ইশতিয়াক হাসান
খুব কাছ থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ডলফিনদের দেখতে চান? তাহলে আপনার জন্য আদর্শ জায়গা মাংকি মিয়া। অস্ট্রেলিয়ার এই সৈকতে প্রতিদিন নিয়ম করে হাজির হয় ডলফিনেরা। সৌভাগ্যবান হলে এমনকি তাদের খাওয়াতেও পারবেন।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া উপকূলের মাংকি মিয়ার বন্য ডলফিনেরা মানুষের সংস্পর্শে আসা শুরু করেছে আজকাল নয়, অর্ধ শতাব্দী আগে থেকে। অবশ্য এমনিতেও ডলফিনেরা মানুষকে পছন্দই করে। ১৯৬০-এর দশকে স্থানীয় জেলেরা এদের দিকে মাছ ছুড়ে দিতে শুরু করলে মানুষের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে শুরু করে। বন্ধুভাবাপন্ন বটলনোজ ডলফিনেরা মাংকি মিয়া সৈকতের আশপাশে ভিড় জমায়, খবরটা একপর্যায়ে আশপাশের এলাকার মানুষ এমনকি পর্যটকদেরও কানে পৌঁছে যায়। ডলফিনদের খাবার খাওয়াতে সৈকতটিতে ভিড় জমাতে লাগলেন তাঁরা।
তবে ১৯৮০-র দশকে গবেষকদের চোখে বড় একটি সমস্যা ধরা পড়ল। প্রাপ্তবয়স্ক ডলফিনেরা মানুষের দেওয়া খাবারের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এটা এতটাই যে তাদের বাচ্চা মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। এ সময় ৯০ শতাংশ বাচ্চা ডলফিনই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল, দাবি করেন কোনো কোনো গবেষক। সৌভাগ্যক্রমে এই পরিস্থিতিতে ডলফিন সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা কর্তৃপক্ষ ডলফিনকে খাওয়ানোর বিষয়টি কড়া নজরদারিতে নিয়ে আসে।
এখনো প্রতিদিন ডলফিনেরা এসে ভিড় জমায় মাংকি মিয়া সৈকতে, তবে সংখ্যাটি আগের চেয়ে কম। তাদের খাবার দেওয়াও হয় হিসাব করে। যেন এতে এদের খাবারের চাহিদার কিছুটাই কেবল পূরণ হয়। ডলফিনেরা এতে প্রাকৃতিক খাবারের খোঁজে শিকারে বের হয়, তেমনি ছোট্ট ডলফিনদেরও কীভাবে টিকে থাকতে হয় প্রকৃতিতে, এর তালিম দেয়। এখন কেবল সৌভাগ্যবান কিছু পর্যটকই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে ডলফিনদের খাওয়াতে পারেন।
মাংকি মিয়া কনজারভেশন পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, ডলফিনদের কেবল তাদের খাদ্যচাহিদার ১০ শতাংশই দেওয়া হয়। অর্থাৎ বাকি ৯০ শতাংশ খাবারের জন্য শিকারে বের হতে হয়। বালতিতে করে সাধারণত খাবার হিসেবে মাছ নিয়ে যাওয়া হয়। ডলফিনেরা আগ্রহ দেখালে খেতে দেওয়া হয়।
তবে মাংকি মিয়া সৈকতে ডলফিনদের খাবারের সুযোগ কমে গেলে কী হবে, প্রতিদিন সকালে সৈকতে এই উদ্দেশ্যে আসা পর্যটকের অভাব হয় না। বছরে এই সংখ্যাটা ১ লাখের বেশি। অবশ্য বিশ্বে এমন জায়গা খুব বেশি নেইও। ডলফিনেরা যতই বন্ধুবৎসল হোক না কেন, এভাবে কাছ থেকে ডলফিনদের দেখা, তাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন আর কোথায় বলুন!
