করাটা মানুষের নেশা। এই নেশায় আবিষ্ট হয়ে একবার এমনই এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। চ্যালেঞ্জ সামান্য, তবে মঞ্চ আন্তর্জাতিক। নানা দেশের করিতকর্মা লোকেদের নিয়ে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো। প্রত্যেককে দেওয়া হলো একটি করে গাভী। যে যত বেশি দুধ দোয়াতে পারবে, সে–ই বিজয়ী। তো এই চ্যালেঞ্জ শুনে সবাই কাজে নেমে গেল ঘণ্টা বাজতেই। কিছুক্ষণ পরই এক এক করে প্রতিযোগীরা বাইরে আসতে লাগল। রুশ, মার্কিন, ফরাসি, ব্রিটিশ, বাংলাদেশি, ভারতীয় সব দেশের প্রতিযোগীরা কেউ এক বালতি, কেউ দু–তিন বালতি করে দুধ নিয়ে বের হলেন। একেকজন বেরিয়ে আসেন, আর গ্যালারিতে হর্ষধ্বনি হয়। এদিকে চীনের কোনো খোঁজ নেই। সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ। এক ঘণ্টা যায়, দু ঘণ্টা যায়, তিন ঘণ্টা যায় চীনের প্রতিযোগী বের হন না। অবশেষে সোয়া চার ঘণ্টা পর বেরিয়ে এলেন বেঁটে–খাটো এক চীনা লোক। হাতে কোনো বালতি নেই। আছে একটি শিশি কেবল। সেই শিশির আধেক ভর্তি দুধে। বিচারকদের ভ্রুকুঞ্চিত। চীনা লোকটি এগিয়ে গিয়ে কী যেন বললেন। অমনি বিচারকেরা একযোগে ‘ওয়াও’ বলে উঠলেন। আর চীনা লোকটিকেই বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হলো। প্রতিযোগিতা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক কমিটি কারণ ব্যাখ্যা করতে জানাল—ভুলক্রমে চীনা লোকটিকে গাভির বদলে ষাঁড় দেওয়া হয়েছিল। ফলে চীনের ওই প্রতিযোগী রীতিমতো ম্যাজিক দেখিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বলতে হবে। হাসির বদলে শ্রদ্ধায় আমাদের মাথা নুয়ে আসে। আর আজ যখন ম্যাজিক মন্ত্রণালয় বাস্তব হয়ে চোখের সামনে হাজির, তখন আমরা বাক্যহারা হয়ে যাই।
ম্যাজিক মন্ত্রণালয়ের ম্যাজিকে সবাই খুশি হলেও কিছু প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন পদ্ধতিটি নিয়ে—
জনকল্যাণে কিছু পরামর্শ
ষাটোর্ধ্ব মানুষদের বিয়ের সুযোগ করে দিতে আমাদের তিন পরামর্শ—
‘নির্ভীক’ শব্দটা অনেকেই গর্বের সঙ্গে ব্যবহার করেন। কিন্তু মানুষ সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি নির্ভীক নয়। জন্মগতভাবে মানুষের ভয় খুব সীমিত—মাত্র দুটি। গবেষণা বলছে, মানুষ জন্মগতভাবে যেসব ভয় নিয়ে আসে, তার মধ্যে রয়েছে উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় এবং বিকট শব্দে চমকে ওঠা।
৩ ঘণ্টা আগেবেশির ভাগ বিড়ালপ্রেমীই আতঙ্কে থাকেন, কখন তাদের পোষা বিড়াল কোনো ইঁদুর বা পাখি শিকার করে বাসায় নিয়ে আসে। তবে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের এক পরিবারের বিড়ালের কর্মকাণ্ড এই সাধারণ দুশ্চিন্তার চেয়েও ভয়াবহ। কারণ, তাদের ১৫ মাস বয়সী বিড়ালটি একা পুরো এলাকায় চুরির রাজত্ব কায়েম করেছে। পুরো এলাকার অপরাধ জগতে
১১ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। মাঝ রাস্তায় দুই ঘোড়ার লড়াইয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়। এই তাণ্ডবের মধ্যে একটি ঘোড়া একটি অটো রিকশার ওপর লাফিয়ে পড়ে। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। এরপর ঘোড়াটি প্রায় ২০ মিনিট রিকশার ভেতরে আটকে ছিল।
৩ দিন আগেহাঙ্গেরির মধ্যযুগে একটি মঠ প্যাননহালমা আর্চঅ্যাবি। এই মঠের কয়েক শ বছরের পুরোনো বই সাম্প্রতিক সময়ে এসে গুবরে পোকার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। আর বইগুলোকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষায় শুরু হয়েছে এক বড় আকারের উদ্ধার অভিযান। মঠটির লাইব্রেরি থেকে সরানো হচ্ছে হাতে বাঁধানো প্রায় এক লাখ বই।
৩ দিন আগে