মাংকি ময়া সৈকতটির অবস্থান শার্ক বেতে। শার্ক বেতে বাস করা মোট ডলফিনের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। তবে মাঙ্কি মিয়া সৈকতের আশপাশের জলে দেখা মেলে শ তিনেক ডলফিনের।
এমনিতে প্রকৃতিতে মুক্তভাবে বিচরণ করা ডলফিনদের খাওয়ানো নিয়ে বিতর্ক আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণীটির জন্ম ও টিকে থাকার হারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এটি। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, মাংকি মিয়ায় যেভাবে ডলফিনের খাবার দেওয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তা এক-দুটি ডলফিনের ওপর প্রভাব যদি রাখেও, সামগ্রিকভাবে এখানকার ডলফিনদের জন্য ক্ষতিকর নয়।
এখন নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে মাংকি মিয়া সৈকতে কীভাবে পৌঁছানো যায়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থ থেকে উড়োজাহাজে চেপে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন শার্ক বে বিমানবন্দরে। সেখান থেকে গাড়িতে মিনিট পনেরো লাগবে মাংকি বে সৈকতে যেতে।
সৈকতে কখন যাওয়া উচিত তা-ও নিশ্চয় বলে দিতে হবে। দিনে প্রথমবার যখন খাওয়ানো হয় ডলফিনদের, তখন যেতে পারলে ভালো। কারণ ওই সময় ডলফিনদের সবচেয়ে ভালোভাবে দেখার সুযোগ থাকে। সে ক্ষেত্রে যেতে হবে সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে। তবে এ সময় ভিড় বেশি থাকে। তখন খাওয়ানোর সুযোগ কম। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সেশনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। তখন পর্যটকের ভিড় কম থাকে। দুপুর ১২টার মধ্যে যে কোনো সময় হতে পারে সেটা। অবশ্য অন্য কোনো সময় গেলে যে ডলফিনদের একেবারেই দেখতে পাবেন না তা নয়! কারণ ডলফিনেরা এতটাই অভ্যস্ত জায়গাটির সঙ্গে যে এদিকে চলার পথে একটিবার ঘুরে যেতে না পারলে মন ভরেই না তাদের।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, টেসসামহোয়ার ডট কম
খুব কাছ থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ডলফিনদের দেখতে চান? তাহলে আপনার জন্য আদর্শ জায়গা মাংকি মিয়া। অস্ট্রেলিয়ার এই সৈকতে প্রতিদিন নিয়ম করে হাজির হয় ডলফিনেরা। সৌভাগ্যবান হলে এমনকি তাদের খাওয়াতেও পারবেন।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া উপকূলের মাংকি মিয়ার বন্য ডলফিনেরা মানুষের সংস্পর্শে আসা শুরু করেছে আজকাল নয়, অর্ধ শতাব্দী আগে থেকে। অবশ্য এমনিতেও ডলফিনেরা মানুষকে পছন্দই করে। ১৯৬০-এর দশকে স্থানীয় জেলেরা এদের দিকে মাছ ছুড়ে দিতে শুরু করলে মানুষের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে শুরু করে। বন্ধুভাবাপন্ন বটলনোজ ডলফিনেরা মাংকি মিয়া সৈকতের আশপাশে ভিড় জমায়, খবরটা একপর্যায়ে আশপাশের এলাকার মানুষ এমনকি পর্যটকদেরও কানে পৌঁছে যায়। ডলফিনদের খাবার খাওয়াতে সৈকতটিতে ভিড় জমাতে লাগলেন তাঁরা।
তবে ১৯৮০-র দশকে গবেষকদের চোখে বড় একটি সমস্যা ধরা পড়ল। প্রাপ্তবয়স্ক ডলফিনেরা মানুষের দেওয়া খাবারের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এটা এতটাই যে তাদের বাচ্চা মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। এ সময় ৯০ শতাংশ বাচ্চা ডলফিনই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল, দাবি করেন কোনো কোনো গবেষক। সৌভাগ্যক্রমে এই পরিস্থিতিতে ডলফিন সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা কর্তৃপক্ষ ডলফিনকে খাওয়ানোর বিষয়টি কড়া নজরদারিতে নিয়ে আসে।
এখনো প্রতিদিন ডলফিনেরা এসে ভিড় জমায় মাংকি মিয়া সৈকতে, তবে সংখ্যাটি আগের চেয়ে কম। তাদের খাবার দেওয়াও হয় হিসাব করে। যেন এতে এদের খাবারের চাহিদার কিছুটাই কেবল পূরণ হয়। ডলফিনেরা এতে প্রাকৃতিক খাবারের খোঁজে শিকারে বের হয়, তেমনি ছোট্ট ডলফিনদেরও কীভাবে টিকে থাকতে হয় প্রকৃতিতে, এর তালিম দেয়। এখন কেবল সৌভাগ্যবান কিছু পর্যটকই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে ডলফিনদের খাওয়াতে পারেন।
মাংকি মিয়া কনজারভেশন পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, ডলফিনদের কেবল তাদের খাদ্যচাহিদার ১০ শতাংশই দেওয়া হয়। অর্থাৎ বাকি ৯০ শতাংশ খাবারের জন্য শিকারে বের হতে হয়। বালতিতে করে সাধারণত খাবার হিসেবে মাছ নিয়ে যাওয়া হয়। ডলফিনেরা আগ্রহ দেখালে খেতে দেওয়া হয়।
তবে মাংকি মিয়া সৈকতে ডলফিনদের খাবারের সুযোগ কমে গেলে কী হবে, প্রতিদিন সকালে সৈকতে এই উদ্দেশ্যে আসা পর্যটকের অভাব হয় না। বছরে এই সংখ্যাটা ১ লাখের বেশি। অবশ্য বিশ্বে এমন জায়গা খুব বেশি নেইও। ডলফিনেরা যতই বন্ধুবৎসল হোক না কেন, এভাবে কাছ থেকে ডলফিনদের দেখা, তাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন আর কোথায় বলুন!
মাংকি ময়া সৈকতটির অবস্থান শার্ক বেতে। শার্ক বেতে বাস করা মোট ডলফিনের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। তবে মাঙ্কি মিয়া সৈকতের আশপাশের জলে দেখা মেলে শ তিনেক ডলফিনের।
এমনিতে প্রকৃতিতে মুক্তভাবে বিচরণ করা ডলফিনদের খাওয়ানো নিয়ে বিতর্ক আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণীটির জন্ম ও টিকে থাকার হারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এটি। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, মাংকি মিয়ায় যেভাবে ডলফিনের খাবার দেওয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তা এক-দুটি ডলফিনের ওপর প্রভাব যদি রাখেও, সামগ্রিকভাবে এখানকার ডলফিনদের জন্য ক্ষতিকর নয়।
এখন নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে মাংকি মিয়া সৈকতে কীভাবে পৌঁছানো যায়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থ থেকে উড়োজাহাজে চেপে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন শার্ক বে বিমানবন্দরে। সেখান থেকে গাড়িতে মিনিট পনেরো লাগবে মাংকি বে সৈকতে যেতে।
সৈকতে কখন যাওয়া উচিত তা-ও নিশ্চয় বলে দিতে হবে। দিনে প্রথমবার যখন খাওয়ানো হয় ডলফিনদের, তখন যেতে পারলে ভালো। কারণ ওই সময় ডলফিনদের সবচেয়ে ভালোভাবে দেখার সুযোগ থাকে। সে ক্ষেত্রে যেতে হবে সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে। তবে এ সময় ভিড় বেশি থাকে। তখন খাওয়ানোর সুযোগ কম। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সেশনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। তখন পর্যটকের ভিড় কম থাকে। দুপুর ১২টার মধ্যে যে কোনো সময় হতে পারে সেটা। অবশ্য অন্য কোনো সময় গেলে যে ডলফিনদের একেবারেই দেখতে পাবেন না তা নয়! কারণ ডলফিনেরা এতটাই অভ্যস্ত জায়গাটির সঙ্গে যে এদিকে চলার পথে একটিবার ঘুরে যেতে না পারলে মন ভরেই না তাদের।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, টেসসামহোয়ার ডট কম
নারীর বগলের গন্ধ পুরুষদের আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি তাদের মানসিক চাপও কমাতে পারে। এমনটাই জানা গেছে, জাপানে হওয়া এক চমকপ্রদ গবেষণা থেকে। তবে এই প্রভাব সব সময় দেখা যায় না। মাসের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে, যখন নারীদের গন্ধ পুরুষদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়, তখনই এই প্রভাব দেখা যায়।
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী এমিলি এনজার এখন নিয়মিত আয় করছেন বুকের দুধ বিক্রি করে। পাঁচ সন্তানের এই মা প্রতিদিন সন্তানদের দুধ পান করানোর পর অতিরিক্ত যে দুধ পাম্প করেন, তা ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করেন ফ্রিজে। উদ্দেশ্য—নিজের সন্তানের জন্য নয়, বরং বিক্রি করে বাড়তি আয় করা।
২ দিন আগেচীনের হুবেই প্রদেশের শিয়াংইয়াং শহরে ঘটেছে এক আজব দুর্ঘটনা। বাগানে কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে একটি পাথরে বসেছিলেন ৭২ বছর বয়সী এক নারী। বসতেই গরমের আঁচ টের পেলেন খুব ভালোমতো! মাত্র ১০ সেকেন্ডেই তাঁর নিতম্ব পুড়ে গেল। যেনতেন পোড়া নয়, রীতিমতো ‘থার্ড ডিগ্রি বার্ন।’ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
৩ দিন আগেসাপের কামড়ে মানুষ মারা যাবে—এ তো চিরচেনা খবর! কিন্তু এবার খবর উল্টো। বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে ১ বছরের এক শিশু কামড়ে মেরে ফেলেছে বিষধর গোখরাকে! চোখ কপালে তুলে দেওয়া এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার মোহাচ্ছি বাংকটওয়া গ্রামে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘটনা তাঁরা জীবনে কখনো দেখেননি—শুধু সিনেমাতে
৫ দিন আগে